আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হলেই নির্বাচনে অযোগ্য
আইসিটি আইন এক বছরে তৃতীয়বার সংশোধন
- আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / 116
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বা থাকার যোগ্য থাকবেন না। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কিংবা ওই সব পদে নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
এ বিষয়ে ৬ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা থাকার যোগ্যতা হারাবেন। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে বা থাকতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগ পাবেন না। এ ছাড়া অন্য কোনো সরকারি পদে থাকতে পারবেন না।
এতে আরও বলা হয়েছে, “উপধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে, উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো সংশোধন করে সোমবার এই বিধান যুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে ২০ সি নামে একটি নতুন ধারা যোগ করার প্রস্তাবে গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে সোমবার রাতে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। যার শিরোনাম ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (তৃতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আওয়ামী সরকার পতনের পর একাধিক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে। অনেকেই বিদেশে পালিয়েছেন কিংবা আত্মগোপনে রয়েছে। অধিকাংশ হত্যা মামলার আসামি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের ফলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচন করার পথ বন্ধ হয়ে গেল।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে একাধিক জামায়াত-বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের একাধিক মন্ত্রী-এমপির বিচার চলছে।

















