সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জীবনাবসান
- আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / 145
দেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই। ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এমেরিটাস অধ্যাপক শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত ৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নেওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতেই তার হার্টে দুইটি রিং পরানো হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ হলে সৈয়দ মনজুরুলকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ‘ভেন্টিলেশন সাপোর্ট’ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন তিনি।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে। তার বাবার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, মা রাবেয়া খাতুন। কালজয়ী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন তাঁর নানীর ভাই। মনজুরুল ইসলাম সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন; সিলেট এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।
১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
পেশাগত জীবনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অবসরের পর যোগ দেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক পান।
তার বইয়ের মধ্যে রয়েছে—পুস্তক প্রকাশনা ও সম্পাদনা প্রসঙ্গ, থাকা না থাকার গল্প, কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প, অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প, আধখানা মানুষ্য, দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, নন্দনতত্ত্ব, কতিপয় প্রবন্ধ, অলস দিনের হাওয়া।

















