মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে বাঁচানো গেল না, ধর্ষকের বাড়িতে আগুন, প্রতিবাদ
‘আমার মেয়ের মতো কষ্টে তারেও দেখতে চাই’
- আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
- / 336

চিকিৎসকদের কোনো চেষ্টাই কাজে এল না; বাঁচানো গেল না মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী মেয়েটিকে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর জানিয়েছে। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশু ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ আগামী ‘সাত দিনের’ মধ্যে শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সেই খবরে সারা দেশে তৈরি হয় ক্ষোভ। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও মিছিল, মানববন্ধনের মত কর্মসূচি চলছে।
শিশুটির মা গত ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন শিশুটির ভগ্নিপতি সজীব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজীবের অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাই (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)। তাদের চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, সজীবের সহায়তায় তার বাবা হিটু মিয়া শিশুটিকে ‘ধর্ষণ’ করেন। বিষয়টি জাবেদা ও তার ছোট ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালান তারা। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ মার্চই তাকে ঢাকা মেডিকেলের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা শনিবার জানিয়েছিলেন, শিশুটির অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, “আজ সে আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরেছে, তবে তার মস্তিষ্ক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। কোমা স্কেলে (জিসিএস) মাত্রা ৩, যা গভীর অচেতন অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। শিশুটির রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রাও বিপজ্জনকভাবে কম।”এরপর দুপুরে শিশুটির মৃত্যুর খবর দেয় আইএসপি আর। সেখানে সেনাবাহিনীর তরফে শোক প্রকাশ করা হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।”

‘আমার মেয়ের মতো কষ্টে তারেও দেখতে চাই’
ধর্ষণের ক্ষত নিয়ে কয়েক দিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মাগুরার আট বছরের শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিলাপ করেছেন হাসপাতালের মেঝেতে।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমার মণি যেভাবে মরছে, আমার মণি যেভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে মরছে, আমি তারও (অপরাধীর) ফাঁস দিয়ে বিচার চাই। (তার) এরম মৃত্যু চাই আমি, আমার মণির যেমন বেলেড দিয়ে কাটছে, গলায় ফাঁস দেসে, ঠিক সেরকম বিচার চাই আমি আপনাদের কাছে। ওরে যেন ওইরকম ফাঁসি দিয়ে মারে। ওরকম যেন ওরে বেলেড দিয়ে কাটে। আমার মেয়েটারে যে কষ্ট দিছে না? আমি তারেও এরকম দেখতে চাই।’
সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে শিশুটির মা বলেন, ‘ওর আপার বাড়িতে যাওয়ার পর, ওর আপাকে ধরে মেরেছিল। তখন আছিয়া বলেছিল, সে বাড়িতে গিয়ে সব বলে দেবে। এরপরই সেই রাতে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বড় মাইয়াটারে ইচ্ছামতো মেরে আলাদা ঘরে থুইয়া দিছিল। পরে রাত ১১টার দিকে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলসে আমার মণি অসুস্থ। আমি গিয়ে দেখি সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইছে। তারে রাইখে পলাইছে ওই মহিলা।’
সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় পৌঁছাল শিশুর মরদেহ
ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় পৌঁছায়। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এ সময় তার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, “আমার মেয়ের ধর্ষণকারীদের ফাঁসি চাই। আমার মনিরে বেলেট দিয়ে কেটে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল।”
মরদেহের সঙ্গে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় আসেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার কাজ শেষ করতে হবে। ধর্ষণের বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে এ কারণে যেন আর কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।”
আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন
সন্ধ্যা সাতটায় শহরের নোমানী ময়দানে শিশুটির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহটি সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীপুর উপজেলা জারিয়া গ্রামে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়।
শিশুটির মরদেহ মাগুরায় পৌঁছানোর পর স্থানীয়রা সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী। তিনি জানান, স্থানীয়রা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি সামলানে পুলিশকে বেগ পোহাতে হয়েছে।
