ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অবসান আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা আদৌ কি সম্ভব? সৈয়দ আফসার উদ্দিন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • / 1738
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রিটেন প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা প্রায়শই শুনে থাকি। বিশেষ করে পূজামণ্ডপে হামলা, হিন্দু বাড়ি -ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া, তাদের উপর শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচার এসব খবর নতুন কোনো ঘটনা নয়। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে কেনো এই নির্যাতন? বাংলাদেশের হিন্দুরা কি মানুষ নন? তাঁরা কি বাংলাদেশের নাগরিক নন? শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করার সাংবিধানিক অধিকার কি তাঁদের নেই? বাংলাদেশে যখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকেন, তখনতো তাঁদের ওপর হিন্দু, ক্রিস্টান, বৌদ্ধ বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা কোনো আক্রমণ করেন না। তাহলে সংখ্যালঘুরা কেনো স্বাধীনভাবে তাঁদের ধর্ম পালন করতে পারেন না? কেনো পুলিশি প্রহরায় তাঁদেরকে পূজামণ্ডপে যেতে হয়? সম্প্রতি দূর্গাপূজা চলাকালীন ধর্মের নামে বাংলাদেশী হিন্দুদের উৎসব পন্ড করে তাদের মন্দির, বাড়ি – ঘর আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সহিংস বর্বরতা চালিয়ে যে ধরণের নজিরবিহীন অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে তা সত্যিই নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য। কোনো বিবেকবান ও পরমতসহিষ্ণু যে কোনো ধর্মের মানুষের জন্য তা মেনে নেয়া বড়ই কঠিন।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মাতৃভূমির জন্য হিন্দুরা যে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তা আমরা ভুলে যাই কিভাবে? তখনতো মুসলমান বাঙালিদের তুলনায় হিন্দু বাঙালিরাই ছিলেন পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আল বদরদের প্রধান লক্ষ্য। শুনেছি তখন সবচেয়ে বেশি আগুন লাগানো হয়েছিলো বেঁছে বেঁছে হিন্দু বাড়িগুলোতে, জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ছারকার করা হয়েছিল হিন্দু গ্রামগুলো, তাঁদের অনেককেই ভিটে মাটি ত্যাগ করে বাধ্য করা হয়েছিল পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যেতে। ধর্ষণ, হত্যার শিকার হয়েছিলেন হাজার হাজার হিন্দু মা -বোন। বাংগালী মুসলমানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংখ্যালঘুরাও যে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা আমরা কি করে অতি সহজেই ভুলে যাই? এতো অকৃতজ্ঞ কেনো আমরা?

কুমিল্লার অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা পর্যবেক্ষন করলাম হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড়ো উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা চলাকালীন নানুয়ার দিঘির পারের একটি পূজামণ্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে তথাকথিত ধর্মপ্রাণ বলে দাবীদার, মুসলমানদের একটি অংশ মণ্ডপে ভাংচুর চালায়। মুহূর্তেই এর রেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কৃপায় ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের অন্যানো জেলায়। ঘটে সংঘর্ষ। কয়েকজন নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হলো। আহত হলেন শতাধিক। আনন্দের বদলে একধরণের ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়কে এবারের উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটাতে বাধ্য করানো হলো। মুসলমান নামধারী যারা এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালো, তারা কি ভুলে গিয়েছে যে , মহান রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআন শরীফে “সূরা কাফিরুনের” শেষ আয়াতে বলেছেন, ” লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদিন”। অর্থাৎ “তোমার দ্বীন / ধর্ম (কুফর)তোমার কাছে আর আমার দ্বীন / ধর্ম (ইসলাম) আমার কাছে”। তাহলে কেনো এতো লম্পঝম্প? কিসের বাহাদুরী? মহান রবের বাণীকে উপেক্ষা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা কি ধরণের ফায়দা লুটতে চায়? কে বা কারা এ দুস্কৃতিকারীদের ইন্ধন যোগাচ্ছে? কাদের উৎসাহে ও ছত্র ছায়ায় থেকে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভুলুন্ঠিত করার
অপচেষ্টায় লিপ্ত? ধর্ম পালনের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেবার জন্য কারা দায়ী?

