ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

রিপন মিয়া কে, কেনো এত আলোচনা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / 135

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিপন মিয়া ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছেন। তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে দেশের বিশিষ্টজন পর্যন্ত আলোচনা করছেন, আর গণমাধ্যমে তার প্রতিফলন ও কভারেজও বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।

রিপন মিয়া কে

নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের রিপন মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার ভিডিওর ‘হাই আই এম রিপন ভিডিও’, ‘আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব’ সংলাপগুলো দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে তার ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১.৯ মিলিয়ন।

অভিযোগ ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্টের পরেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনাটি টেলিভিশন, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতেও পৌঁছায় এবং পোস্টটি ভাইরাল হয়।
পোস্টে থাকা অভিযোগের পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে দেশের একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক নেত্রকোণা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে রিপনের বাড়িতে পৌঁছেন। সেখানে দেখা যায়, বাড়িতে নতুন বিল্ডিং ঘর নির্মাণের কাজ চলছে এবং মিস্ত্রিরা ব্যস্তভাবে কাজ করছেন। সাংবাদিক পরিচয় জানানোর পর রিপন বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলার অনুমতি দেন।

রিপন মিয়ার বক্তব্য

রিপন মিয়া বলেন, ‘মূল বিষয় হলো আমাদের নেত্রকোণার মানুষগুলো ভালো না। একজনের ভালো আরেকজন দেখতে পারে না। এটা আমার থেকে আপনি ভালো জানেন যে, একজন উপরে উঠলে আরেকজন টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। এলাকার মানুষ যে কেমন ভালো, সেটা এলাকায় থাকলে বোঝা যায়। ক্ষেতের সাথে ক্ষেত থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায়।’

একই সময় তিনি প্রাণনাশের হুমকি ও পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে বলা বিভিন্ন অভিযোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়ার পর টাকা-পয়সা আসা শুরু হওয়ার পর থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। রিপন দাবি করেন, তাকে এক ব্যক্তি দুই কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল কাজ করার বিনিময়ে—যার সঙ্গে তিনি রাজি হননি এবং তারপরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও অনেকেই কনটেন্ট বানানো শুরু করেছেন। কিন্তু তারা আমার মতো জনপ্রিয় হতে পারছে না, তারাই মূলত এই ঝামেলাটা তৈরি করেছে। আমি আজকে রাজি হয়েছি। তারা দুই কোটি টাকা ক্যাশ দেবে। স্ট্যাম্পে চুক্তি করে এক বছরের জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করব। সব ঠিকঠাক থাকলে তাদের সঙ্গে এক বছর কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে বক্তব্য

ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকির প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে না চেয়ে রিপন বলেন, তিনি সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না এবং তাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, লেখাপড়া না জানায় বাংলা লেখা পড়তে অসুবিধা হয়—“‘ক’ লিখতে কলম ভেঙে ফেলি। বাংলা লেখা সামনে এনে দিলে পড়তে পারি না। তাহলে আমি এই পোস্ট কীভাবে করব বুঝেন না?”—এমন কথাও বলেন তিনি।
টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে হওয়া বাগবিতণ্ডা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বাড়িতে না থাকাকালীনই সাংবাদিকরা হুট করে ভিডিও করতে শুরু করে; তিনি চাইলে টিভি চ্যানেল ও সাংবাদিকের নাম বলতে পারতেন, কিন্তু নিজের পোস্টে তিনি নাম উল্লেখ করেননি বলে জানান।
প্রাণনাশের হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও থানায় অভিযোগ না করার কারণ জানতে চাইলে রিপন বলেন, তিনি ঝগড়া-টাকরাতে বিশ্বাসী না—“আজকে মরলে কালকে দুই দিন। আমি কাউকে অসম্মান করতে চাই না। অনলাইনে কনটেন্ট বানাই, এটা আজকে আছে কালকে নাই!”—এমন যুক্তিও দেন। তিনি আরও বলেন, যারা তাকে চুক্তির অফার দিয়েছে, তাদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তিতে যাওয়ার পরও তারা তাকে দিয়ে ‘যেকোনো’ ভিডিও করাতে পারবে না এবং তিনি অসামাজিক কোনো কাজ করতে রাজি হবেন না।

কেন এক বছরের চুক্তিতে বাধ্য হচ্ছেন—এর উত্তরে রিপন বলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস থাকে যেগুলো সরাসরি বলা যায় না, বুঝে নিতে হয়। কিছু জিনিস দেখেও চেখকে বলবো দেখো না, কানকে বলব শুনো না, এটাই বাস্তবতা। এখন আমি যাই, আমার অনেক ব্যস্ততা। আসসালামু আলাইকুম। মাইন্ড কইরেন না, মাইন্ড করলে সাইন করতে পারবেন না।’