এদিকে শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মাগুরা পৌর এলাকায় আসামিদের বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর করা হয়। পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ধর্ষণের বিচার শুরু ৭ দিনের মধ্যে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ আগামী ‘সাত দিনের’ মধ্যে শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বিকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, “আজই পোস্ট মর্টেম প্রতিবেদন মিলবে। ডিএনএ প্রতিবেদনের একটা প্রক্রিয়া থাকে। আশা করছি, আগামী ৫ দিনের মধ্যে তা পেয়ে যাব। এরই মধ্যে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে ১২-১৩ জনের । আমরা আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা জানেন, ধর্ষণের মামলায় অতীতে বিচার শুরু হয়ে সাত-আট দিনের মধ্যে বিচার শেষ হওয়ার নজির আছে অব্যাহত শুনানির মাধ্যমে। সাত দিনের মধ্যে ইনশাল্লাহ যদি আমরা বিচার কাজ শুরু করতে পারি, আমাদের বিচারকরা, ওনারা সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেই রায় দিতে পারবেন।”
আসিফ নজরুল বলেন, “ধর্ষণ একটি ব্যক্তি পর্যায়ের অপরাধ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই এখানে আমাদের বিন্দুমাত্র অবহেলা নাই।“
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আজ এই মর্মান্তিক খবর পাওয়ার পর চিকিৎসকরা সময় বাঁচানোর জন্য নিজেরা সিএমএইচে গিয়ে দ্রুত সময়ে পোস্ট মোর্টেম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মন দুঃখে ভরে আছে। আমাদের কর্মে কোনো রকম অবহেলা হবে না।”
আসিফ নজরুল বলেন, “নতুন আইনের প্রাথমিক ড্রাফট হয়েছে। আপনারা জানেন, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কনসালটেশন করতে হয়। আমরা আশা করছি, আগামী রোববার, খুব দেরি হলে সোমবার আমরা নতুন আইন প্রণয়ন করে ফেলব।”
তিনি বলেন, “নতুন আইনে শুধু একটা বিষয় অ্যাড করতে চাই। শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে আমরা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছি। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান নতুন আইনে থাকবে। এ ট্রাইব্যুনালের কাজ হবে শুধু শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনা দ্রুত বিচার করা। যেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া যায়।”
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ করে উপদেষ্টা বলেন, “এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, আপনারা তাদের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য আমরা বরদাশত করব না। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে বলবেন। অবশ্যই আমরা রেসপন্স করব, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব। আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ভুল নাই এবং ইনশাল্লাহ আমরা চেষ্টা করব ভবিষ্যতে ভুল হলে কারেক্ট করার জন্য।”
অব্যাহত ধর্ষণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
দেশব্যাপী লাগাতার ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচারসহ একাধিক দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নীলক্ষেত হয়ে হলপাড়া ঘুরে আবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আছিয়ার হত্যাকারীদের, বিচার করো করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ হয়রানি শেষ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’, ‘আছিয়া মরলো কেন, রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ যেখানে, লড়াই হবে সেখানে‘, ‘খুন ধর্ষণ নিপীড়ন, রুখে দাও জনগণ’, ‘হামলা মামলা হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া’সহ একাধিক স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
মিছিল শুরুর আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ ধর্ষণের শিকার হয়ে আমাদের বোন আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর সঙ্গে আমরা কেউ প্রতারণা করবো না। এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করিয়েই আমরা আমাদের আন্দোলন শেষ করবো। যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এদেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তার এই পদে থাকার কোনও দরকার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর ধর্ষণের বিচার চেয়ে যখন আমরা স্মারকলিপি দিতে গেলাম পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করলো। আমাদের নামে মামলাও হয়েছে। এই পুলিশ এদেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, পুলিশ আমাদের বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, কিন্তু এই পুলিশ এদেশের সব আন্দোলনে তাদের যে হামলা-মামলা-নির্যাতন সেটি খুব নিখুঁতভাবে করে। পুলিশের গেঞ্জি ছেঁড়া নিয়ে যারা কান্নাকাটি করছে তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার মেট্রোরেলের পিলার ধরে কান্নার কোনও পার্থক্য নেই। তাদের একটাই নাম, তারা দালাল। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলবে না, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আঙুল তুলবে না, সেই প্রত্যেকটা আঙুল দালালের আঙুল। তাদের প্রতিটা নিশ্বাস দালালের নিশ্বাস।’
মশাল মিছিলের আগে তারা শিশুটির মৃত্যুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।



















