ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের একই আইনজীবী নিয়ে বার্গম্যানের প্রশ্ন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / 155
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম নিয়ে লিখে আসছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ (রোববার) বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচার শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমার কিছু উদ্বেগ রয়েছে:

এক. আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এক আইনজীবী, দুই মক্কেল
ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার পক্ষে যে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে, তিনি কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রীরই নয়, অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও আইনজীবী। উভয়েই পলাতক। এটি বড় ধরনের সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা তাঁদের প্রত্যেকের সঠিক আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার পথে বাধা। কারণ বিচারে তাঁদের আলাদা স্বার্থ থাকতে পারে—উদাহরণস্বরূপ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর দায় চাপাতে পারেন, অথবা উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে।

প্রত্যেক পলাতক আসামির পক্ষে অবশ্যই পৃথক আইনজীবী থাকা উচিত। এ সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালকে নিতে হবে। শেখ হাসিনা

দুই. আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুতির সময়
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছেন, অর্থাৎ বিচার শুরুর পাঁচ সপ্তাহ আগে। বার্গম্যানের মতে, এই সময়ের মধ্যে কোনো আইনজীবীর পক্ষে দুই মক্কেলের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যথাযথ কৌশল প্রণয়ন, গবেষণা এবং প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি নেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। বিশেষ করে যখন আইনজীবী তাঁর মক্কেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে কোনো আবেদন করেননি। বার্গম্যান জানিয়েছেন, তিনি যখন আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন কেন তিনি শুনানি মুলতবির আবেদন করেননি, তখন তিনি জানান, ‘যখন প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি আবেদন করবেন এবং তিনি আজ প্রথম সাক্ষীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’ শেখ হাসিনা

বার্গম্যান বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, হাসিনার নিজস্ব আইনজীবী থাকলে তাঁরা অবশ্যই শুনানি মুলতবির আবেদন করতেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর তা না করা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।”

তিন. সাক্ষ্যের ‘বৈপরীত্য’ নিয়ে জেরা বন্ধ করল প্রসিকিউশন/ট্রাইব্যুনাল

(জামায়াত নেতা) কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ মামলায় (যেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল এবং যেটি শেখ হাসিনার সরকারের সময় সিদ্ধান্ত হয়) ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের একটি রায় ব্যবহার করে প্রসিকিউশন প্রথম সাক্ষীকে জেরা করতে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে বাধা দেয়। এই জেরা ছিল পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য এবং আজ আদালতে দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে।

এ ধরনের জেরা বাংলাদেশের সাধারণ ফৌজদারি আদালতে একটি প্রচলিত পদ্ধতি। বার্গম্যান লিখেছেন, “যে ঘটনাকে পরিহাস বলা যায়, এমনকি আরও শক্তিশালী শব্দে প্রকাশ করা যেতে পারে—প্রসিকিউশনের এই আচরণ ছিল খুবই লক্ষণীয়। এক দশক আগে জামায়াতের নেতাদের বিচারের সময়, তৎকালীন প্রসিকিউটররা একই ধরনের বৈপরীত্য তুলে ধরা থেকে আসামিপক্ষকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন।”

তখন জামায়াতের আইনজীবীরা, যাঁদের মধ্যে তাজুল ইসলাম এবং অনেকে আজকের প্রসিকিউটর দলে রয়েছেন, শক্তিশালী যুক্তি তুলে ধরে বলেছিলেন, সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা অন্যায়। তখন কাদের মোল্লার মামলায় আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, আইসিটি আইন ও বিধিতে এমন সুযোগ নেই।

এখন সেই একই রায় বর্তমান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ব্যবহার করছেন। বার্গম্যান বলেন, “যে নিয়ম তিনি অতীতে অত্যন্ত অন্যায্য বলে মনে করেছিলেন, এখন তিনি সেটিই প্রয়োগ করছেন, আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা তাতে সম্মত হয়েছেন।” শেখ হাসিনা

তিনি আরও জানান, যখন তিনি তাজুল ইসলামকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটি আপিল বিভাগের নির্দেশনা।’

জেরা শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে ‘একটি ভালো জেরা’ করার জন্য অভিনন্দন জানান। বার্গম্যানের মতে, “যখন আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার সুযোগ এতটা সীমিত, তখন কীভাবে এ মন্তব্য করা হলো, তা স্পষ্ট নয়।”

উপসংহারে বার্গম্যান বলেন, যদি ট্রাইব্যুনাল আপিল বিভাগের রায় মেনে চলতে থাকে—যা এখন সাধারণভাবে বিতর্কিত ও অন্যায্য হিসেবে বিবেচিত—তবে সরকারের উচিত আইন সংশোধন করা, যাতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যের বৈপরীত্যের ভিত্তিতে সাক্ষীকে জেরা করার সুযোগ পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের একই আইনজীবী নিয়ে বার্গম্যানের প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম নিয়ে লিখে আসছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ (রোববার) বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচার শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমার কিছু উদ্বেগ রয়েছে:

