কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল
- আপডেট সময় : ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / 182

কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল। যাদবপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। শান্তা পালের বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে।
তার কাছ থেকে ভারতের ভোটার ও আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে এল তার কাছে আধার ও ভোটার কার্ড? এ নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তাকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা।
জানা গেছে, অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত শান্তা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। তবে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন-ভিন্ন ঠিকানা দিয়ে থাকতেন তিনি। সম্প্রতি আবার এই শান্তা ঠাকুরপুকুর থানাতেও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানেও ভিন্ন ঠিকানা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের দুই নামী সংস্থার মডেল ছিলেন শান্তা। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলেন।
গ্রেফতারের পর পুলিশের সন্দেহ হয় এখানেই। এত ঠিকানা একজন মানুষের কীভাবে থাকতে পারে? এরপর তদন্ত শুরু হয়। তার কাছ থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্টও উদ্ধার করা হয়। মেলে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের অ্যাডমিট কার্ড। এমনকি বিমান সংস্থার আইডি কার্ডও পাওয়া গেছে তার কাছে।
শান্তার কাছ থেকে পাওয়া আধার কার্ড একটি কলকাতার এবং অন্যটি বর্ধমানের। ২০২০ সালে তার নামে বর্ধমানের ঠিকানার আধার নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত নথি কীভাবে তার কাছে এল, তার কোর সদুত্তর পায়নি পুলিশ। তবে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কলকাতায় একটি স্টার্ট আপ করার পরিকল্পনা ছিল তার। গোটা বিষয়টির পিছনে কোনও বড় চক্র রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। শান্তার সঙ্গী যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। যদিও এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
শান্তা তার বাংলাদেশি পাসপোর্টে কোনও ভিসা দেখাতে পারেননি। ২০২৩ সালে ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিলেন তিনি। সেই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে। এরপর নতুন করে ভিসা করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, তার পাসপোর্টের মেয়াদও ফুরিয়েছে চলতি বছর।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই তাকে বিক্রমগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
২০২০ সালে টলিউডের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।


















