একুশে বইমেলা ডিসেম্বরে আনল সরকার
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 135
অমর একুশে স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বই মেলা এবার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এগিয়ে এসে ডিসেম্বর মাসে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কারণ হিসেবে জাতীয় নির্বাচন ও রমজান মাস বিবেচনার কথা জানানো হয়েছে।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে বইমেলার তারিখ চূড়ান্ত করার বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব, পরিচালকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা।
একাডেমি সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আর তার আগেই অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বইমেলার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে।
১৯৮৩ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় একবার বইমেলা বন্ধ থাকলেও এর বাইরে বন্ধ থাকার নজির নেই। তবে কোভিড মহামারির কারণে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে বইমেলা পিছিয়ে মার্চে আয়োজন করা হয়েছিল। রমজানের কারণে কখনো বইমেলায় পরিবর্তন আনা হয়নি।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করা অন্তর্বর্তী সরকার নানা উছিলায় সংস্কৃতির না ক্ষেত্রে উলট-পালট করছে। এর আগে ইউনেস্কো স্বীকৃতি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নামও পরির্বতন করা হয়েছে।
একুশে বইমেলার সূচনা
- ১৯৭২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির ফটকে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা।
- ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির একুশের আয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাডেমির ভেতরে ছোট স্টল দেয় মুক্তধারা।
- ১৯৭৭ সাল থেকে অন্য প্রকাশকরাও যোগ দিলে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে।
- ১৯৭৮ সালে তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী একাডেমিকে মেলার সঙ্গে যুক্ত করেন।
- ১৯৮৪ সাল থেকে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে নীতিমালার ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে আয়োজন শুরু হয়।
- ২০২১ সাল থেকে এর নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে বইমেলা’।
শুরুর দিকে শুধুমাত্র বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে হলেও জায়গার অভাবে পরে একাডেমির সামনের সড়ক ব্যবহার করা হয়।
২০১৪ সাল থেকে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান দেওয়া হয়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থার জন্য বরাদ্দ থাকে একাডেমি প্রাঙ্গণ। তবে মূল মঞ্চ ও তথ্যকেন্দ্র থাকে একাডেমির ভেতরেই।
গত এক দশক ধরে একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমন্বিতভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।



