এসব ঘটনার কল – কাঠি যারা নাড়ায়, তারা বরাবরই চায়, আমরা যেনো একে “ধর্মযুদ্ধ” বলি। কারন ধীমান ধার্মিকরা কখনই এহেন অহেতুক সহিংসতার ধার ধারে না। ওরা কেবল সুকৌশলে আমাদের সবার চোখে এই ঠুলিটাই পরিয়ে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। আমরা মনের অজান্তে ওদের শেখানো বুলি আওড়ে চলেছি। আমরা যতদিন এ জাতীয় ঘটনাকে “সাম্প্রদায়িক সহিংসতা” বলবো, ততদিন কুচক্রীরা এর ফায়দা লুটতে থাকবে আর আমাদের দিকে চেয়ে মুখোশের আঁড়ালে ব্যঙ্গ হাসি হাসবে। কোনো সম্প্রদায়ীই এ থেকে লাভবান হবে না। বরং ষড়যন্ত্রকারীদের বলির পাঠায় পরিণত হবে।

হাস্যকরকান্ড, বরাবরের ন্যায় এবারও সরকারী দল ও বিরোধী দল একে অন্যকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে সুকৌশলে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। সরকারী দল বলছে, তাদেরকে বিব্রত করার জন্য এটা বিএনপি – জামায়াত জোটের কাজ। আর বিএনপি বলছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। অথচ সরকারী দল, আওয়ামীলীগ মনে করে তাদের সময় সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। যা আবারো মিথ্যা প্রমাণিত হলো। জন্ম দিলো আরেক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের।অনেকে মনে করেন পুলিশ, র‌্যাব আর গোয়েন্দা সংস্থার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ব্যর্থতার এ দায়ভার গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কি পদত্যাগ করা উচিত নয়? অবশ্য এধরণের “পদত্যাগ সংস্কৃতি” বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখনও গড়ে ওঠেনি। অতীতে দেখেছি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হবার পরও বহাল তবিয়তে অর্থমন্ত্রী মহোদয় তাঁর মেয়াদ শেষ করেছেন। বছরের পর বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার পরও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করে নির্লজ্জের মতো মন্ত্রীত্বকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। বাইরের বিশ্বকে দেখেও তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করার বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিবিদদের মাঝে পরিলক্ষিত হয় না। যা সাধারণ জনগণের জন্য একধরণের অভিশাপ বৈকি!

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন, হামলা হলে প্রতিবেশী ভারতে যেমনি প্রভাব পড়ে , ঠিক তেমনি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর অত্যাচার, নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তার দ্রুত প্রভাব এসে পড়ে বাংলাদেশে। আর উভয় দেশের ওঁৎ পেতে থাকা গোড়া ধর্মান্ধরা একে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে নেয়। আর মাঝখানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন দুদেশের নিরীহ জনগণ।আসলে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির যাতাকলে ধর্মীয় সহাবস্থান দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে।গতকাল বুধবার, ২০শে অক্টোবর “আল জাজিরা” টিভিতে ভারতের আসামে সংখ্যালঘু বাংলাভাষী মুসলমানদের তাঁদের দীর্ঘদিনের নিজস্ব ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে ধারাবাহিকভাবে গৃহহীন করার বর্তমান বিজেপি সরকারের উলঙ্গ কাহিনী নিয়ে এক ‘‘টক শো’’ দেখছিলাম। এর অপ্রত্যাশিত প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে এখনই আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মৌলবাদীদের কোনো ধরণের আঁচ পড়তে না পারে।

বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে দৃঢ় চিত্তে আজকাল আর সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দেখা যায় না। বরং অধিকাংশ প্রথমসারির সাংবাদিককে সরকারের চাটুকারিতা আর পদলেহন করে অর্থ – বিত্ত, বাড়ি, গাড়ী, জমি, পদোন্নতি আর পুরস্কার অর্জনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই শোনা যায়। খুব জানতে ইচ্ছে করে এ জাতীয় সাংবাদিকদের স্ত্রী – সন্তানরা তাদের কতখানি শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। অন্যদিকে গুম, খুন, হয়রানি, কারাবরণ আর তথাকথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে এক শ্রেণীর জাত সাংবাদিক লেখালেখি করার বা মুখ খোলার তেমন সাহস পান না। ফলে সাংবাদিকতায় জনগণের আস্থা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সাংবাদিকতার মান সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একশো আশিটি দেশের মধ্যে একশো বাহান্নোতে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশে সরকারী দলের অনুগত সাংবাদিকদের বেহায়াপনা দেখলে প্রায় তিনযুগ ধরে সাংবাদিকতা করার পর এখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা হয়।

