ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • / 146

আদালত আসামি সামরিক কর্মকর্তারা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার সকালে এ আদেশ দেয়।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজনভ্যানে করে হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে নামার পর পুলিশ সদস্যরা তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান। এ সময় তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ, অপরাধী হলে পালিয়ে যেতেন: আইনজীবী

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নির্দোষ দাবি করে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন বলেছেন, “তারা যদি অপরাধী হতেন, তাহলে পালিয়ে যেতেন—যেমনটি শেখ হাসিনাসহ অন্যরা পালিয়েছেন।”

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার বর্তমান ও সাবেক ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এম সারোয়ার হোসেন বলেন, এসব কর্মকর্তাকে সাব জেলে রাখা হবে। তার দাবি, তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না; বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজ নিজ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি বলেন, “তারা পালাননি, কারণ তারা হত্যা করেননি। যেমন আকবর, তারেক সিদ্দিকী ও মুজিব পালিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, সাবেক এক আইজিপির রাজসাক্ষ্যে জানা যায়, গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত ছিলেন। এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্যই তারা আত্মসমর্পণ করেছেন।”

বর্তমান কর্মকর্তারা এখনও দায়িত্বে আছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

আসামীদের মধ্যে রয়েছেন:

আসামিদের মধ্যে ১০ জন র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার অভিযুক্ত। তারা হলেন—

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম

এ ছাড়া সেনাবাহিনীর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার তিন আসামি হলেন—

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন

বাকি দুইজন একসময় বিজিবিতে দায়িত্বে ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি তারা।

  • বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম

  • বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর রাফাত বিন আলম মুন

এই তিন মামলার মোট ২৮ আসামির মধ্যে বাকিদের পলাতক দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ আরও ১০ সাবেক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকীও তাদের একজন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই তিন মামলায় ২৮ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ১১ অক্টোবর সেনা সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই মামলাগুলোর ২৮ আসামির মধ্যে চাকরিতে থাকা ও এলপিআরে থাকা ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পরে তাদের রাখার জন্য ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী ‘কারাগার’ ঘোষণা করে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’

আপডেট সময় : ১১:২৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার সকালে এ আদেশ দেয়।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজনভ্যানে করে হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে নামার পর পুলিশ সদস্যরা তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান। এ সময় তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ, অপরাধী হলে পালিয়ে যেতেন: আইনজীবী

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নির্দোষ দাবি করে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন বলেছেন, “তারা যদি অপরাধী হতেন, তাহলে পালিয়ে যেতেন—যেমনটি শেখ হাসিনাসহ অন্যরা পালিয়েছেন।”

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার বর্তমান ও সাবেক ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এম সারোয়ার হোসেন বলেন, এসব কর্মকর্তাকে সাব জেলে রাখা হবে। তার দাবি, তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না; বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজ নিজ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি বলেন, “তারা পালাননি, কারণ তারা হত্যা করেননি। যেমন আকবর, তারেক সিদ্দিকী ও মুজিব পালিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, সাবেক এক আইজিপির রাজসাক্ষ্যে জানা যায়, গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত ছিলেন। এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্যই তারা আত্মসমর্পণ করেছেন।”

বর্তমান কর্মকর্তারা এখনও দায়িত্বে আছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

আসামীদের মধ্যে রয়েছেন:

আসামিদের মধ্যে ১০ জন র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার অভিযুক্ত। তারা হলেন—

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)

  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ

  • র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম

এ ছাড়া সেনাবাহিনীর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার তিন আসামি হলেন—

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন

বাকি দুইজন একসময় বিজিবিতে দায়িত্বে ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি তারা।

  • বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম

  • বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর রাফাত বিন আলম মুন

এই তিন মামলার মোট ২৮ আসামির মধ্যে বাকিদের পলাতক দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ আরও ১০ সাবেক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকীও তাদের একজন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই তিন মামলায় ২৮ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ১১ অক্টোবর সেনা সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই মামলাগুলোর ২৮ আসামির মধ্যে চাকরিতে থাকা ও এলপিআরে থাকা ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পরে তাদের রাখার জন্য ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী ‘কারাগার’ ঘোষণা করে সরকার।