ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

এবার সাভারের ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • / 98
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তীব্র ভূমিকম্পের মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর আবারও কম্পন অনুভূত হলো বাংলাদেশে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট  ১২ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর।

তিনি জানান, এটি মূলত ‘আফটার শক’। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায়। এটি ছিল অপেক্ষাকৃত হালকা মাত্রার; রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে।

সে ঘটনায় তিন জেলা মিলিয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু এবং ছয় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয়, কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে।

রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে; কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়িত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড।

তীব্র এই ঝাঁকুনির পর এখনই করণীয় নির্ধারণে বিশেষজ্ঞরা জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “আজকের ভূমিকম্পটা বলা যেতে পারে ‘ফোরশক’। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট যে ভূমিকম্প হয়, এটা সেগুলোর একটি।”

এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে—এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে। পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষ আটকে পড়বে এবং ঢাকার প্রায় ৩৫ শতাংশ ভবন ধসে যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিপর্যয় পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর উদ্যোগ এখনই নেওয়া সম্ভব।

সেক্ষেত্রে ভবনের মান যাচাই, ঝুঁকির ভিত্তিতে ভবন আলাদা করা, নাগরিকদের সতর্ক করা এবং নিয়মিত মহড়া আয়োজন—এসব ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশ কম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হলেও ঝুঁকির দিক দিয়ে খুব উপরে রয়েছে। ইন্ডিয়ান-বার্মা প্লেটের সংযোগ স্থলে যে বিপুল শক্তি জমা হয়েছে, সেটা বের হলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।

“এটা আগামীকালও হতে পারে, আবার ৫০ বছর পরেও হতে পারে। কখন হবে, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে একবার হলে, সেটা হবে খুবই ভয়াবহ। ‘সাবডাকশন জোনের’ ভূমিকম্প সাধারণত অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার সাভারের ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

আপডেট সময় : ০২:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

তীব্র ভূমিকম্পের মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর আবারও কম্পন অনুভূত হলো বাংলাদেশে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট  ১২ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর।

তিনি জানান, এটি মূলত ‘আফটার শক’। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায়। এটি ছিল অপেক্ষাকৃত হালকা মাত্রার; রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে।

সে ঘটনায় তিন জেলা মিলিয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু এবং ছয় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয়, কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে।

রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে; কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়িত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড।

তীব্র এই ঝাঁকুনির পর এখনই করণীয় নির্ধারণে বিশেষজ্ঞরা জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “আজকের ভূমিকম্পটা বলা যেতে পারে ‘ফোরশক’। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট যে ভূমিকম্প হয়, এটা সেগুলোর একটি।”

এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে—এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে। পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষ আটকে পড়বে এবং ঢাকার প্রায় ৩৫ শতাংশ ভবন ধসে যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিপর্যয় পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর উদ্যোগ এখনই নেওয়া সম্ভব।

সেক্ষেত্রে ভবনের মান যাচাই, ঝুঁকির ভিত্তিতে ভবন আলাদা করা, নাগরিকদের সতর্ক করা এবং নিয়মিত মহড়া আয়োজন—এসব ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশ কম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হলেও ঝুঁকির দিক দিয়ে খুব উপরে রয়েছে। ইন্ডিয়ান-বার্মা প্লেটের সংযোগ স্থলে যে বিপুল শক্তি জমা হয়েছে, সেটা বের হলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।

“এটা আগামীকালও হতে পারে, আবার ৫০ বছর পরেও হতে পারে। কখন হবে, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে একবার হলে, সেটা হবে খুবই ভয়াবহ। ‘সাবডাকশন জোনের’ ভূমিকম্প সাধারণত অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়।”