ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়া ‘বিমান ভ্রমণে সক্ষম নন’, মত মেডিকেল বোর্ডের শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন ভারতে কতদিন থাকবেন, জানালেন জয়শঙ্কর আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

চলে গেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 1679
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলে গেলেন বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ) দিনগত রাত ৮টা ২৮মিনিটে রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য ফজলে হাসান আবেদ র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করে।

ফজলে হাসানের জন্ম আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তার বাবা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। আবেদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়েছেন। পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। শিক্ষাশেষে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ফজলে হাসান বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরো ১৮ বছর। কয়েক মাস আগে তিনি সে পদটিও ছেড়ে দিয়ে অবসরে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলে গেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

চলে গেলেন বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ) দিনগত রাত ৮টা ২৮মিনিটে রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য ফজলে হাসান আবেদ র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করে।

ফজলে হাসানের জন্ম আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তার বাবা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। আবেদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়েছেন। পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। শিক্ষাশেষে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ফজলে হাসান বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরো ১৮ বছর। কয়েক মাস আগে তিনি সে পদটিও ছেড়ে দিয়ে অবসরে যান।