ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি হাদির মাথা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তর তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল ধানমন্ডি এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি, নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ‘নীলনকশা’ বলছে বিএনপি

স্মরণঃ আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া)

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / 2110
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানুষ মরনশীল হলেও কর্মগুণে সে অমরত্ব লাভ করে। বেঁচে থাকার মানে শুধু জীবন নিয়েই বেঁচে থাকা নয়, নশ্বর এ জীবনটাকে কেউ কেউ কর্মযজ্ঞে/ কর্মগুণে অর্থবহ করে তোলেন, আলো ছড়িয়ে যান পৃথিবীতে, যার রেশ রয়ে যায় বহুকাল। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব- এই ভাবনা মানুষকে পরোপকারী হতে উদ্বুদ্ধ করে। স্বার্থের এই পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিঃস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া ভার।

আজ এমন একজন সাদা মনের মানুষের কথা লিখছি, যার হৃদয়, কর্ম, চেহারা ও ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। হৃদয়টা ছিল শিশুতুল্য সহজসরল, স্নেহ-ভালোববাসায় পূর্ণ। স্বার্থ ছাড়া অতি পরিশ্রমী, অসহায়কে সাহায্য দানই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত । আর যদি চেহারার কথা বলি, তাহলে বলবো হাজারো লোকের মাঝেও আমি তাঁর মিল পাইনি । সাধারন পোশাক-আশাক পড়েই তিনি একজন সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন।

সিলেটের এক সময়কার বিশিষ্ট ট্রেভেল ব্যবসায়ী এবং স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া), যিনি এক নামে “দলা মিয়া চেয়ারম্যান” হিসেবেই সমাদ্রিত ছিলেন এবং আজও আছেন ।

সিলেট দক্ষিণ সুরমা মোল্লারগাও ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গোপশহর গ্রামের এই কৃতি সন্তান ০৫ই মে ১৯৩৩ ইং তারিখে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম ডাঃ গজমফর আলী ( সরপঞ্চ) এবং মাতা মরহুমা লুতফুন্নেছা। আট ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়ো।

ষাটের দশকের একেবারে শুরুতে তাঁর নিজ হাতে গড়া সিলেটের প্রথম “IATA Approved” ট্রেভেল এজেন্ট- মাসুম ট্রেভেল্স যা তাঁকে ট্রেভেল ব্যবসায় খ্যাতির শিখড়ে নিয়ে যায়। উনি কাজিরবাজারের প্রধান শাখায় তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ১৯৭২ সালে বন্দর বাজারে এর শাখা অফিস খোলা হয় যেখানে তাঁর ছোটভাই ব্যবসায়িক অংশীদার মরহুম সিরাজুল ইসলাম (দানা মিয়া) বসতেন।

একাধারে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর সিলেটের একজন স্বনামধন্য বিচারী (শালিস ব্যক্তিত্ব) ছিলেন। উল্লেখ্য তিনি মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চ্যেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাপূর্ব এবং উত্তর সর্বমোট দু’দফায় চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি একজন সম্পূর্ণ প্রচারবিমূখ পরোপকারী, দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। কারো বিপদ আপদ শুনলেই তাৎক্ষণিক তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। আজীবন গরীব অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু হিসেবেই নিঃস্বার্থভাবে নিরবে নিভৃতে সাহায্য সহায়তা করে গেছেন।

তিনি একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে ষাটের দশকের প্রথম ভাগে নিজগ্রাম গোপশহরে জালালাবাদ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদান সর্বজনবিদিত। স্কুল প্রতিষ্ঠার পরপরই স্কুল গ্রান্ট করার জন্য বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য ছাত্রদের এনে নিজ উদ্যোগে তাদের থাকা-খাওয়া এবং লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করেন, যা নজিরবিহীন। এছাড়াও তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, মানুষে মানুষে কলহ-বিবাদ নিষ্পত্তিকরন, বিবাহ উপযুক্ত গরীব পাত্র- পাত্রীদের বিয়ে-শাদীর যাবতীয় খরচ বহন, গরীব রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি মহৎ কাজ আজীবন করে গেছেন। এছাড়াও তিনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।

