পাহাড়ে ধর্ষণ: দলের নীরবতা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে এনসিপি নেতার পদত্যাগ
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 102
খাগড়াছড়িতে এক মারমা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নীরবতা এবং দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
অলিক বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্বেও আছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, “খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দলের নীরব ভূমিকা ও হান্নান মাসউদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইমেইলে পদত্যাগপত্র দলীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে অলিক মৃ বলেন, “হান্নান মাসউদ জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনা ভুয়া ও নাটক। আমি এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অলিক মৃ নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্ট দিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
রোববার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের সাইফুল মার্কেট এলাকায় আয়োজিত ‘ঐক্য ও সংহতির সমাবেশে’ এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ দাবি করেন, “শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলছে ভারত, একটি ভুয়া ধর্ষণের ঘটনার মাধ্যমে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত এই অঞ্চল কেড়ে নিতে চায়। তবে আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মোকাবিলা করেছি, ২০২৫ সালে ভারতের মোকাবিলাও করব।”
এদিকে ধর্ষণের ওই ঘটনার জেরে পাহাড়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ চলছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির গুইমারায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে এর মধ্যেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়। পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।

















