ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

আবুধাবীতে বাংলাদেশি কিশোরের কষ্ট উপাখ্যান
২ বছর ধরে কোমায় পড়ে আছে এ কিশোর

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯
  • / 1662
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আরব আমিরাতে ২০১৭ সালের ১৮ বিকেল সাড়ে ৫ টায় এপ্রিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাংলাদেশি আবতাহি সিদ্দিকীর জীবন চিরদিনের জন্য বদলে যায়। দেশটির রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফাতে একটি পথচারী ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে। বাংলাদেশি এ কিশোর বন্দুর বাড়িতে পড়ার নোট আনার জন্য যাবার বেলা এ ঘটনা ঘটে। গত দু বছর ধরে তিনি আবুধাবি হাসপাতালের কোমায় আছেন।

১৫ বছর বয়েসী ছেলেটি এখন আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে জল ভরা চোখে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে থাকে কিন্তু এখনো মুখে কোন কথা বলতে পারছে না।

আবুধাবিতে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী আবতাহির পিতা, সিদ্দিকী আহমদ মুসাফ্ফাতে একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি জানান গত দু বছর ধরে হাসপাতাল আর ঘরে আশা-যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাদের পুরো পরিবার। শুধু ছেলে নয় পুরো পরিবার যেন এই ঘটনায় কোমায় আছে এমন অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সড়কে যানবাহনের নির্ধারিত গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিলো বলে স্থানিয় পুলিশ জানিয়েছেন।

তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সে ৩য় পর্যায়ের কোমায় ছিলো । এখন ডাক্তারদের ক্রমাগত প্রচেষ্টায়, তার অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং এখন সে ৬-৭ কোমা পর্যায়ে রয়েছে তবে কেবল তার চোখ খুলতে পারে। যখন সে কোমার ১০ম পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন সে হাঁটতে পারবে বলে ডাক্তাররা তার বাবাকে জানিয়েছেন।

আবতাহি মুসাফার মেরিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই আব্রারও তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

মানসিক আঘাত ছাড়াও, হাসপাতালের বিল যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। তাই মানসিক আঘাতের সাথে যেন আর্থিক ক্ষতিও

হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত যথেষ্ট সহায়তার প্রশংসা করেন আবতাহির বাবা, কিন্তু দোষীর সন্ধান পেয়ে এবং ‘কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স’-এর ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদানের আদেশ দেওয়ার পরও আবুধাবি আদালতে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে।

“আমি হাসপাতালে একটি অঙ্গীকার দিলাম যে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর আমি বিল পরিশোধ করব”, সিদ্দিকী আহমেদ জানান।

ঠিক দু বছর আগেই মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী এক তরুণ নিহত হয়, আর ঠিক একই বছর ঘটে এই ঘটনা।

সূত্র: গাল্ফ নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আবুধাবীতে বাংলাদেশি কিশোরের কষ্ট উপাখ্যান
২ বছর ধরে কোমায় পড়ে আছে এ কিশোর

আপডেট সময় : ০৩:০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯

আরব আমিরাতে ২০১৭ সালের ১৮ বিকেল সাড়ে ৫ টায় এপ্রিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাংলাদেশি আবতাহি সিদ্দিকীর জীবন চিরদিনের জন্য বদলে যায়। দেশটির রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফাতে একটি পথচারী ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে। বাংলাদেশি এ কিশোর বন্দুর বাড়িতে পড়ার নোট আনার জন্য যাবার বেলা এ ঘটনা ঘটে। গত দু বছর ধরে তিনি আবুধাবি হাসপাতালের কোমায় আছেন।

১৫ বছর বয়েসী ছেলেটি এখন আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে জল ভরা চোখে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে থাকে কিন্তু এখনো মুখে কোন কথা বলতে পারছে না।

আবুধাবিতে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী আবতাহির পিতা, সিদ্দিকী আহমদ মুসাফ্ফাতে একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি জানান গত দু বছর ধরে হাসপাতাল আর ঘরে আশা-যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাদের পুরো পরিবার। শুধু ছেলে নয় পুরো পরিবার যেন এই ঘটনায় কোমায় আছে এমন অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সড়কে যানবাহনের নির্ধারিত গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিলো বলে স্থানিয় পুলিশ জানিয়েছেন।

তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সে ৩য় পর্যায়ের কোমায় ছিলো । এখন ডাক্তারদের ক্রমাগত প্রচেষ্টায়, তার অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং এখন সে ৬-৭ কোমা পর্যায়ে রয়েছে তবে কেবল তার চোখ খুলতে পারে। যখন সে কোমার ১০ম পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন সে হাঁটতে পারবে বলে ডাক্তাররা তার বাবাকে জানিয়েছেন।

আবতাহি মুসাফার মেরিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই আব্রারও তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

মানসিক আঘাত ছাড়াও, হাসপাতালের বিল যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। তাই মানসিক আঘাতের সাথে যেন আর্থিক ক্ষতিও

হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত যথেষ্ট সহায়তার প্রশংসা করেন আবতাহির বাবা, কিন্তু দোষীর সন্ধান পেয়ে এবং ‘কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স’-এর ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদানের আদেশ দেওয়ার পরও আবুধাবি আদালতে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে।

“আমি হাসপাতালে একটি অঙ্গীকার দিলাম যে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর আমি বিল পরিশোধ করব”, সিদ্দিকী আহমেদ জানান।

ঠিক দু বছর আগেই মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী এক তরুণ নিহত হয়, আর ঠিক একই বছর ঘটে এই ঘটনা।

সূত্র: গাল্ফ নিউজ