পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা: গ্রেফতার ব্যক্তিকে নিয়ে যা হচ্ছে
- আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / 299

গ্রেফতারের বিষয়টি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর জানান, তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে। ওসি বলেন, এই ছেলেটি এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছিল। পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে এবং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরআগে, ওই ছাত্রী বুধবার (৫ মার্চ) শাহবাগ থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন বলে এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন।
ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের মুক্তির দাবিতে এদিন মধ্য রাতে পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ দাবি করেন। গ্রেফতার ব্যক্তিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।
তাদের একজন জানান, তারাবির নামাজের পর ওই ব্যক্তির গ্রেফতারের খবর তারা জানতে পারেন। এরপর মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় এসে উপস্থিত হন। তার ভাষ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে থানা হাজতে বন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের সঙ্গে কথা বলেন ও তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তারা।
কী ঘটেছিল ওই ছাত্রীর সঙ্গে
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পোস্টের সঙ্গে হেনস্তাকারীর ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তাতেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলছে, আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিকমতো ওড়না পরেছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। পরে আমি তাকে বললাম, এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না, আর আপনার তাকানোও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।
অর্ণবের পক্ষে যা বলা হচ্ছে
থানায় আটক অর্ণাবের বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়া ডেকে থানা হেফাজত থেকে লাইভ প্রচার করা হয়। তাতে দেখা যায়, অর্ণব বলতেছে, ‘আমি জোহরের নামাজ পড়ে বের হলাম। দেখি কয়েকটা মেয়ে উড়না ছাড়া হাঁটতেছে!দেইখা খারাপ লাগছে। মাথা নিচু করে জাস্ট বলেছি,আপু, এইভাবে চইলেন না।উড়না গায়ে দিবেন। তারপর আপুরা আমার উপর রাগ দেখায়। বলে, আমাদের যেইভাবে ইচ্ছে সেইভাবে ঘুরবো। আপনার কিছু বলার অধিকার নেই।’ কেউ কেউ অর্ণবের ফেসবুকে এতোমধ্যে আপলোড করা ছবি পোস্ট করে তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে দেখা যায় তার সেলফিতে বুকে ওড়না নেই এমন মেয়েদের ছবিও আছে।



















