ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

পিতৃপরিচয়ে ধানের শীষ পেলেন ২৪ জন, প্রথমবার নির্বাচনে ৮১ জন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / 57

পিতৃপরিচয়ে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ২৪ জন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকেও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেওয়া হয়েছে। ঘোষিত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়—এর মধ্যে ৮১ জন প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন এমন, যারা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য বহন করে বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে এসেছেন।

ফটো কোলাজে (ওপরের সারি) নওশাদ জমির, ফারজানা শারমিন পুতুল, মাসুদ রানা প্রধান, রাগীব রউফ চৌধুরী, অনিন্দ্য ইসলাম ও তানভীর আহমেদ। (দ্বিতীয় সারি) ইশরাক হোসেন, শামা ওবায়েদ, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, আবদুল মুক্তাদির চৌধুরী, নাসের রহমান ও মীর হেলাল। (তৃতীয় সারি) হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী, মঞ্জুরুল করিম রনি, শাহ রিয়াজুল হান্নান, মঈনুল ইসলাম খাঁন ও আফরোজা খানম। (নিচের সারি) ইয়াসের খান চৌধুরী, সানসিলা জেবরিন, ফাহিম চৌধুরী, মাহমুদুল হক রুবেল, আহমেদ সোহেল মঞ্জু ও মেহেদী হাসান।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। পরের দিন মঙ্গলবার মাদারীপুর–১ আসনের প্রার্থীর নাম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় দল। বাকি আসনগুলোতে কিছু প্রার্থী দেওয়া হলেও কয়েকটি আসন জোটের শরিক দলের জন্য রাখবে বিএনপি।

দলীয় সূত্র বলছে, তরুণ প্রজন্মের এই নেতাদের কেউ কেউ আগেও প্রার্থী ছিলেন। অনেকে সাংগঠনিক দায়িত্বেও রয়েছেন, এমনকি কিছুজন সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

পারিবারিক রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধরে রাখার ঘটনা বাংলাদেশ রাজনীতিতে নতুন নয়। অনেকেই বাবা বা পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দলীয় রাজনীতিতে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন। এবার বিএনপির দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারাই বাবার জায়গায় বা তাদের অনুপস্থিতিতে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন।

দ্বিতীয় প্রজন্মের যেসব নেতার হাতে ধানের শীষ

পঞ্চগড়–১ আসনে সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকারের পরিবর্তে তার ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক।

নাটোর–১ আসনে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়েকে—ফারজানা শারমিন পুতুল—প্রার্থী করেছে বিএনপি। তিনি নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

জয়পুরহাট–১ আসনে প্রয়াত সাংসদ মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা প্রধান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।

কুষ্টিয়া–২ আসনে সাবেক সাংসদ আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রাগীব রউফ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি দুদকের প্যানেল আইনজীবী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।

যশোর–৩ আসনে প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালেও প্রার্থী ছিলেন।

ঢাকা–৪ আসনে সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিনকে দল মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব।

ঢাকা–৬ আসনে প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে জিতেও শপথ না নেওয়ার ঘটনায় তিনি আলোচনায় আসেন।

ফরিদপুর–২ আসনে সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালেও প্রার্থী ছিলেন।

ফরিদপুর–৩ আসনে সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সিলেট–১ আসনে প্রয়াত সাংসদ খন্দকার আবদুল মালেকের ছেলে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে নামছেন।

মৌলভীবাজার–৩ আসনে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান ধানের শীষ পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম–৫ এ সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মনোনয়ন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম–৭ আসনে প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চট্টগ্রাম–১৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা মনোনীত হয়েছেন।

গাজীপুর–২ আসনে সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে মঞ্জুরুল করিম রনিকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

গাজীপুর–৪ আসনে প্রয়াত বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ মনোনয়ন পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ–২ আসনে সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মঈনুল ইসলাম খাঁন ধানের শীষ পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ–৩ আসনে প্রয়াত সাংসদ হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খানম রিতা প্রার্থী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ–৯ আসনে প্রয়াত সাংসদ আনওয়ারুল হোসেন খানের ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

শেরপুরের তিনটি আসনেই দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারা:

  • শেরপুর–১: সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা

  • শেরপুর–২: ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী

  • শেরপুর–৩: মাহমুদুল হক রুবেল

পিরোজপুর–২ আসনে প্রয়াত নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন মনোনয়ন পেয়েছেন।

ঝিনাইদহ–৩ আসনে প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসানকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারা যা বলছেন

মঞ্জুরুল করিম বলেন, “আমার বাবা যেমন জনগণের পাশে ছিলেন, আমিও সে পথে হাঁটছি। সুযোগ পেলে উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।”

মেহেদী হাসান বলেন, “বাবা সাধারণ মানুষের জন্য আজীবন রাজনীতি করেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।”

রিয়াজুল হান্নান বলেন, “রাজপথে থেকেছি, কারাবরণ করেছি। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, সেই আসন আমি উপহার দিতে চাই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

