ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার বিবিসিতে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: বিচার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’’ ‘‘প্রহসন’’ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসীদের দাবি অবহেলিত সিলেট- ৪ আসনে স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্ব রাজনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউকে’র গুণীজন সংবর্ধনা আগেআওয়ামী লীগ সমর্থক সন্দেহে রিকশাচালক ও নারীকে মারধর গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে, জুলাই জাতীয় সনদ জারি এবার ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর আ.লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের চিঠি ‘অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’
বলছে বাংলাদেশ জাসদ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / 86

সরকারি দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর ছবি

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকবে কি না—এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতামত চাওয়ার পেছনে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ দেখছে বাংলাদেশ জাসদ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। ওই চিঠির অনুলিপি সংবাদমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঐকমত্য কমিশনের সভায় কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, জাতীয় সনদে আর কোনো পরিবর্তন গ্রহণ করা হবে না। সে অনুযায়ী কোনো দল জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে কোনো আলোচনা না করলেও খোদ কমিশন নতুন বিষয়ে দলগুলোর মতামত চাইছে। এটা ঐকমত্যের সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন ও অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত শনিবার বিকাল ৪টার মধ্যে কমিশন বরাবর অথবা কমিশনের ই-মেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতে বৃহস্পতিবার অনুরোধ করে কমিশন।

বাংলাদেশ জাসদ বলছে, “যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা একটি রাজনৈতিক বিষয়। মাননীয় আদালত এ সংক্রান্ত এক রায়ে বলেছেন, রাজনৈতিক বিষয় আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদে নির্ধারিত হবে। আমরা তা সঠিক বলে মনে করি।”

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বিষয়ে ২০১১ সালের ১০ জুলাই একটি নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আলী রীয়াজের স্বাক্ষরে কমিশন বৃহস্পতিবার দলগুলোকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়, “সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ ৪ ক’ বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।”

বাংলাদেশ জাসদ বলছে, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের যে বিধান সংবিধানের ৪-ক ধারায় সন্নিবেশিত হয়েছে তা বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ সমর্থন করে। একে বিলুপ্ত করার প্রস্তাবকে আমরা বিরোধিতা করি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের চিঠি ‘অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’
বলছে বাংলাদেশ জাসদ

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকবে কি না—এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতামত চাওয়ার পেছনে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ দেখছে বাংলাদেশ জাসদ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। ওই চিঠির অনুলিপি সংবাদমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঐকমত্য কমিশনের সভায় কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, জাতীয় সনদে আর কোনো পরিবর্তন গ্রহণ করা হবে না। সে অনুযায়ী কোনো দল জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে কোনো আলোচনা না করলেও খোদ কমিশন নতুন বিষয়ে দলগুলোর মতামত চাইছে। এটা ঐকমত্যের সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন ও অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত শনিবার বিকাল ৪টার মধ্যে কমিশন বরাবর অথবা কমিশনের ই-মেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতে বৃহস্পতিবার অনুরোধ করে কমিশন।

বাংলাদেশ জাসদ বলছে, “যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা একটি রাজনৈতিক বিষয়। মাননীয় আদালত এ সংক্রান্ত এক রায়ে বলেছেন, রাজনৈতিক বিষয় আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদে নির্ধারিত হবে। আমরা তা সঠিক বলে মনে করি।”

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বিষয়ে ২০১১ সালের ১০ জুলাই একটি নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আলী রীয়াজের স্বাক্ষরে কমিশন বৃহস্পতিবার দলগুলোকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়, “সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ ৪ ক’ বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।”

বাংলাদেশ জাসদ বলছে, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের যে বিধান সংবিধানের ৪-ক ধারায় সন্নিবেশিত হয়েছে তা বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ সমর্থন করে। একে বিলুপ্ত করার প্রস্তাবকে আমরা বিরোধিতা করি।”