ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়া ‘বিমান ভ্রমণে সক্ষম নন’, মত মেডিকেল বোর্ডের শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন ভারতে কতদিন থাকবেন, জানালেন জয়শঙ্কর আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

আপিলে খালাস পেলেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / 186
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মোবারকের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (৩০ জুলাই) এ রায় দেন।

একই সঙ্গে আপিল বিভাগ মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন।

জামায়াত নেতা এটিএম অজাহারের পর মোবারক হোসেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে খালাস পেলেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণ হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে আখাউড়ার টান মান্দাইল গ্রামের ৩৩ জনকে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী আব্দুল খালেককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন।

ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

একাত্তরে মোবারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন বলে উল্লেখ হয় তার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে। পরে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মোবারক হোসেন আপিল করেন। চলতি বছরে ৮ জুলাই সেই আপিলের শুনানি শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আপিলে খালাস পেলেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ

আপডেট সময় : ০৫:১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মোবারকের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (৩০ জুলাই) এ রায় দেন।

একই সঙ্গে আপিল বিভাগ মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন।

জামায়াত নেতা এটিএম অজাহারের পর মোবারক হোসেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে খালাস পেলেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণ হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে আখাউড়ার টান মান্দাইল গ্রামের ৩৩ জনকে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী আব্দুল খালেককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন।

ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

একাত্তরে মোবারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন বলে উল্লেখ হয় তার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে। পরে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মোবারক হোসেন আপিল করেন। চলতি বছরে ৮ জুলাই সেই আপিলের শুনানি শুরু হয়।