ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা ও ইউনূসের একান্ত আলাপ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / 93

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও মুহাম্মদ ইউনূস

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক বছর পর আবারও সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া; অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের আসনে বসেই তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের মূল আয়োজন উপভোগ করেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে তিনি সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

গাড়ি থেকে নেমে হুইলচেয়ারে করে অনুষ্ঠানস্থলে যান খালেদা জিয়া। তার পরনে ছিল ল্যাভেন্ডার রঙের শিফন শাড়ি; উপস্থিতদের অভিবাদনের জবাব হাত তুলে দেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এসে পৌঁছালে বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সংবর্ধনা শুরু হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন।

বক্তৃতার শুরুতে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর কিছুক্ষণ পর সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। শুরুতেই তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কয়েক মিনিট ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন। পরে দুজন একসঙ্গে মূল অনুষ্ঠানস্থলে যান।

অনুষ্ঠানের ভেতরে পাশাপাশি বসা দুই নেতাকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়।

বিকাল ৪টার দিকে গুলশানের ফিরোজা থেকে সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। একই গাড়িতে ছিলেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি এবং প্রয়াত ভাই সাঈদ ইসকান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইসকান্দার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সেনাকুঞ্জের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ নানা রাজনৈতিক দলের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ছয় বছর পর গত বছরই সেনাকুঞ্জের এই আয়োজনে প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

বিভিন্ন জটিল অসুস্থতার কারণে তিনি এখন আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন না। গত এক বছরে তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে মাত্র একবার— ৮ অক্টোবর রাতে তিনি শেরেবাংলা নগরে স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন।

স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেন। প্রতি বছরই এই দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সেনাকুঞ্জে এই সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা ও ইউনূসের একান্ত আলাপ

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

এক বছর পর আবারও সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া; অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের আসনে বসেই তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের মূল আয়োজন উপভোগ করেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে তিনি সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

গাড়ি থেকে নেমে হুইলচেয়ারে করে অনুষ্ঠানস্থলে যান খালেদা জিয়া। তার পরনে ছিল ল্যাভেন্ডার রঙের শিফন শাড়ি; উপস্থিতদের অভিবাদনের জবাব হাত তুলে দেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এসে পৌঁছালে বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সংবর্ধনা শুরু হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন।

বক্তৃতার শুরুতে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর কিছুক্ষণ পর সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। শুরুতেই তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কয়েক মিনিট ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন। পরে দুজন একসঙ্গে মূল অনুষ্ঠানস্থলে যান।

অনুষ্ঠানের ভেতরে পাশাপাশি বসা দুই নেতাকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়।

বিকাল ৪টার দিকে গুলশানের ফিরোজা থেকে সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। একই গাড়িতে ছিলেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি এবং প্রয়াত ভাই সাঈদ ইসকান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইসকান্দার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সেনাকুঞ্জের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ নানা রাজনৈতিক দলের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ছয় বছর পর গত বছরই সেনাকুঞ্জের এই আয়োজনে প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

বিভিন্ন জটিল অসুস্থতার কারণে তিনি এখন আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন না। গত এক বছরে তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে মাত্র একবার— ৮ অক্টোবর রাতে তিনি শেরেবাংলা নগরে স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন।

স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেন। প্রতি বছরই এই দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সেনাকুঞ্জে এই সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।