ভাবতেও অবাক লাগে আজও সাংবাদিক দম্পতি সাগর – রুনির হত্যা রহস্যের সুরাহা হয়নি। কিছুদিন আগে দেখেছি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর সরকারি কর্মকর্তাদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের জেল – জুলুমের কথা সকলেই জানেন। অথচ মুনিয়ার হত্যাকারী বলে তাঁর পরিবারের দাবী, বসুন্ধরা গ্রূপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে আজও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি। বরং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রধান করে তাকে সম্মানিত করা হয়েছে। একদল ক্রাইম রিপোর্টার তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে খুব একটা দেরি করেনি। ঢাকার প্রধান পত্র পত্রিকাগুলো সে সময় নিশ্চুপ থেকেছে। অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে দেশে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ইদানিং প্রবাসে বসে যে সব সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন, তাঁদেরকে কাবু করতে না পেরে সরকার এখন লাগামহীন ঘোড়ার মতো দেশে থাকা তাঁদের স্বজনদের দিকে ছুটছে। সব কিছু দেখে অনেকে মনে করছেন বাংলাদেশে যেনো একধরণের অঘোষিত ও নীরব স্বৈরশাসন চলছে!

সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে পৃথিবীব্যাপী ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী যখন নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এবছর নোবেল কমিটি দুজন সাংবাদিককে “শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে” ভূষিত করে এক অভিনব নজীর স্থাপন করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষায় ভয় – ভীতিকে উপেক্ষা করে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য যে দুজন বরেণ্য সাংবাদিক এবছরের “নোবেল শান্তি পুরস্কার” অর্জন করলেন, এদের একজন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা আর অন্যজন হলেন রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। এর মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার সংগ্রামকে  আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হলো, যা কিনা এ পথে বিচরণকারী সাংবাদিকদের জন্য বড়ো রকমের আশীর্বাদ। আজকাল সত্য কথা বলা কঠিন হলেও তা যে অসম্ভব নয়, নোবেল কমিটি ক্ষমতাধর শাসকগোষ্ঠীকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। একজন অতি সাধারণ সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ ও প্রবাসের বাংলাভাষী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আসুন, অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সংবাদ এবং তথ্য প্রকাশ করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্মানকে পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হই। মালিকপক্ষ ও সম্পাদকদের প্রতি অনুরোধ, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্র রচনায় সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ান।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও কমিউনিটি কর্মী।

আরও পড়ুন

https://52banglatv.com/2021/05/28208/

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অবসান আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা আদৌ কি সম্ভব? সৈয়দ আফসার উদ্দিন

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

ব্রিটেন প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা প্রায়শই শুনে থাকি। বিশেষ করে পূজামণ্ডপে হামলা, হিন্দু বাড়ি -ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া, তাদের উপর শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচার এসব খবর নতুন কোনো ঘটনা নয়। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে কেনো এই নির্যাতন? বাংলাদেশের হিন্দুরা কি মানুষ নন? তাঁরা কি বাংলাদেশের নাগরিক নন? শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করার সাংবিধানিক অধিকার কি তাঁদের নেই? বাংলাদেশে যখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকেন, তখনতো তাঁদের ওপর হিন্দু, ক্রিস্টান, বৌদ্ধ বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা কোনো আক্রমণ করেন না। তাহলে সংখ্যালঘুরা কেনো স্বাধীনভাবে তাঁদের ধর্ম পালন করতে পারেন না? কেনো পুলিশি প্রহরায় তাঁদেরকে পূজামণ্ডপে যেতে হয়? সম্প্রতি দূর্গাপূজা চলাকালীন ধর্মের নামে বাংলাদেশী হিন্দুদের উৎসব পন্ড করে তাদের মন্দির, বাড়ি – ঘর আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সহিংস বর্বরতা চালিয়ে যে ধরণের নজিরবিহীন অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে তা সত্যিই নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য। কোনো বিবেকবান ও পরমতসহিষ্ণু যে কোনো ধর্মের মানুষের জন্য তা মেনে নেয়া বড়ই কঠিন।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মাতৃভূমির জন্য হিন্দুরা যে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তা আমরা ভুলে যাই কিভাবে? তখনতো মুসলমান বাঙালিদের তুলনায় হিন্দু বাঙালিরাই ছিলেন পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আল বদরদের প্রধান লক্ষ্য। শুনেছি তখন সবচেয়ে বেশি আগুন লাগানো হয়েছিলো বেঁছে বেঁছে হিন্দু বাড়িগুলোতে, জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ছারকার করা হয়েছিল হিন্দু গ্রামগুলো, তাঁদের অনেককেই ভিটে মাটি ত্যাগ করে বাধ্য করা হয়েছিল পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যেতে। ধর্ষণ, হত্যার শিকার হয়েছিলেন হাজার হাজার হিন্দু মা -বোন। বাংগালী মুসলমানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংখ্যালঘুরাও যে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা আমরা কি করে অতি সহজেই ভুলে যাই? এতো অকৃতজ্ঞ কেনো আমরা?