স্বাধীনতা-উত্তর বিভিন্ন সময়ে বাবনা পয়েন্ট হতে কামালবাজার রোডের মধ্যবর্তী নদী পারের বিভিন্ন অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিনীল হওয়ার উপক্রম হলে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সরকারী সংস্থার সহযোগিতায় নদী ভাঙ্গন রোধ এবং রাস্তা সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা নেন।

মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ১৯৯১ইং সালের ১১ই জুলাই তিনি ইহজীবনের মায়া ত্যাগ করেন। রেখে গেছেন উনার সহধর্মিনী হাওয়ারুন্নেছা খানম। এক মেয়ে , চার ছেলে যারা সবাই স্বস্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সন্তানদের মধ্যে সবার বড়ো মেয়ে সাদেকা হানিফ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

বড়ো ছেলে সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খালেদুল ইসলাম কোহিনূর ও ছোট ছেলে মইনুল ইসলাম মহিনূর পরিবার সহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত।দ্বিতীয় ছেলে তারিকুল ইসলাম শাহিনূর ও তৃতীয় ছেলে তাদের পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্য বসবাস করছেন।
পারিবারিক উদ্যোগে তাঁর মরনোত্তর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘মোহাম্মাদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া) “স্মৃতি ফাউন্ডেশন” গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় নানা কর্মসূচী যেমন, ফ্রী চক্ষু শিবীর, গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ব্যয়ভার বহন করা ও অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়।

মৃত্যু অনিবার্য, এটি চিরন্তন সত্য। মানুষ সৎকর্মের মাধ্যমে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে। তিনিও ব্যতিক্রমি ছিলেন না। মানুষ তার অমরত্ব লাভ করে কর্মের মাধ্যমে। তিনিও আজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে পরোপকারে আত্ননিয়োগ করেছিলেন। মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন মানুষের হৃদয়ে।

নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ অবিনশ্বর হয় তাঁর কর্মগুণে। মানব কল্যাণে যারা কাজ করেন তারা মানুষের মনে বেঁচে থাকে অনন্তকাল। আর জীবনের স্বার্থকতা এখানেই নিহিত। মরহুম মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (দলা মিয়া) র এরকমই একজন মানুষ।তাঁর গৌরবোজ্জ্বল কর্মই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে । সৃষ্টিকর্তার কাছে উনার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়ার সকলের কাছে অনুরোধ রইলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্মরণঃ আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া)

আপডেট সময় : ০১:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

মানুষ মরনশীল হলেও কর্মগুণে সে অমরত্ব লাভ করে। বেঁচে থাকার মানে শুধু জীবন নিয়েই বেঁচে থাকা নয়, নশ্বর এ জীবনটাকে কেউ কেউ কর্মযজ্ঞে/ কর্মগুণে অর্থবহ করে তোলেন, আলো ছড়িয়ে যান পৃথিবীতে, যার রেশ রয়ে যায় বহুকাল। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব- এই ভাবনা মানুষকে পরোপকারী হতে উদ্বুদ্ধ করে। স্বার্থের এই পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিঃস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া ভার।

আজ এমন একজন সাদা মনের মানুষের কথা লিখছি, যার হৃদয়, কর্ম, চেহারা ও ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। হৃদয়টা ছিল শিশুতুল্য সহজসরল, স্নেহ-ভালোববাসায় পূর্ণ। স্বার্থ ছাড়া অতি পরিশ্রমী, অসহায়কে সাহায্য দানই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত । আর যদি চেহারার কথা বলি, তাহলে বলবো হাজারো লোকের মাঝেও আমি তাঁর মিল পাইনি । সাধারন পোশাক-আশাক পড়েই তিনি একজন সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন।

সিলেটের এক সময়কার বিশিষ্ট ট্রেভেল ব্যবসায়ী এবং স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া), যিনি এক নামে “দলা মিয়া চেয়ারম্যান” হিসেবেই সমাদ্রিত ছিলেন এবং আজও আছেন ।

সিলেট দক্ষিণ সুরমা মোল্লারগাও ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গোপশহর গ্রামের এই কৃতি সন্তান ০৫ই মে ১৯৩৩ ইং তারিখে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম ডাঃ গজমফর আলী ( সরপঞ্চ) এবং মাতা মরহুমা লুতফুন্নেছা। আট ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়ো।

