বাংলাদেশের ফুটবল দলের হয়ে খেলতে এবার আসছেন কানাডা থেকে শামিত সোম
- আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 464
বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন আগেই। জন্মনিবন্ধনের পর পাসপোর্ট তৈরির উদ্যোগ এবং কানাডিয়ান সকার অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ ছিল পরবর্তী ধাপ। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কানাডার অনাপত্তিপত্র এরই মধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পাশাপাশি কানাডায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন শামিত সোম।
পাসপোর্ট আবেদনের সময় তিনি কথা বলেন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক আবু সাদাতের সঙ্গে। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, কানাডার হয়ে দুটি ম্যাচ খেলার পর হঠাৎ বাংলাদেশ দলে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কী কারণ? জবাবে শামিত জানান, হামজা চৌধুরীকে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
“ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারব না?”—এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন শামিত। তিনি বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের ফুটবল অনেক উন্নতি করেছে। হামজা একজন বড় খেলোয়াড়। সে যেতে পারলে আমি কেন যাব না!”
শুধু হামজাই নন, বাংলাদেশ দলের আরও কিছু প্রবাসী ফুটবলারের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল শামিতের। তারিক কাজী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ এবং সায়েদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে পরিচয় ছিল। সে কারণেই বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ আমার আগে থেকেই ছিল। সবসময়ই ভেবেছি, সময় হলেই যুক্ত হব।”
এখন বাফুফে চায়, ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেই মাঠে নামুক শামিত। তবে তার আগে লাগবে ফিফার চূড়ান্ত অনুমোদন। প্রসঙ্গত, হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে এ অনুমোদন পেতে সময় লেগেছিল চার মাস। সেই হিসেবে সিঙ্গাপুর ম্যাচে শামিতের খেলা কঠিন হলেও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে তার বাংলাদেশ দলে খেলার খবর নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। সেসব প্রতিক্রিয়া শামিতও লক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “অনেক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয়, তাহলে আমি খুবই খুশি হব।”
শামিতের পারিবারিক শেকড় বাংলাদেশেই—বাবার বাড়ি মৌলভীবাজারে, আর মায়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফলে পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় কোনো জটিলতা হওয়ার কথা নয়, যেমনটি হয়নি হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও।




















