এখনো চিকিৎসাধীন ৪৪ জন, ৮ জন আশঙ্কাজনক, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
- আপডেট সময় : ১০:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
- / 205

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আজ মারা যাওয়া দু্ইজনই ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। এ নিয়ে সেখানে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
এর বাইরে, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৪৪ জন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আটজন ক্রিটিক্যাল, ১৩ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট অবস্থায় রয়েছেন।’ ‘আজ সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে বসেছিলাম। প্রতিটি রোগীর বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হয়েছে—কে কী ওষুধ পাবে, কার অপারেশন লাগবে, কার ড্রেসিং পরিবর্তন হবে ইত্যাদি।’
পরিচালক জানান, দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিশেষজ্ঞদের সাথে চিকিৎসা প্রটোকল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা কিছু সিদ্ধান্ত শেয়ার করেন। চিকিৎসায় আমরা তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তও একীভূত করছি।
ডা. নাসির উদ্দিন জানান, ‘বার্নের ম্যানেজমেন্ট একটি ডায়নামিক প্রসেস। ঘণ্টায় ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি রোগীকে ১২ ঘণ্টা পর পর পুনরায় অ্যাসেস করা হবে এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি আরো জানান, ওষুধ ও যাবতীয় চিকিৎসা উপকরণ পর্যাপ্ত রয়েছে।


















