ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 246
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নতুন নাম ঘোষণা করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজাহারুল ইসলাম শেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, এবারের আয়োজনটি একটু ভিন্ন। বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার বার্তা দিতে হবে। এবারের নববর্ষের আয়োজন সব অন্যায্যতাকে বিনাশ করে ন্যায্য ও সততাকে নবআলোর গতিধারায় ঐক্যবদ্ধ করবে গোটা সমাজকে।

তিনি বলেন, চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

সম্মেলনে চারুকলার অধ্যাপক এম কাউসার হাসান জানান, এবারের শোভাযাত্রায় বড় কয়েকটি প্রতিকৃতির মধ্যে থাকবে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ইলিশ মাছ, বাঘসহ ছোট ছোট প্রতিকৃতি।

এবারের পহেলা বৈশাখ দু’দিনব্যাপী উদযাপিত হবে। এবারের বর্ষবরণের শ্লোগান— ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। নববর্ষের উৎসবে পহেলা বৈশাখের সঙ্গে থাকছে চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনও।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। কিছু দিন আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও তখন প্রতিবাদের মুখে সরে এসেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল

আপডেট সময় : ০২:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নতুন নাম ঘোষণা করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজাহারুল ইসলাম শেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, এবারের আয়োজনটি একটু ভিন্ন। বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার বার্তা দিতে হবে। এবারের নববর্ষের আয়োজন সব অন্যায্যতাকে বিনাশ করে ন্যায্য ও সততাকে নবআলোর গতিধারায় ঐক্যবদ্ধ করবে গোটা সমাজকে।

তিনি বলেন, চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

সম্মেলনে চারুকলার অধ্যাপক এম কাউসার হাসান জানান, এবারের শোভাযাত্রায় বড় কয়েকটি প্রতিকৃতির মধ্যে থাকবে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ইলিশ মাছ, বাঘসহ ছোট ছোট প্রতিকৃতি।

এবারের পহেলা বৈশাখ দু’দিনব্যাপী উদযাপিত হবে। এবারের বর্ষবরণের শ্লোগান— ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। নববর্ষের উৎসবে পহেলা বৈশাখের সঙ্গে থাকছে চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনও।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। কিছু দিন আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও তখন প্রতিবাদের মুখে সরে এসেছিল।