বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের কাছে উদ্বেগ জানালেন মোদি
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 350

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে তাতে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মোদি প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মোদি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এক সাংবাদিক ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার বিষয়ে মোদির কাছে প্রশ্ন করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে (বাংলাদেশে) আমাদের ‘ডিপ স্টেটের’ কোনো ভূমিকা ছিল না…এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে (বলার ভার) আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব।’
ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠক শেষে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে—‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব’—ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব…দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।’
বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা আশা করি, বাংলাদেশের পরিস্থিতিও এমন একটি দিকে এগিয়ে যাবে, যেখানে আমরা তাদের সঙ্গে একটি গঠনমূলক ও স্থিতিশীল উপায়ে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারি। তবে সেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আছে। আর প্রধানমন্ত্রী সেসব মতামত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানিয়েছেন।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে নানা ইস্যুতে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। কিন্তু ভারত এখনো সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।



