পিতৃপরিচয়ে ধানের শীষ পেলেন ২৪ জন, প্রথমবার নির্বাচনে ৮১ জন

আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকেও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেওয়া হয়েছে। ঘোষিত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়—এর মধ্যে ৮১ জন প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন এমন, যারা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য বহন করে বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে এসেছেন।

ফটো কোলাজে (ওপরের সারি) নওশাদ জমির, ফারজানা শারমিন পুতুল, মাসুদ রানা প্রধান, রাগীব রউফ চৌধুরী, অনিন্দ্য ইসলাম ও তানভীর আহমেদ। (দ্বিতীয় সারি) ইশরাক হোসেন, শামা ওবায়েদ, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, আবদুল মুক্তাদির চৌধুরী, নাসের রহমান ও মীর হেলাল। (তৃতীয় সারি) হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী, মঞ্জুরুল করিম রনি, শাহ রিয়াজুল হান্নান, মঈনুল ইসলাম খাঁন ও আফরোজা খানম। (নিচের সারি) ইয়াসের খান চৌধুরী, সানসিলা জেবরিন, ফাহিম চৌধুরী, মাহমুদুল হক রুবেল, আহমেদ সোহেল মঞ্জু ও মেহেদী হাসান।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। পরের দিন মঙ্গলবার মাদারীপুর–১ আসনের প্রার্থীর নাম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় দল। বাকি আসনগুলোতে কিছু প্রার্থী দেওয়া হলেও কয়েকটি আসন জোটের শরিক দলের জন্য রাখবে বিএনপি।

দলীয় সূত্র বলছে, তরুণ প্রজন্মের এই নেতাদের কেউ কেউ আগেও প্রার্থী ছিলেন। অনেকে সাংগঠনিক দায়িত্বেও রয়েছেন, এমনকি কিছুজন সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

পারিবারিক রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধরে রাখার ঘটনা বাংলাদেশ রাজনীতিতে নতুন নয়। অনেকেই বাবা বা পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দলীয় রাজনীতিতে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন। এবার বিএনপির দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারাই বাবার জায়গায় বা তাদের অনুপস্থিতিতে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন।

দ্বিতীয় প্রজন্মের যেসব নেতার হাতে ধানের শীষ

পঞ্চগড়–১ আসনে সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকারের পরিবর্তে তার ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক।

নাটোর–১ আসনে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়েকে—ফারজানা শারমিন পুতুল—প্রার্থী করেছে বিএনপি। তিনি নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

জয়পুরহাট–১ আসনে প্রয়াত সাংসদ মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা প্রধান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।

কুষ্টিয়া–২ আসনে সাবেক সাংসদ আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রাগীব রউফ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি দুদকের প্যানেল আইনজীবী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।

যশোর–৩ আসনে প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালেও প্রার্থী ছিলেন।

ঢাকা–৪ আসনে সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিনকে দল মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব।

ঢাকা–৬ আসনে প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে জিতেও শপথ না নেওয়ার ঘটনায় তিনি আলোচনায় আসেন।

ফরিদপুর–২ আসনে সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালেও প্রার্থী ছিলেন।

ফরিদপুর–৩ আসনে সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সিলেট–১ আসনে প্রয়াত সাংসদ খন্দকার আবদুল মালেকের ছেলে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে নামছেন।

মৌলভীবাজার–৩ আসনে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান ধানের শীষ পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম–৫ এ সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মনোনয়ন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম–৭ আসনে প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চট্টগ্রাম–১৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা মনোনীত হয়েছেন।

গাজীপুর–২ আসনে সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে মঞ্জুরুল করিম রনিকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

গাজীপুর–৪ আসনে প্রয়াত বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ মনোনয়ন পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ–২ আসনে সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মঈনুল ইসলাম খাঁন ধানের শীষ পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ–৩ আসনে প্রয়াত সাংসদ হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খানম রিতা প্রার্থী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ–৯ আসনে প্রয়াত সাংসদ আনওয়ারুল হোসেন খানের ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

শেরপুরের তিনটি আসনেই দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারা:

  • শেরপুর–১: সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা

  • শেরপুর–২: ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী

  • শেরপুর–৩: মাহমুদুল হক রুবেল

পিরোজপুর–২ আসনে প্রয়াত নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন মনোনয়ন পেয়েছেন।

ঝিনাইদহ–৩ আসনে প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসানকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতারা যা বলছেন

মঞ্জুরুল করিম বলেন, “আমার বাবা যেমন জনগণের পাশে ছিলেন, আমিও সে পথে হাঁটছি। সুযোগ পেলে উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।”

মেহেদী হাসান বলেন, “বাবা সাধারণ মানুষের জন্য আজীবন রাজনীতি করেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।”

রিয়াজুল হান্নান বলেন, “রাজপথে থেকেছি, কারাবরণ করেছি। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, সেই আসন আমি উপহার দিতে চাই।”