ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামালেন ট্রাম্প

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 181
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উঠেছিল ৩৫ শতাংশে, দর কষাকষি করে এখন তা কমে এসেছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে গেলে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক গুনতে হবে।
ওয়াশিংটনে ধারাবাহিক আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দপ্তর থেকে বাংলাদেশের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ধার্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুল্কভার কমিয়ে আনাকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক আলোচনায় সাফল্য হিসাবে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর এতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, তার সঙ্গে এখন আরও ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় তা বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়াবে।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ হবে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ফেরার পরপরই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বড় অঙ্কের পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন।
গত এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তাতে দেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় গন্তব্য দেশটিতে শুল্কভার ৫২ শতাংশে উঠে গিয়েছিল।
কয়েকদিন পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। দেশগুলোকে এ সময় দেওয়া হয় বাণিজ্য আলোচনায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য সুবিধা বাড়াতে।
তিন মাসের সময়সীমা গত ৯ জুলাই শেষ হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত জানান।
তবে এই শুল্কের হার কমাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে সময় দেওয়া হয়।
ওই চিঠি পাওয়ার পরপরই একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নিয়ে ওয়াশিংটনে যান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন। ইউএসটিআরের সঙ্গে এক দফা আলোচনা সেরে দেশে ফেরার পর গত সোমবার তিনি ফের যান ওয়াশিংটনে। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
সরকারি প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের একটি দলও যুক্তরাষ্ট্র গেছে। ব্যবসায়ীদের এ দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা। সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হয় সরকারি প্রতিনিধি দলের তৃতীয় দিনের আলোচনা, যা রাত ১টায় শেষ হয়। এর পরপরই হোয়াইট হাউস বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দেশের শুল্কহার কমানোর ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রধন রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। এই বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ওপর শুল্কও ২০ শতাংশ আরোপ করেছেন ট্রাম্প। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়ার ওপর শুল্ক বসেছে ১৯ শতাংশ। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে। ফলে শুল্ক হারের বিচারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী কারও কাছ েথকে হুমকিতে পড়তে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।
একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। মোট রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশের মতো আসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দেশটি থেকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫০ কোটি (২.৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। অন্যদিকে এই অর্থ বছরে দেশটিতে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ২৩ লাখ (৮.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে দেশটির উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। মূলত পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষির অংশ হিসেবে বিমান কেনার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সয়াবিন তেল ও তুলা কেনার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনতে কত খরচ হবে—এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
শুধু উড়োজাহাজ কিনে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না, আর কী ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আরও আছে। ওই প্যাকেজ নিয়েই তো গেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, কী কী কিনতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সেটা আমি বলব না। বাণিজ্য উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করুন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামালেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

উঠেছিল ৩৫ শতাংশে, দর কষাকষি করে এখন তা কমে এসেছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে গেলে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক গুনতে হবে।
ওয়াশিংটনে ধারাবাহিক আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দপ্তর থেকে বাংলাদেশের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ধার্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুল্কভার কমিয়ে আনাকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক আলোচনায় সাফল্য হিসাবে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর এতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, তার সঙ্গে এখন আরও ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় তা বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়াবে।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ হবে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ফেরার পরপরই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বড় অঙ্কের পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন।
গত এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তাতে দেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় গন্তব্য দেশটিতে শুল্কভার ৫২ শতাংশে উঠে গিয়েছিল।
কয়েকদিন পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। দেশগুলোকে এ সময় দেওয়া হয় বাণিজ্য আলোচনায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য সুবিধা বাড়াতে।
তিন মাসের সময়সীমা গত ৯ জুলাই শেষ হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত জানান।
তবে এই শুল্কের হার কমাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে সময় দেওয়া হয়।
ওই চিঠি পাওয়ার পরপরই একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নিয়ে ওয়াশিংটনে যান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন। ইউএসটিআরের সঙ্গে এক দফা আলোচনা সেরে দেশে ফেরার পর গত সোমবার তিনি ফের যান ওয়াশিংটনে। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
সরকারি প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের একটি দলও যুক্তরাষ্ট্র গেছে। ব্যবসায়ীদের এ দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা। সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হয় সরকারি প্রতিনিধি দলের তৃতীয় দিনের আলোচনা, যা রাত ১টায় শেষ হয়। এর পরপরই হোয়াইট হাউস বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দেশের শুল্কহার কমানোর ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রধন রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। এই বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ওপর শুল্কও ২০ শতাংশ আরোপ করেছেন ট্রাম্প। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়ার ওপর শুল্ক বসেছে ১৯ শতাংশ। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে। ফলে শুল্ক হারের বিচারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী কারও কাছ েথকে হুমকিতে পড়তে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।
একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। মোট রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশের মতো আসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দেশটি থেকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫০ কোটি (২.৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। অন্যদিকে এই অর্থ বছরে দেশটিতে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ২৩ লাখ (৮.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে দেশটির উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। মূলত পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষির অংশ হিসেবে বিমান কেনার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সয়াবিন তেল ও তুলা কেনার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনতে কত খরচ হবে—এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
শুধু উড়োজাহাজ কিনে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না, আর কী ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আরও আছে। ওই প্যাকেজ নিয়েই তো গেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, কী কী কিনতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সেটা আমি বলব না। বাণিজ্য উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করুন।”