ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আনছে বাংলাদেশ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 195

বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গ্যাসের ঘাটতি এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কারণে সরকারকে এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের বিদ্যুৎ আসছে মূলত আদানি পাওয়ারের কয়লাচালিত কেন্দ্র থেকে। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বাড়তি চাহিদার বড় অংশ পূরণ হচ্ছে আদানির বিদ্যুৎ দিয়ে।

দেশে ২০২০ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে বিদ্যুতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও খরচ সাশ্রয়ের বিষয় বিবেচনায় এখন বিদ্যুৎ আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি কয়লাচালিত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন জোরদার করা হচ্ছে।

সামিট পাওয়ারের পরিচালক আদিবা আজিজ খান রয়টার্সকে বলেন, “এটি খরচ সাশ্রয়ের ব্যাপার। সার শিল্পের জন্য গ্যাস প্রয়োজন, আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলসহ অন্যান্য উৎসে তুলনামূলক সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।”

গ্যাস ও তেল ব্যবহার করে সামিট পাওয়ার বর্তমানে এক ডজন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে। এপেক সম্মেলনের সাইডলাইনে আদিবা বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। ভবিষ্যতে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নাও হতে পারে।”

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স লিখেছে, চাপজনিত কারিগরি সমস্যায় অনেক গ্যাসকেন্দ্র পূর্ণক্ষমতায় চলছে না। একইভাবে রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কারণে কয়লাচালিত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনও কমেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের হাতে তেমন বিকল্প ছিল না। ‘ব্ল্যাকআউট’ এড়াতে আমদানির পথ বেছে নেওয়া হয়েছে এবং আদানির কাছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ছিল। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বিপিডিবি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মোট বিদ্যুতের চাহিদার মধ্যে আমদানির অংশ ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে তেলভিত্তিক উৎপাদন ১১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।

‘ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস’-এর বাংলাদেশভিত্তিক বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, “মার্চ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তাই সরকারকে আমদানি ও তেলচালিত উৎপাদন বাড়াতে হয়েছে।”

অন্যদিকে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। কয়লাভিত্তিক উৎপাদনও ৩০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ২৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশের এলএনজি আমদানি ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তবুও সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আনছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গ্যাসের ঘাটতি এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কারণে সরকারকে এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের বিদ্যুৎ আসছে মূলত আদানি পাওয়ারের কয়লাচালিত কেন্দ্র থেকে। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বাড়তি চাহিদার বড় অংশ পূরণ হচ্ছে আদানির বিদ্যুৎ দিয়ে।

দেশে ২০২০ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে বিদ্যুতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও খরচ সাশ্রয়ের বিষয় বিবেচনায় এখন বিদ্যুৎ আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি কয়লাচালিত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন জোরদার করা হচ্ছে।

সামিট পাওয়ারের পরিচালক আদিবা আজিজ খান রয়টার্সকে বলেন, “এটি খরচ সাশ্রয়ের ব্যাপার। সার শিল্পের জন্য গ্যাস প্রয়োজন, আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলসহ অন্যান্য উৎসে তুলনামূলক সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।”

গ্যাস ও তেল ব্যবহার করে সামিট পাওয়ার বর্তমানে এক ডজন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে। এপেক সম্মেলনের সাইডলাইনে আদিবা বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। ভবিষ্যতে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নাও হতে পারে।”

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স লিখেছে, চাপজনিত কারিগরি সমস্যায় অনেক গ্যাসকেন্দ্র পূর্ণক্ষমতায় চলছে না। একইভাবে রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কারণে কয়লাচালিত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনও কমেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের হাতে তেমন বিকল্প ছিল না। ‘ব্ল্যাকআউট’ এড়াতে আমদানির পথ বেছে নেওয়া হয়েছে এবং আদানির কাছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ছিল। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বিপিডিবি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মোট বিদ্যুতের চাহিদার মধ্যে আমদানির অংশ ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে তেলভিত্তিক উৎপাদন ১১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।

‘ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস’-এর বাংলাদেশভিত্তিক বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, “মার্চ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তাই সরকারকে আমদানি ও তেলচালিত উৎপাদন বাড়াতে হয়েছে।”

অন্যদিকে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। কয়লাভিত্তিক উৎপাদনও ৩০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ২৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশের এলএনজি আমদানি ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তবুও সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।