ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

চট্টগ্রামে গভীর রাতে যুবদলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ কর্মীর মৃত্যু : এক মাসে ৩ জন খুন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / 105

যুবদল দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত মো. সাজ্জাদ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী এবং সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. সাজ্জাদ। তিনি তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তবে আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাতে কেউ তার ছেলেকে বাইরে ডেকে নেয়। পরে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান।

তিনি বলেন, “আমার ছেলে ডা. শাহাদাতের অনুসারী। রাতে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি ছেলে চলে গেছে।”

তবে কে ফোন করে তার ছেলেকে বাইরে ডেকেছিল, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

দলীয় সূত্র ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা ও বোরহান উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রথমে বাদশার অনুসারীরা বোরহানের গ্রুপের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে হাতাহাতি, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষটি রূপ নেয় গোলাগুলিতে। মধ্যরাতে একাধিক গুলির শব্দে ভারী হয়ে ওঠে বাকলিয়া এলাকা।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মাস কয়েক আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে, বোরহান উদ্দিন নগর ছাত্রদলের সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমানে যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে তার বর্তমান পদ সম্পর্কে জানা যায়নি।

তবে জানা গেছে, বাদশা ও বোরহান—দুজনই সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী।

ঘটনার পর ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “ব্যানার খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক মাসে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিনজনের মৃত্যু হলো। শনিবার রাউজান উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় যুবদল কর্মী মোহাম্মদ আলমগীর। মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাটে প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয় বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে শহরে ফেরার পথে তাকে একাধিক গুলি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে গভীর রাতে যুবদলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ কর্মীর মৃত্যু : এক মাসে ৩ জন খুন

আপডেট সময় : ০২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী এবং সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. সাজ্জাদ। তিনি তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তবে আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাতে কেউ তার ছেলেকে বাইরে ডেকে নেয়। পরে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান।

তিনি বলেন, “আমার ছেলে ডা. শাহাদাতের অনুসারী। রাতে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি ছেলে চলে গেছে।”

তবে কে ফোন করে তার ছেলেকে বাইরে ডেকেছিল, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

দলীয় সূত্র ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা ও বোরহান উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রথমে বাদশার অনুসারীরা বোরহানের গ্রুপের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে হাতাহাতি, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষটি রূপ নেয় গোলাগুলিতে। মধ্যরাতে একাধিক গুলির শব্দে ভারী হয়ে ওঠে বাকলিয়া এলাকা।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মাস কয়েক আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে, বোরহান উদ্দিন নগর ছাত্রদলের সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমানে যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে তার বর্তমান পদ সম্পর্কে জানা যায়নি।

তবে জানা গেছে, বাদশা ও বোরহান—দুজনই সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী।

ঘটনার পর ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “ব্যানার খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক মাসে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিনজনের মৃত্যু হলো। শনিবার রাউজান উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় যুবদল কর্মী মোহাম্মদ আলমগীর। মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাটে প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয় বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে শহরে ফেরার পথে তাকে একাধিক গুলি করা হয়।