ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামায়াত কর্মীকে ‘রাজাকার’ বলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ ভোটের ওপর নির্ভর করছে সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক

করোনায় আরও ১৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে এ বছর

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 1701
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে ৩০ হাজার। নতুন করে দেশে দেশে ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯ মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা স্বীকৃত একটি মডেলে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর শেষে করোনায় মোট প্রাণহানি গিয়ে ঠেকবে ২৮ লাখে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা মডেলে করা হিসাবে পূর্বাভাস দিয়ে বলা হচ্ছে, চলতি বছর শেষে অর্থাৎ আগামী বছরের ১ জানুয়ারি মহামারি করোনাভাইরাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা গিয়ে ঠেকবে ১৯ লাখে, যা বর্তমানে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর চেয়ে ১৯ লাখ বেশি।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ডা. ক্রিস্টোফার ম্যুরে বলেন, ‘মাস্ক বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চললে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়েই ভাবনা বেশি বিশ্বের সরকারপ্রধানদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে একটা প্রাণঘাতী ডিসেম্বর অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু নিয়ম মানা হচ্ছে না। প্রমাণ এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এটা স্পষ্ট যে, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং সামাজিক সমাবেশ সীমিত করা গেলে ভাইরাসটির বিস্তার কম ঘটবে।’

আইএইচএমই’র মডেল অনুযায়ী পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ চূড়ায় উঠবে। এ সময় দেশটিতে দৈনিক করোনায় মৃত্যু হবে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনের। জানুয়ারি ১ এর মধ্যে করোনায় মোট মৃত্যুর ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং জাপান।

প্রসঙ্গত, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ পর্যন্ত দুই কোটি ৬৮ লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে করোনা। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আশার খবর হলো, ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েও এখন প্রায় ১৯ লাখ মানুষ সুস্থ। তাদের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনায় আরও ১৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে এ বছর

আপডেট সময় : ০৫:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে ৩০ হাজার। নতুন করে দেশে দেশে ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯ মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা স্বীকৃত একটি মডেলে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর শেষে করোনায় মোট প্রাণহানি গিয়ে ঠেকবে ২৮ লাখে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা মডেলে করা হিসাবে পূর্বাভাস দিয়ে বলা হচ্ছে, চলতি বছর শেষে অর্থাৎ আগামী বছরের ১ জানুয়ারি মহামারি করোনাভাইরাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা গিয়ে ঠেকবে ১৯ লাখে, যা বর্তমানে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর চেয়ে ১৯ লাখ বেশি।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ডা. ক্রিস্টোফার ম্যুরে বলেন, ‘মাস্ক বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চললে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়েই ভাবনা বেশি বিশ্বের সরকারপ্রধানদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে একটা প্রাণঘাতী ডিসেম্বর অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু নিয়ম মানা হচ্ছে না। প্রমাণ এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এটা স্পষ্ট যে, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং সামাজিক সমাবেশ সীমিত করা গেলে ভাইরাসটির বিস্তার কম ঘটবে।’

আইএইচএমই’র মডেল অনুযায়ী পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ চূড়ায় উঠবে। এ সময় দেশটিতে দৈনিক করোনায় মৃত্যু হবে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনের। জানুয়ারি ১ এর মধ্যে করোনায় মোট মৃত্যুর ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং জাপান।

প্রসঙ্গত, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ পর্যন্ত দুই কোটি ৬৮ লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে করোনা। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আশার খবর হলো, ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েও এখন প্রায় ১৯ লাখ মানুষ সুস্থ। তাদের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নেই।