মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে খামেনি লেখেন, “মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।” — খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপটে খামেনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো হামলায় ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী টার্গেট হয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই গত শুক্রবার ইরানের ভেতরে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। পাঁচ দিনব্যাপী ওই হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান, আইআরজিসি প্রধানসহ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল।
এছাড়া দেশটির কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা। আরও ১০টি স্থাপনা ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ত।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আয়াতুল্লাহ খামেনিকেও হত্যা করা হতে পারে। “ইরানের প্রতিবেশী এক স্বৈরশাসকের সঙ্গে কী ঘটেছিল, তা খামেনি স্মরণ করতে পারেন,” বলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের প্রসঙ্গ টেনেছেন।
এই হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইরানও। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বহু ভবন ও সরকারি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এই সংঘাতে ইতোমধ্যেই দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এমন উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার একাধিক পোস্ট দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক পোস্টে তিনি খামেনিকে উদ্দেশ করে লেখেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে এখনই তাকে বের করে (হত্যা) আনছি না।”
আরও একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা মার্কিন সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমেই কমছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের আকাশসীমা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সবশেষ পোস্টে ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানান।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় খামেনি বলেন, “আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। জায়নবাদীদের কোনো দয়া দেখানো হবে না।”




















