ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ
'আসুন আমরা এ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দাড়াই' --সমাবেশের ডাক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১
  • / 801
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে দেড়টার দিকে মসজিদের উত্তর পাশের গেটে অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা উপস্থিত আছেন।

এর আগে হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট ও পশ্চিম পাশে অবস্থান করছেন র্যাব সদস্যরা। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুরানা পল্টনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়াযান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম এলাকা। ওইদিন জুমার নামাজের পরপরই মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মোদিবিরোধী মিছিলে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকার সেক্রেটারি হযরত মাওলানা মামুনুল ইসলাম বলেন, ৩ দিনের হেফাজতের আন্দোলনের ঘটনায় আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালন করছি। আমাদেরতো তা করার কথা ছিলনা। আজ বাংলাদেশ এমএমবিএস পরীক্ষায় ব্যাস্ত আছে। বিক্ষোভ করার কথা ছিল তবে জনগণের দুর্ভোগের জন্য আমারা তা করছি না। আমাদেরকে চোখের গরম ও ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা যাবেনা। হেলমেট লীগের হামলাকারীদের বিচার চাই।

মামুনুল ইসলাম আরও বলেন, নাটক সাজান। ছুরি কি কাজে ব্যবহার হয় জানেন না। এ নাটক পুরোনো হয়েছে। কোরবানী ঈদে হয়তো সে ছুরিগুলো আর সেবা দেবে না। আমরা তা আর রাখবো না। হেফাজত কারো তল্পিবাহক নয়। হেফাজত একাই যথেষ্ট।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, পুলিশ বাহিনীর পাশে হেলমেট বাহিনী কেন আসে। আমরা তা দেখতে চাই না।

মাওলানা আব্দুল কাদের নায়েবে আমীর বলেন, যারা আমাদের বিরুদ্ধে গুলি চালায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারেরর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। যাতে তারা আমাদের সন্তানদের আর না মারতে পারে।

আব্দুর রব ইউসুফি নায়েবে আমীর বলেন, আইজিপিকে বলতে চাই আপনার পুলিশ বাহিনীকে থামান। আমরা চাইলে কোন উপজেলা বাকি থাকতো না। তা আমরা চাইনা। সাবধান আর গ্রেপ্তার করবেন না। যাদের করেছেন মুক্তি দিন। আসুন আমরা এ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দাড়াই। জনতার সরকার গড়ি।

হেফাজতের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি হযরত মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, পুলিশ বাহিনী প্রত্যেক রাতে গ্রামের বাড়িতে তল্লাশী চালায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খুনী মুক্তাদীর চৌধুরী গ্রেপ্তার হয় না। করোনার দোহাই দিয়ে মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা বন্ধ ও ইসলামী সভা-সমাবেশ বন্ধ করারও চেষ্টা চলছে। করোনার নামে মাদ্রাসা বন্ধের পায়তারা করা হলে কঠিন আন্দোলন করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ
'আসুন আমরা এ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দাড়াই' --সমাবেশের ডাক

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে দেড়টার দিকে মসজিদের উত্তর পাশের গেটে অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা উপস্থিত আছেন।

এর আগে হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট ও পশ্চিম পাশে অবস্থান করছেন র্যাব সদস্যরা। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুরানা পল্টনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়াযান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম এলাকা। ওইদিন জুমার নামাজের পরপরই মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মোদিবিরোধী মিছিলে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকার সেক্রেটারি হযরত মাওলানা মামুনুল ইসলাম বলেন, ৩ দিনের হেফাজতের আন্দোলনের ঘটনায় আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালন করছি। আমাদেরতো তা করার কথা ছিলনা। আজ বাংলাদেশ এমএমবিএস পরীক্ষায় ব্যাস্ত আছে। বিক্ষোভ করার কথা ছিল তবে জনগণের দুর্ভোগের জন্য আমারা তা করছি না। আমাদেরকে চোখের গরম ও ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা যাবেনা। হেলমেট লীগের হামলাকারীদের বিচার চাই।

মামুনুল ইসলাম আরও বলেন, নাটক সাজান। ছুরি কি কাজে ব্যবহার হয় জানেন না। এ নাটক পুরোনো হয়েছে। কোরবানী ঈদে হয়তো সে ছুরিগুলো আর সেবা দেবে না। আমরা তা আর রাখবো না। হেফাজত কারো তল্পিবাহক নয়। হেফাজত একাই যথেষ্ট।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, পুলিশ বাহিনীর পাশে হেলমেট বাহিনী কেন আসে। আমরা তা দেখতে চাই না।

মাওলানা আব্দুল কাদের নায়েবে আমীর বলেন, যারা আমাদের বিরুদ্ধে গুলি চালায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারেরর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। যাতে তারা আমাদের সন্তানদের আর না মারতে পারে।

আব্দুর রব ইউসুফি নায়েবে আমীর বলেন, আইজিপিকে বলতে চাই আপনার পুলিশ বাহিনীকে থামান। আমরা চাইলে কোন উপজেলা বাকি থাকতো না। তা আমরা চাইনা। সাবধান আর গ্রেপ্তার করবেন না। যাদের করেছেন মুক্তি দিন। আসুন আমরা এ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দাড়াই। জনতার সরকার গড়ি।

হেফাজতের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি হযরত মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, পুলিশ বাহিনী প্রত্যেক রাতে গ্রামের বাড়িতে তল্লাশী চালায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খুনী মুক্তাদীর চৌধুরী গ্রেপ্তার হয় না। করোনার দোহাই দিয়ে মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা বন্ধ ও ইসলামী সভা-সমাবেশ বন্ধ করারও চেষ্টা চলছে। করোনার নামে মাদ্রাসা বন্ধের পায়তারা করা হলে কঠিন আন্দোলন করা হবে।