ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে চীনে মোদী, গলবে বরফ?

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 202

চীনে মোদীকে দেওয়া লাল গালিচা সংবর্ধনা।

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হায়, সেলুকাস! যে দেশকে একসময় ‘পরম বন্ধু’ ভেবে কাছে টানা হয়েছিল, তার কাছেই ‘দাগা’ খেয়ে এখন পা বাড়ালেন নরেন্দ্র মোদি—সেই দেশ আর কেউ নয়, প্রতিবেশী চীন। প্রায় সাত বছর পর মোদির চীন সফরের উদ্দেশ্য শুধু কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষাও।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তিতে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আঘাত সামলাতেই এবার তাঁকে শত্রু চীনের দিকেই হাত বাড়াতে হচ্ছে। ভাগ্যের পরিহাস, যুক্তরাষ্ট্রের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকেই এখন সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে ভাবছে নয়াদিল্লি। আবারও যেন ফিরে আসছে সাত দশক আগের ‘হিন্দি-চীনি ভাই ভাই’ স্লোগানের প্রতিধ্বনি।

বিশ্ববাসী জানে, এই চীনকেই ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের চার দেশের জোটে (কোয়াড) যোগ দিয়েছিল ভারত। জোটে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আছে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। অথচ এখন বাস্তবতার চাপেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে ভারত। মজার ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে আছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি।

এদিকে, কোয়াডের অন্য সদস্য অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক রেখেছে ন্যূনতম ১০ শতাংশ, যা কার্যকর হয়েছে গত ৯ এপ্রিল থেকে।
জাপানের রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ১৫ শতাংশ, এর বাইরে টোকিওকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার। এসবের বিনিময়ে গত ২২ জুলাই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়।
কিন্তু ভারতের ওপর চাপানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক।

শনিবার (৩০ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, চীনের তিয়ানজিন শহরে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদি। ১০ সদস্যবিশিষ্ট এই জোটের সম্মেলনে যোগ দিয়েই প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করবেন তিনি। তাই সম্মেলনটি সবার নজরে।

আজ এক্সে দেওয়া পোস্টে মোদি লিখেছেন, “চীনের তিয়ানজিন শহরে পৌঁছেছি। এসসিও সম্মেলনের ফল ও কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি।”

প্রায় ৭ বছর পর মোদির চীন সফর হচ্ছে। দ্য হিন্দু আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি দুই দিনের জাপান সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তখন এক্সে নরেন্দ্র মোদি লিখেছিলেন, তাঁর জাপান সফর দুই জাতির জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এখন সবার দৃষ্টি—চীন সফরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটে কি না। অর্থাৎ, ৭ বছরের জমে থাকা বরফ গলবে কি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে চীনে মোদী, গলবে বরফ?

আপডেট সময় : ১২:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

হায়, সেলুকাস! যে দেশকে একসময় ‘পরম বন্ধু’ ভেবে কাছে টানা হয়েছিল, তার কাছেই ‘দাগা’ খেয়ে এখন পা বাড়ালেন নরেন্দ্র মোদি—সেই দেশ আর কেউ নয়, প্রতিবেশী চীন। প্রায় সাত বছর পর মোদির চীন সফরের উদ্দেশ্য শুধু কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষাও।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তিতে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আঘাত সামলাতেই এবার তাঁকে শত্রু চীনের দিকেই হাত বাড়াতে হচ্ছে। ভাগ্যের পরিহাস, যুক্তরাষ্ট্রের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকেই এখন সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে ভাবছে নয়াদিল্লি। আবারও যেন ফিরে আসছে সাত দশক আগের ‘হিন্দি-চীনি ভাই ভাই’ স্লোগানের প্রতিধ্বনি।

বিশ্ববাসী জানে, এই চীনকেই ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের চার দেশের জোটে (কোয়াড) যোগ দিয়েছিল ভারত। জোটে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আছে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। অথচ এখন বাস্তবতার চাপেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে ভারত। মজার ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে আছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি।

এদিকে, কোয়াডের অন্য সদস্য অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক রেখেছে ন্যূনতম ১০ শতাংশ, যা কার্যকর হয়েছে গত ৯ এপ্রিল থেকে।
জাপানের রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ১৫ শতাংশ, এর বাইরে টোকিওকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার। এসবের বিনিময়ে গত ২২ জুলাই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়।
কিন্তু ভারতের ওপর চাপানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক।

শনিবার (৩০ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, চীনের তিয়ানজিন শহরে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদি। ১০ সদস্যবিশিষ্ট এই জোটের সম্মেলনে যোগ দিয়েই প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করবেন তিনি। তাই সম্মেলনটি সবার নজরে।

আজ এক্সে দেওয়া পোস্টে মোদি লিখেছেন, “চীনের তিয়ানজিন শহরে পৌঁছেছি। এসসিও সম্মেলনের ফল ও কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি।”

প্রায় ৭ বছর পর মোদির চীন সফর হচ্ছে। দ্য হিন্দু আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি দুই দিনের জাপান সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তখন এক্সে নরেন্দ্র মোদি লিখেছিলেন, তাঁর জাপান সফর দুই জাতির জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এখন সবার দৃষ্টি—চীন সফরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটে কি না। অর্থাৎ, ৭ বছরের জমে থাকা বরফ গলবে কি না।