ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ সংশোধন, প্রবাসীদের কতটা সুবিধা হল? রূপসায় গুলিতে সৌদি প্রবাসী যুবক নিহত গণভোট প্রশ্নে বিএনপির প্রস্তাব ভুল, স্বীকার করলেন আমীর খসরু ‘আসন সমঝোতা’ জামায়াতের ‘গোপন’ কৌশল? ট্রাম্প বললেন, নিউইয়র্ক সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে, কমিউনিস্ট শহর হয়ে যাবে সৌদিতে সভা-সমাবেশে কঠোর ব্যবস্থা: সতর্কতা দূতাবাসের মামদানির জয়—ট্রাম্পের ক্ষমতা কি নড়বড়ে হচ্ছে? চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে গুলি বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সরোয়ার নিহত নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানি, ভাঙলেন সর্বকনিষ্ঠের রেকর্ড পিতৃপরিচয়ে ধানের শীষ পেলেন ২৪ জন, প্রথমবার নির্বাচনে ৮১ জন

সালমান শাহ হত্যা মামলায় শাবনূর কেন আসামী

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / 146

চিত্রনায়িকা শাবনূর

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নব্বইয়ের দশকে মাত্র চার বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এত বছর পরও এই জনপ্রিয় নায়কের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর ঢাকার রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এর পরদিন ২১ অক্টোবর সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম ওই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা মামলাটিতে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তার সহঅভিনেত্রী শাবনূর। আজ সোমবার বিকেলে তিনি লেখেন, ‘আবারও সালমান শাহ প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু কথা! ২৯ বছর আগে কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ২১ অক্টোবর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানকালীন আমি সংবাদমাধ্যমের খবরে এ বিষয়ে অবহিত হয়েছি।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে শাবনূর লেখেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চাইছেন। তবে যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই শুরুতে এ নিয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সালমান শাহ সংক্রান্ত এই মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভ্রান্ত প্রচার চালাচ্ছেন। আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন এসব গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি, সত্যতা-বিবর্জিত ও ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন।’

সালমান শাহকে স্মরণ করে শাবনূর বলেন, ‘সালমান শাহ ছিল আমার অত্যন্ত প্রিয় সহ-অভিনেতা। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সালমান ছিল একজন জনপ্রিয়, অসাধারণ শক্তিমান ও প্রতিভাবান অভিনেতা। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, তাঁর সঙ্গে কাজ করায় আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বিকশিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমাদের জুটির সাফল্য একসময় অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ কেউ হয়তো নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।’

সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে শাবনূর লেখেন, ‘আজও আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন, তা আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তাঁর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। যে-ই দোষী হোক না কেন, তাকে যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়—এটাই আমার একান্ত দাবি ও প্রত্যাশা।’

সালমানের মায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘সন্তান হারানোর বেদনা কতটা অসহনীয়, তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলেই অনুভব করা যায়। আমি আন্টি ও তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানাচ্ছি এবং সর্বোপরি সালমান শাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

সালমান শাহ হত্যা মামলায় শাবনূর কেন আসামী

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

নব্বইয়ের দশকে মাত্র চার বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এত বছর পরও এই জনপ্রিয় নায়কের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর ঢাকার রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এর পরদিন ২১ অক্টোবর সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম ওই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা মামলাটিতে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তার সহঅভিনেত্রী শাবনূর। আজ সোমবার বিকেলে তিনি লেখেন, ‘আবারও সালমান শাহ প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু কথা! ২৯ বছর আগে কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ২১ অক্টোবর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানকালীন আমি সংবাদমাধ্যমের খবরে এ বিষয়ে অবহিত হয়েছি।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে শাবনূর লেখেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চাইছেন। তবে যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই শুরুতে এ নিয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সালমান শাহ সংক্রান্ত এই মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভ্রান্ত প্রচার চালাচ্ছেন। আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন এসব গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি, সত্যতা-বিবর্জিত ও ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন।’

সালমান শাহকে স্মরণ করে শাবনূর বলেন, ‘সালমান শাহ ছিল আমার অত্যন্ত প্রিয় সহ-অভিনেতা। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সালমান ছিল একজন জনপ্রিয়, অসাধারণ শক্তিমান ও প্রতিভাবান অভিনেতা। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, তাঁর সঙ্গে কাজ করায় আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বিকশিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমাদের জুটির সাফল্য একসময় অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ কেউ হয়তো নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।’

সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে শাবনূর লেখেন, ‘আজও আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন, তা আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তাঁর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। যে-ই দোষী হোক না কেন, তাকে যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়—এটাই আমার একান্ত দাবি ও প্রত্যাশা।’

সালমানের মায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘সন্তান হারানোর বেদনা কতটা অসহনীয়, তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলেই অনুভব করা যায়। আমি আন্টি ও তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানাচ্ছি এবং সর্বোপরি সালমান শাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’