ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার বিবিসিতে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: বিচার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’’ ‘‘প্রহসন’’ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসীদের দাবি অবহেলিত সিলেট- ৪ আসনে স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্ব রাজনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউকে’র গুণীজন সংবর্ধনা আগেআওয়ামী লীগ সমর্থক সন্দেহে রিকশাচালক ও নারীকে মারধর গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে, জুলাই জাতীয় সনদ জারি এবার ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর আ.লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

মাসুদ সাঈদী নির্বাচন কমিশনে কেন বারবার?

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 269
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী তৃতীয়বারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বুধবার (২৮ মে ২০২৫) বিকেল ৪টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে তিনি সিইসির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন এবং পরে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। বৈঠকে মাসুদের সঙ্গে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এ বিষয়ে আগের দুইবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন বা মাসুদ বিন সাঈদী—কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে মাসুদ বলেন, “আইনকানুন জানার জন্য এসেছিলাম।”

নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সীমানা বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে মাসুদ সাঈদী কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছেন। দেশকাল নিউজ ডটকম ওই আবেদন সংক্রান্ত একটি নথি হাতে পেয়েছে।

বর্তমানে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-১ আসন। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই সীমানা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হয়। তবে ২০১৩ সালে আসন পুনর্বিন্যাস করে ইন্দুরকানি উপজেলা কেটে পিরোজপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়। এরপর দশম সংসদ নির্বাচনে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয় পিরোজপুর-১ আসনে।

পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানি উপজেলাকে জামায়াতে ইসলামীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়।

২০২৩ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্বের সীমানা পুনর্বহাল করে—ইন্দুরকানিকে আবার পিরোজপুর-১ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমানা সংক্রান্ত একটি আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে, যেটির ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাসুদ সাঈদী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে, যেটি তখন জিয়ানগর নামে পরিচিত ছিল।

বুধবারের বৈঠকে মাসুদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব যুবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ এবং বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি জসিমউদ্দীন সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাসুদ সাঈদী নির্বাচন কমিশনে কেন বারবার?

আপডেট সময় : ০২:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী তৃতীয়বারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বুধবার (২৮ মে ২০২৫) বিকেল ৪টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে তিনি সিইসির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন এবং পরে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। বৈঠকে মাসুদের সঙ্গে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এ বিষয়ে আগের দুইবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন বা মাসুদ বিন সাঈদী—কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে মাসুদ বলেন, “আইনকানুন জানার জন্য এসেছিলাম।”

নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সীমানা বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে মাসুদ সাঈদী কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছেন। দেশকাল নিউজ ডটকম ওই আবেদন সংক্রান্ত একটি নথি হাতে পেয়েছে।

বর্তমানে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-১ আসন। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই সীমানা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হয়। তবে ২০১৩ সালে আসন পুনর্বিন্যাস করে ইন্দুরকানি উপজেলা কেটে পিরোজপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়। এরপর দশম সংসদ নির্বাচনে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয় পিরোজপুর-১ আসনে।

পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানি উপজেলাকে জামায়াতে ইসলামীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়।

২০২৩ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্বের সীমানা পুনর্বহাল করে—ইন্দুরকানিকে আবার পিরোজপুর-১ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমানা সংক্রান্ত একটি আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে, যেটির ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাসুদ সাঈদী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে, যেটি তখন জিয়ানগর নামে পরিচিত ছিল।

বুধবারের বৈঠকে মাসুদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব যুবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ এবং বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি জসিমউদ্দীন সরকার।