ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

ইতালি ৩ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেবে, ‘থাকতে পারে’ বাংলাদেশিরাও

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 352
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈধপথে আগামী তিন বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ধারাবাহিক প্রায় ৫ লাখ কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। ২০২২ সাল থেকে চালু হওয়া ডিক্রি ‘ডেক্রেতো ফুল্লির’ নিয়ম পরিবর্তন না হলে এবছরও তালিকায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশিদের।

স্থানীয় সময় সোমবার মন্ত্রীপরিষদের এক আলোচনা সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। তবে এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে গেজেট প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত। রোমের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মোকতার হোসেন ভূইয়া জানান, “এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে এবছর সরকার অনেক যাচাই-বাছাই করে কর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেবে।”

ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, মন্ত্রীসভার আলোচনা অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কর্মী বৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পায়। তবে আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৬ থেকে ২০২৮ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ কর্মী পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।

এতে শুধু ২০২৬ সালে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০ জন, ২০২৭ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫০ জন এবং শেষ বছর অর্থাৎ ২০২৮ সালে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ জন কর্মী বৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাবে।

এরমধ্যে প্রতিবছর সিজনাল বা অস্থায়ীভাবে ৮৮ হাজার থেকে ৯০ হাজার শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবে। তবে এই ক্যাটাগরির ভিসাধারীদের নির্দিষ্ট সময় পর নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বলে জানায় প্রশাসন।

এছাড়া প্রতিবছর নন-সিজনাল বা স্থায়ীভাবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে ৭৬ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক। আর গৃহকর্মী বা বয়স্কদের দেখাশোনা করার জন্য প্রতিবছর স্থায়ীভাবে প্রবেশ করতে পারবে ১৩ হাজার ৬০০ থেকে ১৪ হাজার ২০০ জন।

নানা ‘অনিয়ম আর ভিসা জটিলতার’ কারণে ঢাকার ইতালি দূতাবাসে জটলা লেগে আছে, আটকে আছে প্রায় ৬০ হাজার কর্মীভিসার আবেদন। এতে দফায় দফায় দূতাবাসের সামনে এসব ভিসা প্রত্যাশীরা মানববন্ধন করলেও জটিলতা কাটেনি। এ বিষয়ে ইতালি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসসান্দ্রো ‘জাল নথি ব্যবহার’ করে বারবার আবেদন করাকে দায়ী করে আসছেন ‍ৃ

প্রবাসী বাংলাদেশি এম কে রহমান লিটন বলেন, “আসার আগে প্রত্যেক কর্মীকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতালিতে আসা উচিত। এতে দেশটিতে আসার পর কাজের জন্য আর চিন্তা করা লাগে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতালি ৩ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেবে, ‘থাকতে পারে’ বাংলাদেশিরাও

আপডেট সময় : ০১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

বৈধপথে আগামী তিন বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ধারাবাহিক প্রায় ৫ লাখ কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। ২০২২ সাল থেকে চালু হওয়া ডিক্রি ‘ডেক্রেতো ফুল্লির’ নিয়ম পরিবর্তন না হলে এবছরও তালিকায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশিদের।

স্থানীয় সময় সোমবার মন্ত্রীপরিষদের এক আলোচনা সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। তবে এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে গেজেট প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত। রোমের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মোকতার হোসেন ভূইয়া জানান, “এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে এবছর সরকার অনেক যাচাই-বাছাই করে কর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেবে।”

ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, মন্ত্রীসভার আলোচনা অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কর্মী বৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পায়। তবে আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৬ থেকে ২০২৮ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ কর্মী পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।

এতে শুধু ২০২৬ সালে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০ জন, ২০২৭ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫০ জন এবং শেষ বছর অর্থাৎ ২০২৮ সালে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ জন কর্মী বৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাবে।

এরমধ্যে প্রতিবছর সিজনাল বা অস্থায়ীভাবে ৮৮ হাজার থেকে ৯০ হাজার শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবে। তবে এই ক্যাটাগরির ভিসাধারীদের নির্দিষ্ট সময় পর নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বলে জানায় প্রশাসন।

এছাড়া প্রতিবছর নন-সিজনাল বা স্থায়ীভাবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে ৭৬ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক। আর গৃহকর্মী বা বয়স্কদের দেখাশোনা করার জন্য প্রতিবছর স্থায়ীভাবে প্রবেশ করতে পারবে ১৩ হাজার ৬০০ থেকে ১৪ হাজার ২০০ জন।

নানা ‘অনিয়ম আর ভিসা জটিলতার’ কারণে ঢাকার ইতালি দূতাবাসে জটলা লেগে আছে, আটকে আছে প্রায় ৬০ হাজার কর্মীভিসার আবেদন। এতে দফায় দফায় দূতাবাসের সামনে এসব ভিসা প্রত্যাশীরা মানববন্ধন করলেও জটিলতা কাটেনি। এ বিষয়ে ইতালি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসসান্দ্রো ‘জাল নথি ব্যবহার’ করে বারবার আবেদন করাকে দায়ী করে আসছেন ‍ৃ

প্রবাসী বাংলাদেশি এম কে রহমান লিটন বলেন, “আসার আগে প্রত্যেক কর্মীকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতালিতে আসা উচিত। এতে দেশটিতে আসার পর কাজের জন্য আর চিন্তা করা লাগে না।”