এক. আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এক আইনজীবী, দুই মক্কেল
ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার পক্ষে যে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে, তিনি কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রীরই নয়, অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও আইনজীবী। উভয়েই পলাতক। এটি বড় ধরনের সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা তাঁদের প্রত্যেকের সঠিক আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার পথে বাধা। কারণ বিচারে তাঁদের আলাদা স্বার্থ থাকতে পারে—উদাহরণস্বরূপ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর দায় চাপাতে পারেন, অথবা উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে।

প্রত্যেক পলাতক আসামির পক্ষে অবশ্যই পৃথক আইনজীবী থাকা উচিত। এ সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালকে নিতে হবে। শেখ হাসিনা

দুই. আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুতির সময়
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছেন, অর্থাৎ বিচার শুরুর পাঁচ সপ্তাহ আগে। বার্গম্যানের মতে, এই সময়ের মধ্যে কোনো আইনজীবীর পক্ষে দুই মক্কেলের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যথাযথ কৌশল প্রণয়ন, গবেষণা এবং প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি নেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। বিশেষ করে যখন আইনজীবী তাঁর মক্কেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে কোনো আবেদন করেননি। বার্গম্যান জানিয়েছেন, তিনি যখন আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন কেন তিনি শুনানি মুলতবির আবেদন করেননি, তখন তিনি জানান, ‘যখন প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি আবেদন করবেন এবং তিনি আজ প্রথম সাক্ষীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’ শেখ হাসিনা

বার্গম্যান বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, হাসিনার নিজস্ব আইনজীবী থাকলে তাঁরা অবশ্যই শুনানি মুলতবির আবেদন করতেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর তা না করা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।”

তিন. সাক্ষ্যের ‘বৈপরীত্য’ নিয়ে জেরা বন্ধ করল প্রসিকিউশন/ট্রাইব্যুনাল

(জামায়াত নেতা) কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ মামলায় (যেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল এবং যেটি শেখ হাসিনার সরকারের সময় সিদ্ধান্ত হয়) ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের একটি রায় ব্যবহার করে প্রসিকিউশন প্রথম সাক্ষীকে জেরা করতে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে বাধা দেয়। এই জেরা ছিল পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য এবং আজ আদালতে দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে।

এ ধরনের জেরা বাংলাদেশের সাধারণ ফৌজদারি আদালতে একটি প্রচলিত পদ্ধতি। বার্গম্যান লিখেছেন, “যে ঘটনাকে পরিহাস বলা যায়, এমনকি আরও শক্তিশালী শব্দে প্রকাশ করা যেতে পারে—প্রসিকিউশনের এই আচরণ ছিল খুবই লক্ষণীয়। এক দশক আগে জামায়াতের নেতাদের বিচারের সময়, তৎকালীন প্রসিকিউটররা একই ধরনের বৈপরীত্য তুলে ধরা থেকে আসামিপক্ষকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন।”

তখন জামায়াতের আইনজীবীরা, যাঁদের মধ্যে তাজুল ইসলাম এবং অনেকে আজকের প্রসিকিউটর দলে রয়েছেন, শক্তিশালী যুক্তি তুলে ধরে বলেছিলেন, সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা অন্যায়। তখন কাদের মোল্লার মামলায় আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, আইসিটি আইন ও বিধিতে এমন সুযোগ নেই।

এখন সেই একই রায় বর্তমান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ব্যবহার করছেন। বার্গম্যান বলেন, “যে নিয়ম তিনি অতীতে অত্যন্ত অন্যায্য বলে মনে করেছিলেন, এখন তিনি সেটিই প্রয়োগ করছেন, আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা তাতে সম্মত হয়েছেন।” শেখ হাসিনা

তিনি আরও জানান, যখন তিনি তাজুল ইসলামকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটি আপিল বিভাগের নির্দেশনা।’

জেরা শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে ‘একটি ভালো জেরা’ করার জন্য অভিনন্দন জানান। বার্গম্যানের মতে, “যখন আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার সুযোগ এতটা সীমিত, তখন কীভাবে এ মন্তব্য করা হলো, তা স্পষ্ট নয়।”

উপসংহারে বার্গম্যান বলেন, যদি ট্রাইব্যুনাল আপিল বিভাগের রায় মেনে চলতে থাকে—যা এখন সাধারণভাবে বিতর্কিত ও অন্যায্য হিসেবে বিবেচিত—তবে সরকারের উচিত আইন সংশোধন করা, যাতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যের বৈপরীত্যের ভিত্তিতে সাক্ষীকে জেরা করার সুযোগ পান।