কুমিল্লার অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা পর্যবেক্ষন করলাম হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড়ো উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা চলাকালীন নানুয়ার দিঘির পারের একটি পূজামণ্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে তথাকথিত ধর্মপ্রাণ বলে দাবীদার, মুসলমানদের একটি অংশ মণ্ডপে ভাংচুর চালায়। মুহূর্তেই এর রেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কৃপায় ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের অন্যানো জেলায়। ঘটে সংঘর্ষ। কয়েকজন নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হলো। আহত হলেন শতাধিক। আনন্দের বদলে একধরণের ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়কে এবারের উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটাতে বাধ্য করানো হলো। মুসলমান নামধারী যারা এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালো, তারা কি ভুলে গিয়েছে যে , মহান রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআন শরীফে “সূরা কাফিরুনের” শেষ আয়াতে বলেছেন, ” লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদিন”। অর্থাৎ “তোমার দ্বীন / ধর্ম (কুফর)তোমার কাছে আর আমার দ্বীন / ধর্ম (ইসলাম) আমার কাছে”। তাহলে কেনো এতো লম্পঝম্প? কিসের বাহাদুরী? মহান রবের বাণীকে উপেক্ষা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা কি ধরণের ফায়দা লুটতে চায়? কে বা কারা এ দুস্কৃতিকারীদের ইন্ধন যোগাচ্ছে? কাদের উৎসাহে ও ছত্র ছায়ায় থেকে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভুলুন্ঠিত করার
অপচেষ্টায় লিপ্ত? ধর্ম পালনের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেবার জন্য কারা দায়ী?

এসব ঘটনার কল – কাঠি যারা নাড়ায়, তারা বরাবরই চায়, আমরা যেনো একে “ধর্মযুদ্ধ” বলি। কারন ধীমান ধার্মিকরা কখনই এহেন অহেতুক সহিংসতার ধার ধারে না। ওরা কেবল সুকৌশলে আমাদের সবার চোখে এই ঠুলিটাই পরিয়ে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। আমরা মনের অজান্তে ওদের শেখানো বুলি আওড়ে চলেছি। আমরা যতদিন এ জাতীয় ঘটনাকে “সাম্প্রদায়িক সহিংসতা” বলবো, ততদিন কুচক্রীরা এর ফায়দা লুটতে থাকবে আর আমাদের দিকে চেয়ে মুখোশের আঁড়ালে ব্যঙ্গ হাসি হাসবে। কোনো সম্প্রদায়ীই এ থেকে লাভবান হবে না। বরং ষড়যন্ত্রকারীদের বলির পাঠায় পরিণত হবে।

হাস্যকরকান্ড, বরাবরের ন্যায় এবারও সরকারী দল ও বিরোধী দল একে অন্যকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে সুকৌশলে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। সরকারী দল বলছে, তাদেরকে বিব্রত করার জন্য এটা বিএনপি – জামায়াত জোটের কাজ। আর বিএনপি বলছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। অথচ সরকারী দল, আওয়ামীলীগ মনে করে তাদের সময় সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। যা আবারো মিথ্যা প্রমাণিত হলো। জন্ম দিলো আরেক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের।অনেকে মনে করেন পুলিশ, র‌্যাব আর গোয়েন্দা সংস্থার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ব্যর্থতার এ দায়ভার গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কি পদত্যাগ করা উচিত নয়? অবশ্য এধরণের “পদত্যাগ সংস্কৃতি” বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখনও গড়ে ওঠেনি। অতীতে দেখেছি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হবার পরও বহাল তবিয়তে অর্থমন্ত্রী মহোদয় তাঁর মেয়াদ শেষ করেছেন। বছরের পর বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার পরও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করে নির্লজ্জের মতো মন্ত্রীত্বকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। বাইরের বিশ্বকে দেখেও তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করার বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিবিদদের মাঝে পরিলক্ষিত হয় না। যা সাধারণ জনগণের জন্য একধরণের অভিশাপ বৈকি!

