ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কনফারেন্সঃ ইস্যুর আপেক্ষায় ১৭শ ২ টি পাসপোর্ট।

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
  • / 1321
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবনে পাসপোর্টের হাল নাগাদ বিভিন্ন তথ্য ও সেই সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালায় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে সুযোগ ও সুবিধা গুলো দিয়েছে সে বিষয় গুলো নিয়ে এক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মোঃআশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্য গুলো তুলে ধরেন।

১০হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে এমন অপপ্রচারের জবাবে প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য প্রদান করেন তিনি জানান ”২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ শুরু তখন ৪শত ১৭ টি পাসপোর্ট জমা পড়ে এবং দূতাবাস প্রদান করে ৪শ ১৭ টি, ২০১৫ সালে জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭শ ৫৪টি, প্রদান করা হয় ২৫ হাছার ৬শ ৩৭টি, ২০১৬ তে জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯ শ ০৮টি এদিকে প্রদান হয় ১৬ হাজার ৯শ ৯৮ টি, ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৯শ ৮৬ টি পড়ে জমা আর প্রদান করে দূতাবাস ১০ হাজার ৫শ ৪০টি পাসপোর্ট, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭ শ ৮৬ টা জমা পড়লে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯শ ৬৭ টি, এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫শ ৮৭টি আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪শ ৫৬ টি।”
সংবাদ সম্মলেনে তাঁরা উল্লেখ করেন, তথ্য পরিবর্তনের কারণে ৭শ ৮২ টি পাসপোর্টের কাজ এখনও বাকি আছে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে ৯ শ ২০টি পাসপোর্ট নবায়ন এখনও পর্যন্ত করা যায় নি।। সব মিলিয়ে ১৭০২ টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করার ও আহবান জানান দুতাবাস কর্মকর্তারা।

কাউন্সিলর এরফানুল হক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত এই অর্থ বছরে যারা সবোর্চচ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরুষ থাকবে তিনজন ও নারী থাকবে দুইজন। এক্ষত্রে ৩০ নভেম্বর আবেদন গ্রহনের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন ‘বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শতকরা ২% প্রণোদনা কার্যকরী হয়েছে এবং যে ব্যাংক গুলো এখনো করেনি সেগুলো ও এই শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ বোর্ডের নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসী লাশ বহনের খরচ সহ বিভিন্ন সুবিধা গুলোর কথা জানান।’
এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মোঃআশরাফুর রহমান বলেন ‘রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয় বিভিন্ন প্রভিন্স গুলোতে কনস্যুলেট সার্ভিসে নিজে যান। সমস্যা গুলো সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যে কোন বিষয়ে কথা বলতে হলে কিংবা সাক্ষাৎ করতে যে কেউ ই তাঁর কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। এরকম সুযোগ থাকার পরও এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য, অন্য কিছু নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কনফারেন্সঃ ইস্যুর আপেক্ষায় ১৭শ ২ টি পাসপোর্ট।

আপডেট সময় : ০৮:২১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবনে পাসপোর্টের হাল নাগাদ বিভিন্ন তথ্য ও সেই সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালায় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে সুযোগ ও সুবিধা গুলো দিয়েছে সে বিষয় গুলো নিয়ে এক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মোঃআশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্য গুলো তুলে ধরেন।

১০হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে এমন অপপ্রচারের জবাবে প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য প্রদান করেন তিনি জানান ”২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ শুরু তখন ৪শত ১৭ টি পাসপোর্ট জমা পড়ে এবং দূতাবাস প্রদান করে ৪শ ১৭ টি, ২০১৫ সালে জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭শ ৫৪টি, প্রদান করা হয় ২৫ হাছার ৬শ ৩৭টি, ২০১৬ তে জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯ শ ০৮টি এদিকে প্রদান হয় ১৬ হাজার ৯শ ৯৮ টি, ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৯শ ৮৬ টি পড়ে জমা আর প্রদান করে দূতাবাস ১০ হাজার ৫শ ৪০টি পাসপোর্ট, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭ শ ৮৬ টা জমা পড়লে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯শ ৬৭ টি, এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫শ ৮৭টি আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪শ ৫৬ টি।”
সংবাদ সম্মলেনে তাঁরা উল্লেখ করেন, তথ্য পরিবর্তনের কারণে ৭শ ৮২ টি পাসপোর্টের কাজ এখনও বাকি আছে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে ৯ শ ২০টি পাসপোর্ট নবায়ন এখনও পর্যন্ত করা যায় নি।। সব মিলিয়ে ১৭০২ টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করার ও আহবান জানান দুতাবাস কর্মকর্তারা।

কাউন্সিলর এরফানুল হক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত এই অর্থ বছরে যারা সবোর্চচ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরুষ থাকবে তিনজন ও নারী থাকবে দুইজন। এক্ষত্রে ৩০ নভেম্বর আবেদন গ্রহনের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন ‘বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শতকরা ২% প্রণোদনা কার্যকরী হয়েছে এবং যে ব্যাংক গুলো এখনো করেনি সেগুলো ও এই শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ বোর্ডের নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসী লাশ বহনের খরচ সহ বিভিন্ন সুবিধা গুলোর কথা জানান।’
এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মোঃআশরাফুর রহমান বলেন ‘রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয় বিভিন্ন প্রভিন্স গুলোতে কনস্যুলেট সার্ভিসে নিজে যান। সমস্যা গুলো সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যে কোন বিষয়ে কথা বলতে হলে কিংবা সাক্ষাৎ করতে যে কেউ ই তাঁর কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। এরকম সুযোগ থাকার পরও এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য, অন্য কিছু নয়।’