প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন হতে পারে শেরে বাংলা নগরে
- আপডেট সময় : ০১:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 81
নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন নির্ধারণে কাজ শুরু করেছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। মূলত গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বদলে সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে বেশি উপযোগী মনে করছে কমিটি। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে। তারা শেরে বাংলা নগরে দুটি স্থানকে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে—একটি হলো সংসদ ভবন এলাকার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, অন্যটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এলাকা।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের কাজ শুরু করে। জাদুঘরের নির্মাণকাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্ধারণ প্রশ্নটি সামনে আসে।
প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাসভবন নিয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই ছয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ (বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) এ কমিটির নেতৃত্ব দেন। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে সে প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চূড়ান্ত করতে একটি নতুন উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিতে সংসদ সচিবালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

