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন, হামলা হলে প্রতিবেশী ভারতে যেমনি প্রভাব পড়ে , ঠিক তেমনি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর অত্যাচার, নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তার দ্রুত প্রভাব এসে পড়ে বাংলাদেশে। আর উভয় দেশের ওঁৎ পেতে থাকা গোড়া ধর্মান্ধরা একে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে নেয়। আর মাঝখানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন দুদেশের নিরীহ জনগণ।আসলে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির যাতাকলে ধর্মীয় সহাবস্থান দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে।গতকাল বুধবার, ২০শে অক্টোবর “আল জাজিরা” টিভিতে ভারতের আসামে সংখ্যালঘু বাংলাভাষী মুসলমানদের তাঁদের দীর্ঘদিনের নিজস্ব ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে ধারাবাহিকভাবে গৃহহীন করার বর্তমান বিজেপি সরকারের উলঙ্গ কাহিনী নিয়ে এক ‘‘টক শো’’ দেখছিলাম। এর অপ্রত্যাশিত প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে এখনই আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মৌলবাদীদের কোনো ধরণের আঁচ পড়তে না পারে।

বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে দৃঢ় চিত্তে আজকাল আর সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দেখা যায় না। বরং অধিকাংশ প্রথমসারির সাংবাদিককে সরকারের চাটুকারিতা আর পদলেহন করে অর্থ – বিত্ত, বাড়ি, গাড়ী, জমি, পদোন্নতি আর পুরস্কার অর্জনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই শোনা যায়। খুব জানতে ইচ্ছে করে এ জাতীয় সাংবাদিকদের স্ত্রী – সন্তানরা তাদের কতখানি শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। অন্যদিকে গুম, খুন, হয়রানি, কারাবরণ আর তথাকথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে এক শ্রেণীর জাত সাংবাদিক লেখালেখি করার বা মুখ খোলার তেমন সাহস পান না। ফলে সাংবাদিকতায় জনগণের আস্থা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সাংবাদিকতার মান সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একশো আশিটি দেশের মধ্যে একশো বাহান্নোতে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশে সরকারী দলের অনুগত সাংবাদিকদের বেহায়াপনা দেখলে প্রায় তিনযুগ ধরে সাংবাদিকতা করার পর এখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা হয়।

ভাবতেও অবাক লাগে আজও সাংবাদিক দম্পতি সাগর – রুনির হত্যা রহস্যের সুরাহা হয়নি। কিছুদিন আগে দেখেছি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর সরকারি কর্মকর্তাদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের জেল – জুলুমের কথা সকলেই জানেন। অথচ মুনিয়ার হত্যাকারী বলে তাঁর পরিবারের দাবী, বসুন্ধরা গ্রূপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে আজও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি। বরং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রধান করে তাকে সম্মানিত করা হয়েছে। একদল ক্রাইম রিপোর্টার তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে খুব একটা দেরি করেনি। ঢাকার প্রধান পত্র পত্রিকাগুলো সে সময় নিশ্চুপ থেকেছে। অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে দেশে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ইদানিং প্রবাসে বসে যে সব সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন, তাঁদেরকে কাবু করতে না পেরে সরকার এখন লাগামহীন ঘোড়ার মতো দেশে থাকা তাঁদের স্বজনদের দিকে ছুটছে। সব কিছু দেখে অনেকে মনে করছেন বাংলাদেশে যেনো একধরণের অঘোষিত ও নীরব স্বৈরশাসন চলছে!

সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে পৃথিবীব্যাপী ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী যখন নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এবছর নোবেল কমিটি দুজন সাংবাদিককে “শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে” ভূষিত করে এক অভিনব নজীর স্থাপন করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষায় ভয় – ভীতিকে উপেক্ষা করে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য যে দুজন বরেণ্য সাংবাদিক এবছরের “নোবেল শান্তি পুরস্কার” অর্জন করলেন, এদের একজন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা আর অন্যজন হলেন রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। এর মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার সংগ্রামকে  আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হলো, যা কিনা এ পথে বিচরণকারী সাংবাদিকদের জন্য বড়ো রকমের আশীর্বাদ। আজকাল সত্য কথা বলা কঠিন হলেও তা যে অসম্ভব নয়, নোবেল কমিটি ক্ষমতাধর শাসকগোষ্ঠীকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। একজন অতি সাধারণ সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ ও প্রবাসের বাংলাভাষী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আসুন, অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সংবাদ এবং তথ্য প্রকাশ করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্মানকে পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হই। মালিকপক্ষ ও সম্পাদকদের প্রতি অনুরোধ, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্র রচনায় সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ান।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও কমিউনিটি কর্মী।

আরও পড়ুন

https://52banglatv.com/2021/05/28208/