ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার বিবিসিতে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: বিচার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’’ ‘‘প্রহসন’’ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসীদের দাবি অবহেলিত সিলেট- ৪ আসনে স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্ব রাজনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউকে’র গুণীজন সংবর্ধনা আগেআওয়ামী লীগ সমর্থক সন্দেহে রিকশাচালক ও নারীকে মারধর গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে, জুলাই জাতীয় সনদ জারি এবার ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর আ.লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

ম্যানহোলে রাবির ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ, শিবিরের সব আসামি বেকসুর খালাস

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / 58

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় ১০৫ আসামির সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১–এর বিচারক মো. জুলফিকার উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১–এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কানিজ ফাতিমা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,

“মামলায় ১০৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫–৬ জন মারা গেছেন। বাকিদের বিচার শুরু হলেও কোনো সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করতে পারেননি। ফলে আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।”

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনের মরদেহ একটি ম্যানহোলে পাওয়া যায়।

ঘটনার পরদিন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত–শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আদালতে ১,২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরীর তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলাম, এবং শিবিরকর্মী রুহুল আমিন ও বাপ্পীসহ মোট ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ম্যানহোলে রাবির ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ, শিবিরের সব আসামি বেকসুর খালাস

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় ১০৫ আসামির সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১–এর বিচারক মো. জুলফিকার উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১–এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কানিজ ফাতিমা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,

“মামলায় ১০৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫–৬ জন মারা গেছেন। বাকিদের বিচার শুরু হলেও কোনো সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করতে পারেননি। ফলে আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।”

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনের মরদেহ একটি ম্যানহোলে পাওয়া যায়।

ঘটনার পরদিন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত–শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আদালতে ১,২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরীর তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলাম, এবং শিবিরকর্মী রুহুল আমিন ও বাপ্পীসহ মোট ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।