ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

নির্মাণকাজ করছে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাচ্ছে ডিসেম্বরে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
  • / 1396
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের মেগা প্রকল্প বাগেরহাট জেলার রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

করোনার কারণে গত এক বছরে এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও যাবে উৎপাদনে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রামপাল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এমইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাগেরহাটের রামপালে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল থারমার পাওয়ার কোম্পানির (এনপিপিসি) মধ্যে।

২০১৩ সালের ৮ অক্টোবরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । পশুর নদীর তীরে বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। গত বছর মার্চে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় হাজারের বেশি ভারতীয় দক্ষ শ্রমিক দেশে ফিরে যাওয়ায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির নির্মাণকাজ কিছুটা থমকে দাঁড়ায়। এসব ভারতীয় শ্রমিক ফিরে আসায় এবং একদল তরুণ প্রকৌশলী যোগ দেওয়ায় দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে নির্মাণকাজ করছে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার, টারবাইন্ড, কুলিং টাওয়ার, কোল্ডশেড ইয়ার্ড, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জেটিসহ প্রকল্প এলাকায় নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে। পরিবেশগত সব আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে আল্ট্রাসুপার প্রযুক্তিতে অল্প কয়লা ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। সুপার থারমার পাওয়ার এই প্লান্টের প্রথম ইউনিট আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষে ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্মাণকাজ করছে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাচ্ছে ডিসেম্বরে

আপডেট সময় : ০৪:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের মেগা প্রকল্প বাগেরহাট জেলার রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

করোনার কারণে গত এক বছরে এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও যাবে উৎপাদনে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রামপাল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এমইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাগেরহাটের রামপালে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল থারমার পাওয়ার কোম্পানির (এনপিপিসি) মধ্যে।

২০১৩ সালের ৮ অক্টোবরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । পশুর নদীর তীরে বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। গত বছর মার্চে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় হাজারের বেশি ভারতীয় দক্ষ শ্রমিক দেশে ফিরে যাওয়ায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির নির্মাণকাজ কিছুটা থমকে দাঁড়ায়। এসব ভারতীয় শ্রমিক ফিরে আসায় এবং একদল তরুণ প্রকৌশলী যোগ দেওয়ায় দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে নির্মাণকাজ করছে ৭ হাজারের বেশি শ্রমিক।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার, টারবাইন্ড, কুলিং টাওয়ার, কোল্ডশেড ইয়ার্ড, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জেটিসহ প্রকল্প এলাকায় নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে। পরিবেশগত সব আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে আল্ট্রাসুপার প্রযুক্তিতে অল্প কয়লা ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। সুপার থারমার পাওয়ার এই প্লান্টের প্রথম ইউনিট আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষে ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।