ডেইটিং করতে বয়স কমানোর আইনী লড়াই
- আপডেট সময় : ০৭:৪২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
- / 1533
এমিল রেটেলব্যন্ড,জার্মাানীর নাগরিক। ৬৯ বছর বয়সী এই নাগরিক নিজেকে একজন তরুন হিসেবে মনে করেন। তিনি মনে করেন তাঁর বয়স এখনও অনেক কম। তিনি নিজেকে তার বয়সের চেয়ে ২০ বছরের কম অর্থাৎ ৪৯ বছর বয়সী হিসেবে মনে করেন।
তাঁর সামর্থ, তার কর্মক্ষমতায় তিনি নিজেকে একজন তরুণ হিসেবেই ভাবেন। তাই তিনি তাঁর বয়স কমানোর আইনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন। সেজন্যে গত মাসে তিনি জার্মানীর একটা কোর্টে তাঁর বয়স কমিয়ে দিতে আবেদন করেন।
রেটেলব্যন্ড আদালতে দাবী করেন, তাঁর ডাক্তাররা তাঁকে বলেছেন,রেটেব্যান্ডকে তার বয়সের চেয়ে অনেক কম বয়সী বলেই মনে হয় এবং তাঁরা রেটলব্যন্ডকে কে ৪৫ বছর বয়সী মানুষের মতো কর্মক্ষম হিসেবে মতামত দিয়েছেন । ডাক্তারদের উপদেশ সাপেক্ষেই তিনি তাঁর বয়স ১১ মার্চ ১৯৪৯ সনের পরিবর্তে ১১ মার্চ ১৯৬৯ করতে চাচ্ছেন। তাই আইনগতভাবে এই বয়স কমিয়ে ৪৯ বছরে নামিয়ে দেবার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
রেটেলব্যন্ড আদালতে উল্লেখ করেন, তার বয়স কমিয়ে নিলে কর্মক্ষেত্রে তিনি আরও বেশী উৎসাহিত হবেন এবং কাজের বাইরে অবসরে ‘ডেটিং সাইটে’ গিয়ে নিজের বয়স তোলে ধরে সঙ্গী-সঙ্গীনীদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তোলতে পারবেন।
আদালত তাঁর এ আবেদনকে গুরুত্বের সাথেই নিয়েছেন। তবে রেটেলব্যান্ড এ লড়াইয়ে বিজয়ী হতে পারেন নি। গত ৩ ডিসেম্বর এ আবেদনের রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেছেন যে, ‘সমাজে নিজেকে স্বাস্থ্যবান ও সক্ষম রাখার স্পৃহা সকল মানুষেরই আছে,কিন্তু আইনগত ভাবে বয়স কমিয়ে নেয়া তথা জন্মনিবন্ধন পরিবর্তন করা কোন যুক্তিতেই পড়ে না।’ বিচারক তার রায়ে আরও উল্লেখ করেন, ‘যদি রেটেলব্যান্ডের এই আবেদন গ্রহণ করা হয়, তাহলে বয়স বিষয়টা কার্যকরিতা হারাবে, হয়ে যাবে অপ্রয়োজনীয়। রেটেলব্যন্ড নিজেকে যতই শক্ত-সামর্থ কিংবা তরুন হিসেবে ভাবুন না কেন, ডাচ আইন অনুসারে তিনি এখনও ৬৯ বছর বয়সীই।’
স্বাভাবিকভাবেই বয়স কমানোর আইনী লড়াইয়ে এমিল রেটেলব্যন্ড হেরেছেন, এবং বয়স কমানোর স্পৃহা নিয়ে যে যারা এ আবেদনকে অত্যন্ত উৎসাহের সাথে দেখেছিলেন, বিচারকের রায়ে সে উৎসাহে ভাটা পড়েছে।
























