ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার বিবিসিতে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: বিচার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’’ ‘‘প্রহসন’’ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসীদের দাবি অবহেলিত সিলেট- ৪ আসনে স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্ব রাজনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউকে’র গুণীজন সংবর্ধনা আগেআওয়ামী লীগ সমর্থক সন্দেহে রিকশাচালক ও নারীকে মারধর গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে, জুলাই জাতীয় সনদ জারি এবার ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর আ.লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

পুলিশের বাধায় পণ্ড ঢাকায় জাপার সমাবেশ
জিএম কাদেরের বক্তব্যের আগে হামলা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / 77

জাপা প্রতিবাদ সমাবেশ পণ্ড

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পণ্ড হয়ে গেছে জাপা’র ওই সমাবেশ। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তব্যের আগেই এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার পর এ ঘটনায় লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “তারা পুরো সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করছিল। প্রথমে তাদের সড়ক ছেড়ে একপাশে সমাবেশ করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা না শুনে সমাবেশ চালিয়ে যেতে থাকে।”

সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ার বিষয়টি স্বীকার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তিনি বলেন, “আনুমানিক আধা ঘণ্টা আগে তারা চলে গেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম পাটোয়ারী বলেন, “হামলা হয়েছে সেটা তো দেখেছেন, এখন কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই, একটু পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলবো।”

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ‘কর্মী সমাবেশ’ করছিল দলটি। এর আগে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে শুরু হওয়া কর্মী সমাবেশে উপস্থিত হন জি এম কাদের, মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ দলটির নেতারা।

দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদের যোগ দেওয়া সমাবেশকে ঘিরে আগেই মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ছেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “সারাদেশের জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের বক্তব্য এবং দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শোনার জন্য কর্মী সমাবেশে এসেছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ঠিক আগ মূহূর্তে হঠাৎ করে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দিকে চলে যায়।”

ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান শোভন বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এসেছি, এখানে সমাবেশ চলছিল। হঠাৎ টিয়ারশেল ও জলকমানান নিক্ষেপের কারণে আমরা বিভিন্ন দিকে চলে যাই। আমাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা দিয়ে অফিসে নিয়ে যায়।”

কাকরাইলে ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা

রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয় দফায় তাদের ফের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীদের দুই দিক থেকে ছত্রভঙ্গ করে কাকরাইল মোড় ও বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে পর্যন্ত হটিয়ে দেয় পুলিশ। তবে এখনও আশপাশে অবস্থান করছেন কিছু নেতাকর্মী। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের বাধায় পণ্ড ঢাকায় জাপার সমাবেশ
জিএম কাদেরের বক্তব্যের আগে হামলা

আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পণ্ড হয়ে গেছে জাপা’র ওই সমাবেশ। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তব্যের আগেই এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার পর এ ঘটনায় লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “তারা পুরো সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করছিল। প্রথমে তাদের সড়ক ছেড়ে একপাশে সমাবেশ করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা না শুনে সমাবেশ চালিয়ে যেতে থাকে।”

সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ার বিষয়টি স্বীকার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তিনি বলেন, “আনুমানিক আধা ঘণ্টা আগে তারা চলে গেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম পাটোয়ারী বলেন, “হামলা হয়েছে সেটা তো দেখেছেন, এখন কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই, একটু পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলবো।”

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ‘কর্মী সমাবেশ’ করছিল দলটি। এর আগে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে শুরু হওয়া কর্মী সমাবেশে উপস্থিত হন জি এম কাদের, মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ দলটির নেতারা।

দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদের যোগ দেওয়া সমাবেশকে ঘিরে আগেই মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ছেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “সারাদেশের জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের বক্তব্য এবং দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শোনার জন্য কর্মী সমাবেশে এসেছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ঠিক আগ মূহূর্তে হঠাৎ করে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দিকে চলে যায়।”

ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান শোভন বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এসেছি, এখানে সমাবেশ চলছিল। হঠাৎ টিয়ারশেল ও জলকমানান নিক্ষেপের কারণে আমরা বিভিন্ন দিকে চলে যাই। আমাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা দিয়ে অফিসে নিয়ে যায়।”

কাকরাইলে ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা

রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয় দফায় তাদের ফের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীদের দুই দিক থেকে ছত্রভঙ্গ করে কাকরাইল মোড় ও বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে পর্যন্ত হটিয়ে দেয় পুলিশ। তবে এখনও আশপাশে অবস্থান করছেন কিছু নেতাকর্মী। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়।