ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে, শঙ্কা ও উদ্বেগ জামায়াতের

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 207

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জামায়াত নেতা তাহের

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে জাতীয় সংসদের মতো বড় একটি নির্বাচন পরিচালনা করবে—এ বিষয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, “আগে একদল বাসস্ট্যান্ড দখল করত, এখন আরেকটি গ্রুপ দখল নিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।”

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) বৈঠক করে জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, যিনি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “এখনও যে সময় রয়েছে, সরকার যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে একটি নির্বাচন আয়োজনও সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে একমত হলেও কার্যকারিতার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছি। এখন জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, দেশ কি কোনো নীলনকশার নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে? সরকার লন্ডনে একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল, যা নজিরবিহীন। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং একটি দলকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।”

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের অভিযোগ করেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রের দিনে (৫ আগস্ট) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আসলে কোনো চাপের ফল। সরকারের উচিত ছিল জুলাই সনদ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তারিখ প্রকাশ করা।”

জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “নুরুল হকের (গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি) ওপর হামলার ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে বলেছে জামায়াত। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে, শঙ্কা ও উদ্বেগ জামায়াতের

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে জাতীয় সংসদের মতো বড় একটি নির্বাচন পরিচালনা করবে—এ বিষয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, “আগে একদল বাসস্ট্যান্ড দখল করত, এখন আরেকটি গ্রুপ দখল নিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।”

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) বৈঠক করে জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, যিনি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “এখনও যে সময় রয়েছে, সরকার যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে একটি নির্বাচন আয়োজনও সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে একমত হলেও কার্যকারিতার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছি। এখন জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, দেশ কি কোনো নীলনকশার নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে? সরকার লন্ডনে একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল, যা নজিরবিহীন। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং একটি দলকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।”

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের অভিযোগ করেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রের দিনে (৫ আগস্ট) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আসলে কোনো চাপের ফল। সরকারের উচিত ছিল জুলাই সনদ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তারিখ প্রকাশ করা।”

জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “নুরুল হকের (গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি) ওপর হামলার ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে বলেছে জামায়াত। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।”