ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সাগর-রুনি হত্যা: এখনও গোলকধাঁধাতেই তদন্ত, পেছাল ১১৯ বার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 312
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা রহস্যের জট খুলছে না প্রায় সাড়ে ১৩ বছরেও। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন ওই সরকার বিদায় নিলেই সম্ভব হবে বলে অনেকের ধারণা ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের প্রায় এক বছর হতে চললেও মামলার তদন্ত এখনও গোলকধাঁধার মতোই ঘুরপাক খাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত নতুন করে প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১১ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ নিয়ে ১১৯ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ। এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত তারিখ ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আবারও ব্যর্থ হলে আদালত নতুন তারিখ দেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় উপস্থিত ছিলেন তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙায় এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে থানা পুলিশ, পরে তা হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি)।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায়, ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল, হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর তদন্তভার যায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে।

১২ বছরেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত র‌্যাবকে ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

সেদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, মামলাটির তদন্ত করবে একটি ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স’, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিট মামলায় হাইকোর্ট আদেশ সংশোধন করে এই নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশে সরকার চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, যার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন পিবিআই প্রধান নিজে।

এই মামলার আসামিরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান।

তানভীর ও পলাশ জামিনে আছেন, বাকিরা রয়েছেন কারাগারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাগর-রুনি হত্যা: এখনও গোলকধাঁধাতেই তদন্ত, পেছাল ১১৯ বার

আপডেট সময় : ০৩:২২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা রহস্যের জট খুলছে না প্রায় সাড়ে ১৩ বছরেও। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন ওই সরকার বিদায় নিলেই সম্ভব হবে বলে অনেকের ধারণা ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের প্রায় এক বছর হতে চললেও মামলার তদন্ত এখনও গোলকধাঁধার মতোই ঘুরপাক খাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত নতুন করে প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১১ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ নিয়ে ১১৯ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ। এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত তারিখ ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আবারও ব্যর্থ হলে আদালত নতুন তারিখ দেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় উপস্থিত ছিলেন তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙায় এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে থানা পুলিশ, পরে তা হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি)।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায়, ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল, হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর তদন্তভার যায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে।

১২ বছরেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত র‌্যাবকে ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

সেদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, মামলাটির তদন্ত করবে একটি ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স’, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিট মামলায় হাইকোর্ট আদেশ সংশোধন করে এই নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশে সরকার চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, যার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন পিবিআই প্রধান নিজে।

এই মামলার আসামিরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান।

তানভীর ও পলাশ জামিনে আছেন, বাকিরা রয়েছেন কারাগারে।