চাঁদাবাজীর অভিযোগ অস্বীকার উপদেষ্টা আসিফ ভূঁইয়ার: হাঁসের মাংস খেতে যান ওয়েস্টিনে
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 126
চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে তাঁর কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। সে সময় বাসায় খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় তিনি প্রায়ই ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেটে গিয়ে হাঁসের মাংস খান। যদি তখন নীলা মার্কেট বন্ধ থাকে, তবে তিনি গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে যান।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর নাম আসায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওই দিন আমি সেখানে গিয়েছিলাম কি না, সেটা আমার মনে নেই।”
ভিডিওতে জানে আলম বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যের বাসা থেকে চাঁদার টাকা নেওয়ার দিন তাঁর সঙ্গে গুলশানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে উপদেষ্টা বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমার বলে দাবি করা হয়, সেটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?”
চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমার মনে হয় না, এখনো কেউ প্রমাণ দিতে পেরেছে যে আমি জড়িত। বরং আরও যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি সাক্ষাৎকার রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, সেটা পরিবারের পক্ষ থেকেই এসেছে এবং যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
এদিকে ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা বলেন, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দী করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। তিনি প্রশ্ন করেন, “গোপীবাগ কার বাসা? এটা কি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসা নয়?”
আনিসা অভিযোগ করেন, ইশরাক অপুকে জোর করে তুলে নিয়ে নিজের বাসায় ভিডিও করতে বাধ্য করেছেন। তিনি আরও জানান, অপুকে বিএনপি নেতা ইশরাকের বাসার সামনে থেকেই ধরে নেওয়া হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি সবই ওই বাসায় ধারণ করা।
গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকাকালীন তিনি ভিডিওটি ধারণ করেন।
৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে অপু বিস্তারিত বলেন, “গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নেওয়া লোকটিকে আমি দেখেছি—সেটা আমি। ফুটেজে দেখা গেছে, সমন্বয়কেরা এতে জড়িত ছিলেন। গত বছর যারা সমন্বয়ক ছিলেন, তারাই এবার চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার কিছু প্রশ্ন আছে। ভোর ৫টার সময় ডিসি-এসিকে জানিয়ে পুলিশসহ শাম্মির বাসায় আমরা অভিযান চালাই। অভিযানের আগে গুলশানের কোনো স্থানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল কি না, সেটা কি জানেন?”

















