ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

ইংল্যান্ডের শিশুরা স্কুলে ফিরছে: অনুপস্থিতিতে অভিভাবকদের জরিমানা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 935
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ ছয় মাস লকডাউনের পর স্কুলে ফিরেছে ইংল্যান্ডের শিশুরা। কয়েক লাখ শিশু পুনরায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে। তবে একই দিনে সব স্কুল খোলছে না। বিভিন্ন শহরে আগামি সপ্তাহে কোলচে স্কুলগুলো। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্কুল অবস্থা আগের মতো থাকছে না। পুরো চিত্রই একেবারে বদলে গেছে। শিশুরা আগের মতো এক সঙ্গে বসতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব যেমন এ ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হযেছে, ঠিক সেভাবেই স্কুলগুলোতে এই সামাজিক দুরত্ব থাকবে।থাকছে তাদের মধ্যে দূরত্ব।

শিশুদেরকে এসব নতুন বিধি-মালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। কোথায় কোথায় সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে সেটাও তাদের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে।

প্রতিটি স্কুলের ডেস্ক নতুন করে সাজানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী থেকে অপর শিক্ষার্থীর দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি শিশুদের কলম, পেন্সিল এবং ক্লাসরুমের অন্যান্য জিনিসপত্র আলাদা আলাদা প্যাকেটের মধ্যে রাখা হবে। যেন একজনের জিনিস অন্যজন স্পর্শ করতে না পারে।

প্রায় ছয় মাস আগে ইংল্যান্ডের সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন। করোনাভাইরাসের বিস্তার যেন শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে এখনই সব শিশুদের স্কুলে আনা হচ্ছে না। অনেক শিক্ষার্থীই এখনও বাসায় বসেই পড়াশুনা করছে। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনার এই আবহে ঠিক কতজন বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।কারন সরকার থেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য একধরনের কঠোর নির্দেশনা আছে।এমনকি ছেলে-মেয়দের স্কুলে না পাঠালে পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকদের জরিমানা গুনতে হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে।

এদিকে, ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি মেরি বুসটেস সব কিছুর ব্যবস্থা করার জন্য স্কুলের স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ সকালে অনেক শিশুই হয়তো কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, তারা যখন স্কুলে প্রবেশ করবে তখন নতুন রুটিন সম্পর্কে জানতে পারবে। আবারও আগের মতো শিক্ষক এবং বন্ধুদের পেয়ে তারা নিশ্চয়ই খুব আনন্দিত হবে।

তবে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের সমালোচনা করে জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং বিভিন্ন জিনিসের জন্য যথেষ্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইংল্যান্ডের শিশুরা স্কুলে ফিরছে: অনুপস্থিতিতে অভিভাবকদের জরিমানা

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

দীর্ঘ ছয় মাস লকডাউনের পর স্কুলে ফিরেছে ইংল্যান্ডের শিশুরা। কয়েক লাখ শিশু পুনরায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে। তবে একই দিনে সব স্কুল খোলছে না। বিভিন্ন শহরে আগামি সপ্তাহে কোলচে স্কুলগুলো। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্কুল অবস্থা আগের মতো থাকছে না। পুরো চিত্রই একেবারে বদলে গেছে। শিশুরা আগের মতো এক সঙ্গে বসতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব যেমন এ ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হযেছে, ঠিক সেভাবেই স্কুলগুলোতে এই সামাজিক দুরত্ব থাকবে।থাকছে তাদের মধ্যে দূরত্ব।

শিশুদেরকে এসব নতুন বিধি-মালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। কোথায় কোথায় সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে সেটাও তাদের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে।

প্রতিটি স্কুলের ডেস্ক নতুন করে সাজানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী থেকে অপর শিক্ষার্থীর দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি শিশুদের কলম, পেন্সিল এবং ক্লাসরুমের অন্যান্য জিনিসপত্র আলাদা আলাদা প্যাকেটের মধ্যে রাখা হবে। যেন একজনের জিনিস অন্যজন স্পর্শ করতে না পারে।

প্রায় ছয় মাস আগে ইংল্যান্ডের সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন। করোনাভাইরাসের বিস্তার যেন শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে এখনই সব শিশুদের স্কুলে আনা হচ্ছে না। অনেক শিক্ষার্থীই এখনও বাসায় বসেই পড়াশুনা করছে। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনার এই আবহে ঠিক কতজন বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।কারন সরকার থেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য একধরনের কঠোর নির্দেশনা আছে।এমনকি ছেলে-মেয়দের স্কুলে না পাঠালে পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকদের জরিমানা গুনতে হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে।

এদিকে, ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি মেরি বুসটেস সব কিছুর ব্যবস্থা করার জন্য স্কুলের স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ সকালে অনেক শিশুই হয়তো কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, তারা যখন স্কুলে প্রবেশ করবে তখন নতুন রুটিন সম্পর্কে জানতে পারবে। আবারও আগের মতো শিক্ষক এবং বন্ধুদের পেয়ে তারা নিশ্চয়ই খুব আনন্দিত হবে।

তবে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের সমালোচনা করে জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং বিভিন্ন জিনিসের জন্য যথেষ্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি।