রায় ঘোষণার তারিখ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে। দলটির ঘোষিত বিক্ষোভের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বোমা হামলা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।
এই পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে।
এলাকাজুড়ে বিজিবি ও পুলিশের সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে একাধিক নিরাপত্তা বলয়। ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের সময় সাংবাদিক ও আইনজীবীদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে বুধবার থেকেই ঢাকায় প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
ঢাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে বাইরে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন—এমন খবরে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতভর হোটেল-মেসে অভিযান চালায় পুলিশ। অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পেশা এবং ঢাকায় আসার কারণ যাচাই করা হয়। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনেও খোঁজা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো তথ্য।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। সকালে ঢাকার সড়কগুলো ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। অনেকদিন পর রাজধানীতে হরতালের চিত্র বিরাজ করছে।
পরিস্থিতির অনিশ্চয়তায় রাজধানীর অনেক বেসরকারি সংস্থা বুধবার কর্মীদের ‘হোম অফিস’ করার নির্দেশ দিয়েছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিলেও পরে সরকারি চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করেছে। কিছু স্কুল শিক্ষকদের অফিসে উপস্থিত থাকতে বললেও শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে আসতে নিষেধ করেছে। কয়েকটি স্কুল আবার ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

