এটিএন বাংলার রিপোর্টের প্রশংসা
বিতর্কে অংশ নিয়ে এটিএন বাংলার রিপোর্টের প্রশংসার করেছেন সাংবাদিক আনিস আলমগীর। তিনি লিখেছেন, ‘রিপন মিয়াকে নিয়ে দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ হাউকাউ চলছে। আমি আজকে ঘটনাটা বিস্তারিত জানলাম। অনেককে দেখলাম, রিপন মিয়ার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এটিএন বাংলার একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করছেন। কিন্তু ভাবুন, যদি কারো বাবা-মা অভিযোগ করেন যে তাদের ছেলে খোঁজখবর নেয় না, কিংবা বিয়ে করা বউকে ‘ভাবি’ বলে, সন্তান গোপন করে—এমন তথ্য যদি সংবাদে আসে, সেখানে অন্যায়টা কোথায়? বরং সেই প্রতিবেদনের পর রিপন মিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন—এটাই তো একটি ইতিবাচক দিক। সমাজে এমন ঘটনা অগণিত, কে কার খোঁজ রাখে! কিন্তু কেউ সেলিব্রেটি হয়ে উঠলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের কৌতূহল বেড়ে যায়, আর সেই কৌতূহলের জবাব দেওয়াটাই মিডিয়ার দায়িত্ব। আপনারা অভিনেত্রীদের ব্যক্তিজীবন জানতে আগ্রহী, পরিমনি কয়টা সাঙ্গা করেছে সেটা জানতে চান। কিন্তু কোনো নেত্রীর ব্যক্তিজীবন নিয়ে খবর হলে সেটাকে পাপ মনে করেন। বড়লোক সেলিব্রেটিদের পারিবারিক গল্পে আপনাদের আগ্রহ অফুরন্ত, কিন্তু গরিব সেলিব্রেটির একই রকম গল্প এলে তখন আপনারা শ্রেণিচেতনায় ‘পোলেতারিয়েত’ সাজার ভান ধরেন—কেন? আমি এটিএন বাংলার রিপোর্টারকে অভিনন্দন জানাই। অন্য একটি রিপোর্ট করতে গিয়ে সে এই রিপোর্ট পেয়েছে এটাও তার ভালো পেশাদারিত্ব প্রদর্শন।’

কবি ব্রাত্য রাইসু লিখেছেন, ‘হিংসুটে মধ্যবিত্তগুলার খুব গায়ে লাগতেছে যে কেন অগো সেলিব্রিটিগুলিরে বাদ দিয়া লোকে রিপন মিয়ারে নিয়া কথা বলতেছে!’

জনপ্রিয় কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, ‘রিপন মিয়ার উচিত ড. মাহফুজসহ এটিএন নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা। মাইক্রোফোন আর ক্যামেরা কোথায়/কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা না জানা সাংবাদিকগুলার কারণে পৃথিবীতে বাস করাই দায় হয়ে গেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

রিপন মিয়া কে, কেনো এত আলোচনা

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিপন মিয়া ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছেন। তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে দেশের বিশিষ্টজন পর্যন্ত আলোচনা করছেন, আর গণমাধ্যমে তার প্রতিফলন ও কভারেজও বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।

রিপন মিয়া কে

নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের রিপন মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার ভিডিওর ‘হাই আই এম রিপন ভিডিও’, ‘আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব’ সংলাপগুলো দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে তার ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১.৯ মিলিয়ন।

অভিযোগ ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্টের পরেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনাটি টেলিভিশন, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতেও পৌঁছায় এবং পোস্টটি ভাইরাল হয়।
পোস্টে থাকা অভিযোগের পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে দেশের একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক নেত্রকোণা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে রিপনের বাড়িতে পৌঁছেন। সেখানে দেখা যায়, বাড়িতে নতুন বিল্ডিং ঘর নির্মাণের কাজ চলছে এবং মিস্ত্রিরা ব্যস্তভাবে কাজ করছেন। সাংবাদিক পরিচয় জানানোর পর রিপন বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলার অনুমতি দেন।

রিপন মিয়ার বক্তব্য

রিপন মিয়া বলেন, ‘মূল বিষয় হলো আমাদের নেত্রকোণার মানুষগুলো ভালো না। একজনের ভালো আরেকজন দেখতে পারে না। এটা আমার থেকে আপনি ভালো জানেন যে, একজন উপরে উঠলে আরেকজন টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। এলাকার মানুষ যে কেমন ভালো, সেটা এলাকায় থাকলে বোঝা যায়। ক্ষেতের সাথে ক্ষেত থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায়।’

একই সময় তিনি প্রাণনাশের হুমকি ও পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে বলা বিভিন্ন অভিযোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়ার পর টাকা-পয়সা আসা শুরু হওয়ার পর থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। রিপন দাবি করেন, তাকে এক ব্যক্তি দুই কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল কাজ করার বিনিময়ে—যার সঙ্গে তিনি রাজি হননি এবং তারপরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও অনেকেই কনটেন্ট বানানো শুরু করেছেন। কিন্তু তারা আমার মতো জনপ্রিয় হতে পারছে না, তারাই মূলত এই ঝামেলাটা তৈরি করেছে। আমি আজকে রাজি হয়েছি। তারা দুই কোটি টাকা ক্যাশ দেবে। স্ট্যাম্পে চুক্তি করে এক বছরের জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করব। সব ঠিকঠাক থাকলে তাদের সঙ্গে এক বছর কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে বক্তব্য

ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকির প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে না চেয়ে রিপন বলেন, তিনি সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না এবং তাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, লেখাপড়া না জানায় বাংলা লেখা পড়তে অসুবিধা হয়—“‘ক’ লিখতে কলম ভেঙে ফেলি। বাংলা লেখা সামনে এনে দিলে পড়তে পারি না। তাহলে আমি এই পোস্ট কীভাবে করব বুঝেন না?”—এমন কথাও বলেন তিনি।
টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে হওয়া বাগবিতণ্ডা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বাড়িতে না থাকাকালীনই সাংবাদিকরা হুট করে ভিডিও করতে শুরু করে; তিনি চাইলে টিভি চ্যানেল ও সাংবাদিকের নাম বলতে পারতেন, কিন্তু নিজের পোস্টে তিনি নাম উল্লেখ করেননি বলে জানান।
প্রাণনাশের হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও থানায় অভিযোগ না করার কারণ জানতে চাইলে রিপন বলেন, তিনি ঝগড়া-টাকরাতে বিশ্বাসী না—“আজকে মরলে কালকে দুই দিন। আমি কাউকে অসম্মান করতে চাই না। অনলাইনে কনটেন্ট বানাই, এটা আজকে আছে কালকে নাই!”—এমন যুক্তিও দেন। তিনি আরও বলেন, যারা তাকে চুক্তির অফার দিয়েছে, তাদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তিতে যাওয়ার পরও তারা তাকে দিয়ে ‘যেকোনো’ ভিডিও করাতে পারবে না এবং তিনি অসামাজিক কোনো কাজ করতে রাজি হবেন না।

কেন এক বছরের চুক্তিতে বাধ্য হচ্ছেন—এর উত্তরে রিপন বলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস থাকে যেগুলো সরাসরি বলা যায় না, বুঝে নিতে হয়। কিছু জিনিস দেখেও চেখকে বলবো দেখো না, কানকে বলব শুনো না, এটাই বাস্তবতা। এখন আমি যাই, আমার অনেক ব্যস্ততা। আসসালামু আলাইকুম। মাইন্ড কইরেন না, মাইন্ড করলে সাইন করতে পারবেন না।’

এটিএন বাংলার রিপোর্টের প্রশংসা
বিতর্কে অংশ নিয়ে এটিএন বাংলার রিপোর্টের প্রশংসার করেছেন সাংবাদিক আনিস আলমগীর। তিনি লিখেছেন, ‘রিপন মিয়াকে নিয়ে দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ হাউকাউ চলছে। আমি আজকে ঘটনাটা বিস্তারিত জানলাম। অনেককে দেখলাম, রিপন মিয়ার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এটিএন বাংলার একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করছেন। কিন্তু ভাবুন, যদি কারো বাবা-মা অভিযোগ করেন যে তাদের ছেলে খোঁজখবর নেয় না, কিংবা বিয়ে করা বউকে ‘ভাবি’ বলে, সন্তান গোপন করে—এমন তথ্য যদি সংবাদে আসে, সেখানে অন্যায়টা কোথায়? বরং সেই প্রতিবেদনের পর রিপন মিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন—এটাই তো একটি ইতিবাচক দিক। সমাজে এমন ঘটনা অগণিত, কে কার খোঁজ রাখে! কিন্তু কেউ সেলিব্রেটি হয়ে উঠলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের কৌতূহল বেড়ে যায়, আর সেই কৌতূহলের জবাব দেওয়াটাই মিডিয়ার দায়িত্ব। আপনারা অভিনেত্রীদের ব্যক্তিজীবন জানতে আগ্রহী, পরিমনি কয়টা সাঙ্গা করেছে সেটা জানতে চান। কিন্তু কোনো নেত্রীর ব্যক্তিজীবন নিয়ে খবর হলে সেটাকে পাপ মনে করেন। বড়লোক সেলিব্রেটিদের পারিবারিক গল্পে আপনাদের আগ্রহ অফুরন্ত, কিন্তু গরিব সেলিব্রেটির একই রকম গল্প এলে তখন আপনারা শ্রেণিচেতনায় ‘পোলেতারিয়েত’ সাজার ভান ধরেন—কেন? আমি এটিএন বাংলার রিপোর্টারকে অভিনন্দন জানাই। অন্য একটি রিপোর্ট করতে গিয়ে সে এই রিপোর্ট পেয়েছে এটাও তার ভালো পেশাদারিত্ব প্রদর্শন।’

কবি ব্রাত্য রাইসু লিখেছেন, ‘হিংসুটে মধ্যবিত্তগুলার খুব গায়ে লাগতেছে যে কেন অগো সেলিব্রিটিগুলিরে বাদ দিয়া লোকে রিপন মিয়ারে নিয়া কথা বলতেছে!’

জনপ্রিয় কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, ‘রিপন মিয়ার উচিত ড. মাহফুজসহ এটিএন নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা। মাইক্রোফোন আর ক্যামেরা কোথায়/কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা না জানা সাংবাদিকগুলার কারণে পৃথিবীতে বাস করাই দায় হয়ে গেছে।’