ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

পুলিশের পিটুনিতে আহত ১২৫ শিক্ষক ঢাকা মেডিকেলে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / 52

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিপেটার পাশাপাশি জলকামান

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশের হামলায়’ আহত হয়ে অন্তত ১২৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শিক্ষক নেতা মুহিব উল্লাহ জানান, এদের মধ্যে ‘বেশ কয়েকজন’ ভর্তি আছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমরা আহতদের তালিকা করছি।”

শনিবার সকাল থেকে শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনের উদ্দেশ্যে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হয়। প্রায় ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান, লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাসে শিক্ষকদের কর্মসূচি বিঘ্নিত হয়।

শিক্ষক নেতাদের দাবি, এ ঘটনায় অনেক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক রাত পৌনে ৮টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্তত ১২৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।”

পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে গিয়ে ‘পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন)’ এর সভাপতি মো. আবুল কাশেম।

তিনি জানান, আগের মতোই তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে তাদের অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাওয়া হবে।

দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের দাবি আদায় ও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল (রোববার) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।

“সারাদেশের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রত্যেক প্রধান শিক্ষক-সহকারী শিক্ষক সবাই শিক্ষকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করবেন।”

তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

যেখানে শিক্ষকরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা বলছেন, পুলিশ বলছে কাউকে আটক করা হয়নি।

ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকাল ৫টায় এক বিবৃতিতে বলেন, “কিছু আন্দোলনকারী ‘কলম সমর্পণের’ নামে শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হয়। আনুমানিক ৪টার সময় আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে একটা দল পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় পার হয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা প্রদান করলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

“এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তীতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন।

“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”

ডিএমপি ডিসির বিবৃতিতে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। এই মোর্চায় ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন)’ ছাড়াও রয়েছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)’।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার।

গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সহকারী শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট নন।

এর পর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ শনিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

অন্যদিকে আরেক অংশের সহকারী শিক্ষকরা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

দাবি না মানলে তারা ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে তারা পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের পিটুনিতে আহত ১২৫ শিক্ষক ঢাকা মেডিকেলে

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশের হামলায়’ আহত হয়ে অন্তত ১২৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শিক্ষক নেতা মুহিব উল্লাহ জানান, এদের মধ্যে ‘বেশ কয়েকজন’ ভর্তি আছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমরা আহতদের তালিকা করছি।”

শনিবার সকাল থেকে শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনের উদ্দেশ্যে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হয়। প্রায় ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান, লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাসে শিক্ষকদের কর্মসূচি বিঘ্নিত হয়।

শিক্ষক নেতাদের দাবি, এ ঘটনায় অনেক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক রাত পৌনে ৮টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্তত ১২৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।”

পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে গিয়ে ‘পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন)’ এর সভাপতি মো. আবুল কাশেম।

তিনি জানান, আগের মতোই তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে তাদের অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাওয়া হবে।

দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের দাবি আদায় ও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল (রোববার) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।

“সারাদেশের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রত্যেক প্রধান শিক্ষক-সহকারী শিক্ষক সবাই শিক্ষকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করবেন।”

তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

যেখানে শিক্ষকরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা বলছেন, পুলিশ বলছে কাউকে আটক করা হয়নি।

ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকাল ৫টায় এক বিবৃতিতে বলেন, “কিছু আন্দোলনকারী ‘কলম সমর্পণের’ নামে শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হয়। আনুমানিক ৪টার সময় আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে একটা দল পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় পার হয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা প্রদান করলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

“এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তীতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন।

“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”

ডিএমপি ডিসির বিবৃতিতে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। এই মোর্চায় ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন)’ ছাড়াও রয়েছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)’।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার।

গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সহকারী শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট নন।

এর পর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ শনিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

অন্যদিকে আরেক অংশের সহকারী শিক্ষকরা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

দাবি না মানলে তারা ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে তারা পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।