খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নাকচ করলেন ট্রাম্প!
- আপডেট সময় : ১২:১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
- / 321

চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের অংশ হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে ওই পরিকল্পনায় সম্মতি দেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন কর্মকর্তা। রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য প্রকাশ করে।
মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, ‘ইরানিরা কি এখনও একজন আমেরিকানকেও হত্যা করেছে? না। তারা এমন কিছু না করা পর্যন্ত আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার বিষয়ে আলোচনা করতেও চাই না।’
ওই কর্মকর্তারা জানান, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে ইসরায়েল জানায়, তাদের সামনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে (খামেনি) হত্যার সুযোগ রয়েছে। তবে ট্রাম্প সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা।
ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই পরিকল্পনা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি কর্মকর্তারা। তবে জানান, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্প নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
এ বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘(আমাদের দুজনের) কথোপকথন নিয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এর অনেক কিছুই ঘটেনি এবং আমি সেই আলোচনায় যেতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি এটুকু বলতে পারি, আমরা যা করা উচিত মনে করি তা-ই করি এবং ভবিষ্যতেও তা করব। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রও জানে তাদের জন্য কোনটা সবচেয়ে উপযোগী।’
তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে এখনও আশা ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি আশাবাদী যে, ওমানের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন-তেহরান আলোচনা আবারও শুরু হবে। যদিও রোববার ওমানে ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও চলমান সংঘাতের কারণে তা বাতিল হয়।
শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে ‘আমরা সব কিছুই জানতাম’।
উল্লেখ্য, ওই দিন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে হামলা শুরু করে তেহরান। চলমান রয়েছে টানা তিন দিনের হামলা-পাল্টা হামলা।
প্রথম দিনের হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, ‘এই অপরাধের মাধ্যমে (ইসরায়েলের) জায়নবাদি শাসকরা নিজেদের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক নিয়তি নিশ্চিত করেছে এবং নিশ্চিতভাবেই তাদের সেই পরিণাম দেওয়া হবে।’























