ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

২০% মার্কিন শুল্ক: কেউ বলছেন ‘ভালো খবর’, আবার কেউ শঙ্কায় ‘গোপন চুক্তি’ নিয়ে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 202
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ছাড়ের খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এনসিপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক নেতাও একই মনোভাব পোষণ করেছেন।
তবে, সিপিবি ও জাতীয় পার্টির অপর একটি অংশ চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সেই চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে।

“একটা ভালো খবর” — মির্জা ফখরুল
শুক্রবার ঢাকার উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজ একটা ভালো খবর আছে। কয়েক দিন আগে আপনারা দেখেছেন যে, আমেরিকা আমাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছে। ট্যারিফ কী জানেন? আমরা যেসব পণ্য রপ্তানি করব, তার ওপরে ৩৫ শতাংশ ট্যাক্স নিয়ে নিবে। মানে ১০০ টাকার জিনিস, দাম পড়বে ১৩৫ টাকা। ফলে আমাদের জিনিসটা আর বিক্রি হবে না।”
‘‘ওটা আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর ও উপদেষ্টারা আলোচনা করে কমিয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সেজন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা একটা বড় দায়িত্ব পালন করেছে।”

শর্তের প্রকাশ দাবি — আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “পুরো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি।
“সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। এর (ট্যারিফ) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে, সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর ইমপেক্টটা কী হবে, সেটা আমরা বলতে পারছি না।”

‘ইতিবাচক উদ্যোগ’ বলছে জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, সরকারের উদ্যোগেই এই শুল্ক ছাড় সম্ভব হয়েছে। দলের আমির শফিকুর রহমান ফেইসবুকে লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে উচ্চ ট্যাক্স হার ঘোষণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তরিকতায় তা কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।”
“এজন্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

শুল্ক ছাড়: প্রেক্ষাপট
গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শতাধিক দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশ সরকার পরে আমদানি বাড়ানো ও বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার মতো পদক্ষেপ নেয়। আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ২০ শতাংশে শুল্ক নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।

চুক্তি গোপন? — প্রশ্ন সিপিবির
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন যখন এ ধরনের কর বসিয়েছে, তার পর থেকে আমাদের দেশের লোকজন গিয়ে দেন দরবার করছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে।
“আমেরিকা নাখোশ হয়— এমন কিছু করা যাবে না শুনেছি। যদি এ ধরনের কোনো অসম বা দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানো হয়, তাহলে সেটা জনগণের প্রকৃত কল্যাণ বয়ে আনবে না।”

‘গোপন চুক্তি হলে অশনি সংকেত’ — জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “ট্যারিফ ২০ শতাংশ যেটা করা হয়েছে, সেটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। কিন্তু কী কী শর্তে করা হয়েছে, সেটা জানার অধিকার আমাদের আছে।
“আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) করার কোনো সুযোগ নেই। অতীতে এনডিএ দিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।”

জাপার আরেক অংশের সমর্থন
জাপার সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তকে জাতীয় পার্টি স্বাগত জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি ইতিবাচক এবং আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ।”

এনসিপির বক্তব্য
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে, এটা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক।”
“যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় এটি প্রাথমিক বিজয়। তবে এ আলোচনা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে।”
“তবে এ ধরনের শুল্ক আলোচনার ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ শুল্ক বৃদ্ধি ও হ্রাস সাময়িক বিষয়। রপ্তানির বাজারে নতুন পণ্য যোগ হতে পারে আবার পুরনো পণ্য বাদও যেতে পারে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা সবসময় প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় থাকবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২০% মার্কিন শুল্ক: কেউ বলছেন ‘ভালো খবর’, আবার কেউ শঙ্কায় ‘গোপন চুক্তি’ নিয়ে

আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫


বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ছাড়ের খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এনসিপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক নেতাও একই মনোভাব পোষণ করেছেন।
তবে, সিপিবি ও জাতীয় পার্টির অপর একটি অংশ চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সেই চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে।

“একটা ভালো খবর” — মির্জা ফখরুল
শুক্রবার ঢাকার উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজ একটা ভালো খবর আছে। কয়েক দিন আগে আপনারা দেখেছেন যে, আমেরিকা আমাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছে। ট্যারিফ কী জানেন? আমরা যেসব পণ্য রপ্তানি করব, তার ওপরে ৩৫ শতাংশ ট্যাক্স নিয়ে নিবে। মানে ১০০ টাকার জিনিস, দাম পড়বে ১৩৫ টাকা। ফলে আমাদের জিনিসটা আর বিক্রি হবে না।”
‘‘ওটা আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর ও উপদেষ্টারা আলোচনা করে কমিয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সেজন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা একটা বড় দায়িত্ব পালন করেছে।”

শর্তের প্রকাশ দাবি — আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “পুরো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি।
“সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। এর (ট্যারিফ) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে, সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর ইমপেক্টটা কী হবে, সেটা আমরা বলতে পারছি না।”

‘ইতিবাচক উদ্যোগ’ বলছে জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, সরকারের উদ্যোগেই এই শুল্ক ছাড় সম্ভব হয়েছে। দলের আমির শফিকুর রহমান ফেইসবুকে লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে উচ্চ ট্যাক্স হার ঘোষণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তরিকতায় তা কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।”
“এজন্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

শুল্ক ছাড়: প্রেক্ষাপট
গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শতাধিক দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশ সরকার পরে আমদানি বাড়ানো ও বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার মতো পদক্ষেপ নেয়। আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ২০ শতাংশে শুল্ক নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।

চুক্তি গোপন? — প্রশ্ন সিপিবির
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন যখন এ ধরনের কর বসিয়েছে, তার পর থেকে আমাদের দেশের লোকজন গিয়ে দেন দরবার করছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে।
“আমেরিকা নাখোশ হয়— এমন কিছু করা যাবে না শুনেছি। যদি এ ধরনের কোনো অসম বা দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানো হয়, তাহলে সেটা জনগণের প্রকৃত কল্যাণ বয়ে আনবে না।”

‘গোপন চুক্তি হলে অশনি সংকেত’ — জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “ট্যারিফ ২০ শতাংশ যেটা করা হয়েছে, সেটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। কিন্তু কী কী শর্তে করা হয়েছে, সেটা জানার অধিকার আমাদের আছে।
“আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) করার কোনো সুযোগ নেই। অতীতে এনডিএ দিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।”

জাপার আরেক অংশের সমর্থন
জাপার সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তকে জাতীয় পার্টি স্বাগত জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি ইতিবাচক এবং আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ।”

এনসিপির বক্তব্য
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে, এটা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক।”
“যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় এটি প্রাথমিক বিজয়। তবে এ আলোচনা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে।”
“তবে এ ধরনের শুল্ক আলোচনার ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ শুল্ক বৃদ্ধি ও হ্রাস সাময়িক বিষয়। রপ্তানির বাজারে নতুন পণ্য যোগ হতে পারে আবার পুরনো পণ্য বাদও যেতে পারে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা সবসময় প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় থাকবে।”