৪ হাজার বাংলাদেশিসহ ৯০ হাজার কর্মী নেবে গ্রিস
- আপডেট সময় : ০৬:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 415

মতিউর রহমান মুন্না, গ্রিস থেকে
কর্মী সংকট মেটাতে চলতি বছর ৮৯ হাজার ২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। এছাড়া আগের চুক্তি অনুযায়ী এবারও ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দেবে দেশটির সরকার।
তৃতীয় দেশ থেকে চলতি বছর উল্লিখিত সংখ্যক অভিবাসী কর্মী আনার অনুমতি দিয়ে একটি গেজেট পাস করেছে গ্রিক মন্ত্রীসভা।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রিসে পর্যটন ও নির্মাণ খাতসহ শ্রমবাজারের ঘাটতি মেটাতে মোট ৩ লাখ বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন। দেশটিতে বর্তমানে ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণ খাতে কারিগর- যেমন ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, স্টিমফিটার, গাড়িচালক, সাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং ভারি যন্ত্রপাতি চালাতে পারে এমন অপারেটরসহ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে।
তবে কর্মী সংকটে বেকায়দায় আছে কৃষিখাত। শ্রমিকের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই মোকাবিলা করছে জমির মালিকরা।
এবারের গেজেট অনুযায়ী, মোট ৮৯ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাতা, মেশিন অপারেটর, কারখানার শ্রমিক ও অফিস কর্মচারীর মতো পদেই বেশিরভাগ কর্মী নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৬৭০ জনকে মৌসুমি কাজ বা সিজনাল ভিসা দেওয়া হবে।
এর আগে প্রাথমিকভাবে ২০২৩-২৪ মেয়াদে এক লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন অভিবাসী আনার কোটা নির্ধারণ করেছিল গ্রিক সরকার। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন ও খাদ্যখাতে নিয়োগকর্তাদের চাহিদা পূরণের জন্য তৃতীয় দেশ থেকে অতিরিক্ত কর্মী আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সিজনাল ভিসায় ৪৫ হাজার ৬৭০ জন, উচ্চ দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য ২ হাজার এবং নির্ভরশীল কর্মসংস্থান বা স্পন্সর ভিসার জন্য ৪১ হাজার ৬৭০ জন কর্মী আনতে পারবে নিয়োগকর্তারা।
গেজেটে বলা হয়েছে, মোট সংখ্যার মধ্যে প্রায় ৯ হাজার কর্মী গ্রিসের সঙ্গে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও মিশর থেকে আসবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কৃষি, বন, মৎস্য ও পর্যটন খাতে ৪ হাজার কর্মীর শূন্যপদ বাংলাদেশ থেকে আসা কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করার পরিকল্পনা করে গ্রিস।
এছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া গ্রিস-মিশরের অভিবাসন চুক্তির আওতায় কৃষিখাতে মৌসুমি কর্মসংস্থান সম্পর্কিত অবশিষ্ট ৫ হাজার শূন্যপদ মিশর থেকে আসা কর্মীদের দিয়ে পূরণ করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় বেকায়দায় আছেন ভিসা প্রত্যাশী বাংলাদেশিরা। ফলে দুই দেশের চুক্তির দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ভিসার লক্ষণীয় অগ্রগতি নেই।
যে কারণে ওয়ান মিলিয়ন কোরআন বিতরণ করবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আনোয়ার ইব্রাহিম । | 52Bangla TV



















