বুড়িগঙ্গায় নারী–শিশুসহ চার লাশ : তারা কারা, কেন এই হত্যাকাণ্ড?
- আপডেট সময় : ১২:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
- / 182
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া নারী–শিশুসহ চারজনের মরদেহ খুনের ঘটনা বলেই নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে এখনো পরিষ্কার নয়—তারা কারা, সবাই কি একইসঙ্গে খুন হয়েছেন, নাকি খুনি একই ব্যক্তি বা পক্ষ। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মরদেহগুলো পচে-গলে যাওয়ায় আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে বিকল্প উপায়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে লাশগুলো পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নৌ–পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘দেশের সব থানায় লাশের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর ও জেলা পুলিশের নদীসংলগ্ন থানাগুলোতেও তথ্য পাঠানো হয়েছে।’’
তিনি আরও জানান, আঙুলের ছাপ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় চারটি মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইল সংগ্রহ করা হয়েছে। “মর্গ কর্তৃপক্ষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন,” বলেন তিনি।
গত শনিবার (৩০ আগস্ট) নৌ–পুলিশ চারটি মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে এক পুরুষ ও এক নারীর লাশ চালের বস্তার সঙ্গে বেঁধে নদীতে ফেলা হয়েছিল।
সেদিন দুপুরে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছে নদীতে ভেসে ওঠে এক নারীর মরদেহ। তার গলায় কালো বোরকা পেঁচানো ছিল, পরনে ছিল গোলাপি সালোয়ার–কামিজ।
এক ঘণ্টা পর একই স্থান থেকে সদরঘাট নৌ–থানা পুলিশ উদ্ধার করে তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ, যেটি ওড়না দিয়ে জড়ানো ছিল।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে আরও দুই তরুণ–তরুণীর লাশ উদ্ধার করে বরিশুর ফাঁড়ির নৌ–পুলিশ।
তাদের হাত একসঙ্গে বাঁধা ছিল। তরুণের পরনে ছিল লাল চেক শার্ট ও ট্রাউজার, আর তরুণীর গায়ে ছিল লাল সালোয়ার ও ছাই রঙের গেঞ্জি।
বরিশুর নৌ–পুলিশের এসআই মুক্তার হোসেন জানান, মরদেহ ভেসে না ওঠার জন্য দুটি লাশের হাত ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সঙ্গে বেঁধে নদীতে ফেলা হয়েছিল।
ঘটনার পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আলাদা হত্যা মামলা হয়, যা তদন্ত করছে নৌ–পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজে আসেনি। ফলে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।”

















