এবার তুরস্কে জাহাজ রফতানি করছে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 104
বাংলাদেশের বেসরকারি জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড এবার তুরস্কে রপ্তানি করছে সাড়ে পাঁচ হাজার ডেডওয়েট টনের (ডিডব্লিউটি) অত্যাধুনিক বহুমুখী জাহাজ ‘ওয়েস ওয়্যার’।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে তুরস্কের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান ‘নোপ্যাক শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেড’-এর কাছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রমিজ সেন।
শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেডের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাটে অবস্থিত নিজস্ব ঘাঁটি থেকে জাহাজটি রপ্তানি করা হচ্ছে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড, যেটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, জানিয়েছে— ‘ওয়েস ওয়্যার’ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নকশা ও প্রযুক্তিতে নির্মিত। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট, গভীরতা ২৫ ফুট। এটি ২,৭৩৫ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনে চালিত এবং প্রতি ঘণ্টায় ১২ নট গতিতে ৫,৫০০ টন পণ্য পরিবহনে সক্ষম। ইস্পাত কয়েল, কয়লা, সার, খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে রাসায়নিক পদার্থ পরিবহনের জন্যও এটি উপযোগী।
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানি লিমিটেডে ৬,১০০ ডিডব্লিউটি ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ রপ্তানি করে, যা সে সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া অন্যতম বৃহৎ জাহাজ ছিল।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় জাহাজ নির্মাণশিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হলে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ ও রপ্তানি থেকে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক রাসায়নিক শিল্প স্থাপন করে শৈবাল ও জলজ উদ্ভিদ থেকে ঔষধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন সম্ভব, এতে কাঁচামাল আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে ৩৫০টিরও বেশি জাহাজ সরবরাহ করেছে। ২০০৮ সালে ডেনমার্কে কন্টেইনার জাহাজ ‘স্টেলা মেরিস’ রপ্তানির মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জার্মানি, নরওয়ে, মোজাম্বিক, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে জাহাজ রপ্তানি করেছে।
প্রতিষ্ঠানের কারিগরি পরিচালক ড. নাজমা নওরোজ বলেন, “জাহাজটির সব ধরনের যান্ত্রিক ও সমুদ্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সি ট্রায়াল শেষ হওয়ায় ক্রেতার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের আয়োজন করা হয়েছে।”


