ষাটের দশকের একেবারে শুরুতে তাঁর নিজ হাতে গড়া সিলেটের প্রথম “IATA Approved” ট্রেভেল এজেন্ট- মাসুম ট্রেভেল্স যা তাঁকে ট্রেভেল ব্যবসায় খ্যাতির শিখড়ে নিয়ে যায়। উনি কাজিরবাজারের প্রধান শাখায় তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ১৯৭২ সালে বন্দর বাজারে এর শাখা অফিস খোলা হয় যেখানে তাঁর ছোটভাই ব্যবসায়িক অংশীদার মরহুম সিরাজুল ইসলাম (দানা মিয়া) বসতেন।

একাধারে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর সিলেটের একজন স্বনামধন্য বিচারী (শালিস ব্যক্তিত্ব) ছিলেন। উল্লেখ্য তিনি মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চ্যেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাপূর্ব এবং উত্তর সর্বমোট দু’দফায় চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি একজন সম্পূর্ণ প্রচারবিমূখ পরোপকারী, দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। কারো বিপদ আপদ শুনলেই তাৎক্ষণিক তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। আজীবন গরীব অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু হিসেবেই নিঃস্বার্থভাবে নিরবে নিভৃতে সাহায্য সহায়তা করে গেছেন।

তিনি একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে ষাটের দশকের প্রথম ভাগে নিজগ্রাম গোপশহরে জালালাবাদ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদান সর্বজনবিদিত। স্কুল প্রতিষ্ঠার পরপরই স্কুল গ্রান্ট করার জন্য বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য ছাত্রদের এনে নিজ উদ্যোগে তাদের থাকা-খাওয়া এবং লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করেন, যা নজিরবিহীন। এছাড়াও তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, মানুষে মানুষে কলহ-বিবাদ নিষ্পত্তিকরন, বিবাহ উপযুক্ত গরীব পাত্র- পাত্রীদের বিয়ে-শাদীর যাবতীয় খরচ বহন, গরীব রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি মহৎ কাজ আজীবন করে গেছেন। এছাড়াও তিনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।

স্বাধীনতা-উত্তর বিভিন্ন সময়ে বাবনা পয়েন্ট হতে কামালবাজার রোডের মধ্যবর্তী নদী পারের বিভিন্ন অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিনীল হওয়ার উপক্রম হলে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সরকারী সংস্থার সহযোগিতায় নদী ভাঙ্গন রোধ এবং রাস্তা সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা নেন।

মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ১৯৯১ইং সালের ১১ই জুলাই তিনি ইহজীবনের মায়া ত্যাগ করেন। রেখে গেছেন উনার সহধর্মিনী হাওয়ারুন্নেছা খানম। এক মেয়ে , চার ছেলে যারা সবাই স্বস্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সন্তানদের মধ্যে সবার বড়ো মেয়ে সাদেকা হানিফ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

বড়ো ছেলে সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খালেদুল ইসলাম কোহিনূর ও ছোট ছেলে মইনুল ইসলাম মহিনূর পরিবার সহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত।দ্বিতীয় ছেলে তারিকুল ইসলাম শাহিনূর ও তৃতীয় ছেলে তাদের পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্য বসবাস করছেন।
পারিবারিক উদ্যোগে তাঁর মরনোত্তর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘মোহাম্মাদ নূরুল ইসলাম ( দলা মিয়া) “স্মৃতি ফাউন্ডেশন” গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় নানা কর্মসূচী যেমন, ফ্রী চক্ষু শিবীর, গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ব্যয়ভার বহন করা ও অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়।

মৃত্যু অনিবার্য, এটি চিরন্তন সত্য। মানুষ সৎকর্মের মাধ্যমে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে। তিনিও ব্যতিক্রমি ছিলেন না। মানুষ তার অমরত্ব লাভ করে কর্মের মাধ্যমে। তিনিও আজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে পরোপকারে আত্ননিয়োগ করেছিলেন। মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন মানুষের হৃদয়ে।

নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ অবিনশ্বর হয় তাঁর কর্মগুণে। মানব কল্যাণে যারা কাজ করেন তারা মানুষের মনে বেঁচে থাকে অনন্তকাল। আর জীবনের স্বার্থকতা এখানেই নিহিত। মরহুম মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (দলা মিয়া) র এরকমই একজন মানুষ।তাঁর গৌরবোজ্জ্বল কর্মই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে । সৃষ্টিকর্তার কাছে উনার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়ার সকলের কাছে অনুরোধ রইলো।